ট্রান্সফরমার্স মুভি ২০২৩ রিভিউ

ট্রান্সফরমার্স ফ্রাঞ্চাইজের বিস্তারিত

Transformers Movie Review

ট্রান্সফরমার্স এর ফ্যানরা নড়েচড়ে বসুন কারন আগামীতে MCU এর মতো আমরা TCU (Transformers Cinematic Universe) ও পেতে যাচ্ছি

Transformers সিরিজ টা অবশেষে রিবুট হয়েছে। রিবুট মানে অতীতে যা হয়েছে তা সব ভুলে নতুন করে শুরু করা৷

অর্থাৎ ২০০৭থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মাইকেল বে পরিচালিত যতোগুলো ট্রান্সফরমার্স মুভি আছে এগুলো সব বাদ এখন।

নতুন করে ট্রান্সফরমার্স এর গল্প ২০১৮ সালে Bumblebee মুভির দ্বারা রিবুট করা হয়। এর পর ঐ রিবুটেড গল্পের ধারাবাহিকতায় নতুন করে ২০২৩ সালে মুক্তি পেলো “”Transformers Rise Of The Beasts””।

এই মুভির দ্বারা বলা যায় ট্রান্সফরমার্স এর গল্প তার মূল রুটে ফিরে গিয়েছে। মজার গল্প শুনাই একটা

ট্রান্সফরমার্স এর সুচণা

১৯৮০র দশকে খেলনা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান হাসব্রো তাদের খেলনা হিসেবে GI JOE নামক আর্মিদের পুতুল বাজারে ছেড়েছিলো। তখন বেশ ভালোই বিজনেস হচ্ছিলো এই GI JOE নামক আর্মি দের একশন ফিগার দিয়ে।

তবে ১৯৮০র দশকে আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক হরেক কারনে হাসব্রো তাদের GI JOE খেলনা গুলো বাজারে ছাড়া বন্ধ করে দেয়।

তখনি বাজারে টিকে থাকার জন্য নতুন খেলনা হিসেবে ট্রান্সফরমার্স আসলো। ১৯৮০র দশকে গাড়ি থেকে রোবট ও রোবট থেকে গাড়ি হয় এরকম খেলনা দারুন সারা ফেলতে শুরু করে।

এর পরই বিজনেসের স্ট্রাটেজি হিসেবে খেলনার প্রচার এর জন্য ১৯৮৪ সালে হাসব্রো ট্রান্সফরমার্স এর একটি কার্টুন সিরিজ টিভিতে সম্প্রচার শুরু করে।

হাসব্রো এর এই স্ট্রাটেজি মারাত্মক সারা ফেলে তখন। কেউ ভাবেও নি যে ট্রান্সফরমার্স এর কার্টুন সারা বিশ্বে এতোটা সারা ফেলবে। ধুম বিজনেস চলতে লাগলো হাসব্রো এর।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৬ সাল অব্দি ট্রান্সফরমার্স কার্টুনের টোটাল ৪ টা সিজন রিলিজ পায়। এরপর ১৯৮৬ সালে ” Transformers The Movie” নামে ট্রান্সফরমার্স এর ১ম মুভি রিলিজ পায়।

বক্স অফিসে বেশ সারা ফেলেছিলো সেই মুভিও। এই মুভিটা যারা দেখেছেন তারা Transformers Rise Of The Beasts এর সাথে এর বহু কিছু মিল পাবেন।

Transformers Movie Franchise Launch

এরপর ২০০৭ সালে আবার পূনরায় ট্রান্সফরমার্স এর লাইভ একশন মুভি রিলিজ পায় Transformers নামে।এ মুভিতে স্টিফেন স্পিলবার্গ ও লিঙ্কিন পার্ক ব্যান্ডও কাজ করেছিলো।

এর পর ২০১৭ অব্দি এ সিরিজের টোটাল ৫ টা মুভি আসলেও পরিচালক মাইকেল বে তার মুভিগুলায় ট্রান্সফরমার্স এর কার্টুন, কমিক্স এর সাথে মিল রেখে কোনো গল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি।

গল্প পুরো হযবরল হয়ে গিয়েছিলো মুভিগুলোয় যার কারনে মানুষ চমৎকার Transformers Dark Of The Moon(2011) এর পর Age Of Extinction ও The Last Knight মোটেও পছন্দ করেনি।

২০১৭ সালে The Last Knight রিলিজের পরেই মূলত ট্রান্সফরমার্স সিরিজ টা মুখ থুবড়ে পড়ে। কারন ফ্যান রা টোটালি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো এই সিরিজ থেকে। আসলে মূল ঝামেলা করেছে হাসব্রো, ড্রিমওয়ার্কস।

