টম ক্রুজের মিশন ইম্পসিবল ৭ মুভি রিভিউ
“Mission: Impossible Dead Reckoning Part 1” প্রায় তিন ঘণ্টার ভয়াবহ উপভোগ্য এক থ্রিল রাইড!
Table of Contents
একশন আর স্টোরির এমন চমৎকার এক মিক্স তৈরি করতে পারে এই ফ্র্যাঞ্চাইজটা, যার কারণে প্রত্যেকটা এন্ট্রি আগের থেকে বিগার এন্ড বেটার হয়।
বিশাল একশন সেট পিস বা ইম্প্রেসিভ স্টান্ট তখনি দর্শককে টাচ করতে পারবে যখন এর পেছনে হিউম্যান লেভেলে কেয়ার করার মতো কোন উপাদান আছে।
সেই হিউম্যান এলিমেন্টটা সুন্দরভাবে সাজানোর কারণে একের পর এক থ্রিলিং একশন সিনগুলা মুগ্ধ করে গেছে।
মুভির স্ক্রিপ্ট অনেক বড় ক্রেডিট ডিজার্ভ করে মুভিটা এত স্মুথলি কাজ করার জন্য। প্রায় তিন ঘণ্টা রানটাইমে থ্রিলের পাশাপাশি আছে যথেষ্ট কনভারসেশন, মিটিং, স্পাইগিরি।
ক্যারেক্টার বিল্ডাপের দিকেও নজর দেয়া হয়েছে। কিন্তু এক মুহুর্তের জন্যও এই স্লোয়ার মোমেন্টগুলো বোরিং বা অপ্রয়োজনীয় লাগে নি।
Mission Impossible Movie Review
বরং ওই ক্যারেক্টার মোমেন্টগুলোর জন্যই পাহাড় থেকে বাইক নিয়ে লাফ দেয়া বা চলন্ত ট্রেনে জীবন বাঁচাতে ছোটাছুটি করার সিনগুলো অনেক বেশি ডেপথ পেয়েছে।
এবারের মিশনের মূল বিন্দুতে আছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। AI নিয়ে সাম্প্রতিক কন্ট্রোভার্সির কারণে টিভি ফিল্মে এখানে ওখানে অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে এই নিয়ে স্টোরিলাইন।
তবে আমার কাছে মনে হয়েছে আজ পর্যন্ত মিশন ইম্পসিবল ৭ ই সবচেয়ে পারফেক্টলি AI থ্রেটকে তুলে ধরতে পেরেছে।
মুভির কিছু প্লটলাইন ইমিডিয়েট বিশ্বের সাথে এত উইয়ার্ডলি রিলেটেবল