এরাই মূলত মাইকেল বে কে বাড়তি চাপ দিয়ে Transformers ৪ ও ৫ নম্বর মুভিগুলা বানিয়েছিলো। আসলে মাইকেল বে নিজেও চেয়েছিলো যে ২০০৭-২০১১ অব্দি রিলিজ প্রাপ্ত Transformers 1, Revenge Of The Fallen ও Dark Of The Moon এর মাধ্যমে গল্প শেষ করে দিতে।

তো কি আর করার ফালতু একটা মুভি সিরিজ হিসেবে এটা মানুষ আর দেখে নাই অতোটা।

যাই হোক খুশির খবর যে সিরিজ টা ২০১৮ তে Bumblebee মুভির দ্বারা একদম মৃত থেকে আবার যেন জিবীত হলো নতুনভাবে এবং ২০২৩ সালেই নতুন সিরিজের ২য় মুভি Rise Of Beasts দিয়ে জানান দিলো ।

যে আগামীতে এই সিরিজের আরো মুভি আসবে এবং Marvel Cinematics Universe এর মতো আমরা Husbro Cinematic Universe ও পেতে যাচ্ছি।

কারন রাইজ অব বিস্ট মুভির শেষে GIJOE এর সাথে Transformers রা টিম হয়ে কাজ করবে এমন ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যার মানে হচ্ছে আগামীতে আরো অনেক মুভি আসবে ট্রান্সফরমার্স এর।

সো Michael Bay পরিচালিত ট্রান্সফরমার্স মুভিগুলো এখন ডেড বলা চলে তবুও কেউ যদি দেখতে চান তাহলে সিরিয়ালি দেখবেনঃ-

1) Transformers ( জোস)

2) Transformers Revenge Of The Fallen (চলে)

3) Transformers Dark Of The Moon ( মারাত্মক)

৪ ও ৫ না দেখলেও চলে

4) Transformers Age Of Extinction (ফালতু)

5) Transformers The Last Knight (বিচ্ছিরি)

এখন ট্রান্সফরমার্স মুভি কমবেশি সবাই দেখলেও কিছু বিষয়ে আমরা অনেকেই ক্লিয়ার না৷

চলুন ট্রান্সফরমার্স এর ইউনিভার্সের বিষয়ে কিছু জিনিস আলোচনা করি যেন মুভি দেখার সময় আপনাদের মাথার ওপর দিয়ে কিছু না যায়ঃ-

১) কুইনটেসন্সঃ- কুইনটেসন্স রা হচ্ছে একদল এলিয়েন যারা ট্রান্সফরমার্স দের তৈরি করেছিলো।

২) সাইবারট্রনঃ- এটা ট্রান্সফরমার্স দের গ্রহ। ট্রান্সফরমার্স দের মেকার কুইটেসন্স রাই এই গ্রহ আবিষ্কার ( গ্রহে বসতি স্থাপন) করেছিলো। কুইনটেসন্স রা এই গ্রহ ছাড়ার পর ট্রান্সফরমার্স রা পুরো গ্রহ নিজেদের মতো সাজিয়ে নেয়।

৩) অটোবটঃ- এরা সাইবারট্রনের সাধারন বাসিন্দা ও ওয়ার্কার শ্রেনীর রোবট।

৪) ডিসেপটিকনঃ- এরাও সাইবারট্রনের বাসিন্দা ও মিলিটারি রোবট। তবে এরা দখলদার ও ক্ষমতালোভী।

৫) ইউনিকর্ণঃ- এটাও কুইনটেসন্স রাই বানিয়েছিলো তবে এটা নিয়ন্ত্রনের বাহিরে গিয়ে ইউনিকর্ণ নিজেই ঘাতক রোবট হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই টা গ্রহের সমান একটা রোবট। এই রোবট মূলত হরেকরকম ছোট/বড় গ্রহ খেয়ে বেচে থাকে।

৬) টেরারকনঃ- এরাও সাইবারট্রনের বাসিন্দা তবে এরা ও ডিসেপটিকনদের মতো ভিন্ন মতাদর্শী ও অটোবট দের শত্রু।

৭) ম্যাক্সিমালঃ- এরা সাইবারট্রনেরই বাসিন্দা তবে এরা বিভিন্ন প্রানীর রূপ নিয়ে লুকিয়ে থাকে। এরা অন্য বসবাসযোগ্য গ্রহ থেকে পালিয়ে নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীতে পেরুর মাচুপিচুতে আশ্রয় নিয়েছে। এরা শান্তিপ্রিয়।

৮) এনারজনঃ- এনারজন হচ্ছে ট্রান্সফরমার্স দের ব্যাটারির মতো। এই এনারজন দিয়ে মৃত ট্রান্সফরমার্স কেও চার্জ দিয়ে জীবিত করা যায়।

৯) ক্রায়োস্যুটঃ- এটা ছোট আকৃতির কোনো ট্রান্সফরমার রোবট তার দেহের ছোট খাটো অংশের সাহায্যে কোনো মানুষের জন্য আইরন ম্যান টাইপের পোষাক তৈরি করতে পারে। এটা একটা মিনি রোবটের মতো যার ভেতরে একজন মানুষ বসে কন্ট্রোল করতে পারে।

১০) ডাইনোবটঃ ডাইনবট রা হচ্ছে ডাইনোসরের রূপধারী রোবট এরা শান্তিপ্রিয়। অটোবটরাই এদের তৈরিকারক।

সো মজা করে মুভি দেখুন। আর যারা এ অব্দি পড়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ।

ট্রন্সফরমার্স নিয়ে কার ধারনা ও কার কীরকম স্মৃতি রয়েছে তা কমেন্টে শেয়ার করুন

ট্রান্সফরমার্স ফ্রাঞ্চাইজের বিস্তারিত
Transformer: Rise of Beast Movie Review Download Link

অনেকেই মানতে নারাজ যে মাইকেল বে এর পূর্ববতী ডেড সিরিজের Transformers 4 Age Of Extinction ও Transformers 5 The Last Knight মুভি গুলা আপ টু দা মার্ক ছিলোনা। চলুন কিছু ভুল এজ এ ভিউয়ার দেখাই আপনাদের।

ট্রান্সফরমার্সের ফ্যান দুই ক্যাটাগরির আছে

১) মুভি দেখে হওয়া ফ্যান

(এই গ্রুপটা তূলনামুলকভাবে বয়সে আমাদের থেকে ছোট)

২) কার্টুন, কমিকস, গেম ও মুভি দেখে ফ্যান

(এই শ্রেনীর বয়সটা বেশি এবং এদের বেশিরভাগেরই জন্ম ৯৫ এর পরে)

এখন চতুর্থ ও পঞ্চম মুভির আইএমডি রেটিং যথাক্রমে ৫.৬ ও ৫.২। অপরদিকে রিবুটেড মুভি দুটার রেটিং ৬.৭
IMDB আমাদের মতো মামুলি ভিউয়ার্স দের কথায় তো আর রেটিং দেয়না।

পুরো বিশ্বের ভিউয়ার্সদের ভোট ও মতামতের ভিত্তিতে রেটিং দেয় ওরা। এখন সারাবিশ্বের সবার সবাই কেনো Bumblebee ও Rise Of The Beasts কে যথাক্রমে ৬.৬ ও ৬.৭ রেটিং দিলো !?

এখন যারা ট্রান্সফরমার্সের শুধু মুভি দেখে ফ্যান হয়েছে তাদের বিশাল একটা অংশই ট্রান্সফর্মারদের একচুয়াল অরিজিন ও গল্প ঠিকঠাক জানে না তাই এদের নিকট ওই অ্যাকশন , ভিএফএক্স ওগুলি ম্যাটার করে। অপরদিকে ট্রান্সফরমার্স এর ওল্ডস্কুল ফ্যানরা মুভিগুলাকে বিচার বিবেচনা করে মূল গল্প দিয়ে। তাই ভিউপয়েন্ট কখনোই মিলবে না

ট্রান্সফরমার্সের ইতিহাসে আজ অব্দি বেশি রেটিং পাওয়া মুভিই ছিল 1 থেকে 3 এরপর মুখ থুবড়ে পড়ার পর পরিচালকরা নিজেরাই বুঝতে পেরেছে যে গল্প মূল গল্পের ধারা অনুযায়ী আগানোটাই বেটার।

★ এখন আসি কেন Transformers এর Age of extinction ও The last knight মুভি দুইটা মানুষ হেট করে ও কেন এদুটা মুভি ফ্লপঃ-

১) রোবট গুলোকে স্পেশালি ডিসেপটিকন গুলোর লুক প্রায় রাক্ষস বানিয়ে ফেলেছে অটোবট দের বডি বুঝা গেলেও চেহারা ও দৈহিক ডিটেলস একদমই ভালো হয়নি।

আর হিরো টিমের লিডার হিসেবে অপটিমাস সব ফাইটেই জয়ী হয় তাই মুভি দেখে হওয়া ফ্যানদের বড় অংশেই এসব বডি ডিজাইন গুলো পছন্দ করেছিল এবং স্পেশালি অপটিমাস প্রাইম কে পছন্দ করেছিলো।

২) মূল গল্পের সাথে মুভির গল্প গুলো একদম হযবরল হয়েছিল। কোনো আগা মাথা কিছুই ছিলোনা।

৩) মূল গল্পের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্যারেক্টার যেমন জেজ, আরসি, হাউন্ড, জেটফায়ার, হুইলজ্যাক সহ আরো অনেকগুলো মূল গল্পের ক্যারেক্টার কে মুভিতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো রোলই দেয়া হয়নি।

৪) সাইবারট্রনের যুদ্ধ কেন লাগলো অটোবোট ও ডিসেপটিকনদের মাঝে তা নিয়ে কোন ক্লিয়ার এভিডেন্স মুভিতে দেয়া হয়নি ১-৫ এ। যা দেখানো হয়েছে তা খুবই কম বলা চলে।

দু গ্রুপ মারামারি করছে কিন্তু কেন মারামারি করছে তা ফ্যানরা বেশির ভাগই জানে না শুধু এটুকুই জানে এ গ্রুপ ভাল এগ্রুপ খারাপ তাই মারামারি করছে।

৫) মুভিগুলোতে অহেতুক ডিপ ১৮+ হিউমার দিয়ে ভরিয়ে ফেলা হয়েছিল যেটা ট্রান্সফরমারসের মতো একটা সিরিজ এর সাথে কখনোই যায় না কারণ এগুলো ফ্যামিলি এন্টারটেইনিং ফিল্ম। ১-৫ অব্দি প্রতিটা মুভিতে ফিমেল লীডগুলোকে যথাসম্ভব রগরগে ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল যেমন Revenge of the fallen নায়িকার পায়ের সাথে একটা ছোট রোবট দেহের সংবেদনশীল অংশ ঘষামাজা করছিল এবং এটা নায়িকা ঝাড়ি মেরে ছড়িয়ে দেয়।

এই সিনটা দেখলে আশা করি এ বিষয়ে কনফার্ম হতে পারবেন যে এখানে যতটা না অ্যাকশন দিয়েছিল তার পাশাপাশি যৌনতাকে ও ১৮+ হিউমার কেও প্রাধান্য দিয়েছিল মাইকেল বে। মুভিগুলো যতোটা না ট্রান্সফরমেন্সদের মূল ঘটনার দিকে নজর দিয়েছে তার থেকে বেশি নজর দিয়েছে হয়েছে হিউম্যান ক্যারেক্টারগুলোর অহেতুক কার্যক্রমে।

৬) মুভিগুলোতে অতিরিক্ত অ্যাডভারটাইজিং করা হয়েছিল। মুভির হরেক সীনের মাঝে কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক প্রোডাক্ট এর প্রচার ডাইরেক্টলি/ইন্ডাইরেক্টলি করা হয়েছিল

৭) 5 নম্বর মুভিতে দেখিয়েছিল যে রোবটগুলো নাকি সেই মধ্যযুগ থেকে দুনিয়াতে আছে এমনকি বাম্বলবি নাকি ২য় বিশ্বযুদ্ধও করেছে। এসব অদ্ভুত ঘটনাগুলো কোনভাবেই ১-৩য় মুভির ঘটনাক্রমের সাথে কোনভাবেই যায় না। গল্প অনুসারে এটুকু বুঝা যায় যে,

রোবট গুলো সাইবারট্রন থেকে সেফলি পালিয়ে দুনিয়াতে ২০০৭ সালেই কিউব খুজার জন্য হাজির হয়েছিলো। একই টাইমলাইনে তারা কিভাবে আবার বিশ্বযুদ্ধ এমনকি মধ্যযুগীয় যুদ্ধে অটোবরদেরও আরো অনেক আগে দুনিয়াতে এসে উপস্থিত থাকে!! গোজামিল পুরাই!!!

৮) ডাইনোবটরা মূলত অটোবট দের তৈরি এবং এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে মূল গল্পের বিভিন্ন ফাইটে এমনকি এরা অপটিমাস এবং বাম্ললবি দের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্যারেক্টার রোল প্লে করে মূল স্টেরি তে। তবে মুভিতে এদের তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি এমনকি তারা কিভাবে চতুর্থ মুভিতে এসে হাজির হলো তারও কোন হদিস নেই

৯) যে মেগাট্রন নিজে অপটিমাসের হাতে তৃতীয় মুভিতে মৃত্যুবরণ করেছে সে কিভাবে আবার পঞ্চম মুভিতে এসে হাজির হয় তাও নতুন রূপে!!
হদিস নাই!

১০) যেদিকে ছোট থেকে জেনে আসলাম যে ইউনিকর্ণ হিংস্র একটি রোবট গ্রহ যে অন্যান্য গ্রহ ভক্ষণ করে বেঁচে থাকে। অথচ পঞ্চম মুভিতে দেখানো হলো একটি মরুভূমির মধ্য দিয়ে ইউনিকর্ণের শিং বের হয়ে রয়েছে এবং হচ্ছে পৃথিবীর মাঝে ইউনিকর্ন ঘুমিয়ে রয়েছে। এটা কেমনে সম্ভব ভাই। ১-৩ মুভিতে এমন কিছুই নাই। তো গল্প ধারাবাহিকতা নষ্ট হলো কিনা বলুন তো!.
পৃথিবীই নাকি ইউনিকর্ণ!!

১১) চতুর্থ মুভির মূল ভিলেন অর্থাৎ গেলভাট্রন শেষে অপটিমাসকে একাকী চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চায়নার যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করে। এরপর পরের মুভিগুলায় সেই নতুন ভিলেন গেলভাট্রন ও উধাও হয়ে গেল পরবর্তী মুভিতে। তার কোন হাদিসই নেই।

১২) ৪র্থ মুভিতে ট্রান্সফর্মার্স দের তৈরি করার নতুন পদ্ধতি কীভাবে আবিষ্কার করলো ঐ চশমাওয়ালা টাক মাথার লোক টা তার কোনো হদিস নেই। এই টেকনোলজি কোথা থেকে আসলো অদ্ভূত!. যেখানে অতীতের মুভি (১-৩) এ দেখানে হয়েছিলো একটা অলস্পার্ক কিউবের সাহায্যে সব রোবট বেহিকেলে রূপান্তর হয়। পুরাই গোজামিল!!

১৩) ৫ম মুভিতে কুইনটেসা কীভাবে অপটিমাস কে আটক করলো তার হদিসও নাই।

ড্রীমওয়ার্কস মাউকেল বে কে চাপ দিয়েছে। মাইকেল বে ও টাকার জন্য উরাুধুরা একশন দিয়ে ফিল্ম বানিয়েছে। এমুভিগুলায় একশন চমৎকার কিন্তুু বেশি একশন ও ভি এফ এক্সে ফোকাস দিতে গিয়ে গল্পের মাথা মন্ডু, ক্যারেক্টার কিছুই আর ঠিক রাখতে পারেনি মাইকেল কাকায়।

ট্রান্সফরমার্স মুভির ইতিকথা

ফাইট ছাড়া ৪ ও ৫ নম্বর মুভিতে দেখার মতো কিছুই নাই। কোনো ক্যারেক্টার ও গল্পের ঠিকঠাক অস্তিত্ব নাই। এগুলা একশন ফ্রীক পোলাপান যারা তাদের ভালো লাগবে। কারন এদের জন্য স্টোরি ও ক্যারেক্টার বিল্ড আপ ম্যাটার করেনা। তাই একশন ও ভিএফ এক্সে ভরপুর ছিলো এ ফিল্ম গুলা। তাই এখনো এদের নিকট এগুলা বেটার মুভি দেন রিবুটেড ভার্ষন।

কিন্তুু রিবুটে যথাসম্ভব গুরুত্ব দেয়া হয়েছে রোবট দের অরিজিন থেকে শুরু করে তাদের যার যার পারপাজ ও হিউম্যান ক্যারেকটার গুলোর মূল কাহিনীতে যথাযথ রোল প্লে কে কেন্দ্র করে। এগুলো একশনফ্রীক দের মতো ভিউয়ারদের কিছুই মনে হবেনা ঐ যে নস্টালজিয়া ও একশন ফড়ীকনেসের কারনে অতীতের গুলাই ভালো লাগবে আপনাদের।

অপরদিকে যারা সেই নার্সারি ও ক্লাস ওয়ান/টু থেকে ট্রান্সফরমার্সের অ্যানিমেশন মুভি, কার্টুন ,কমিক্স ও গেম খেলে বড় হয়ে ২০০৭-১০ এর সময়ে মুভি দেখেছে।

তাদের বেশিরভাগ অংশই ট্রান্সফরমার্স এর ৪ ও ৫ নম্বর মুভি দুটা নিয়ে সন্তুষ্ট হবেনা এমনকি হয়নি।

Leave a Comment

Total Views: 615

Scroll to Top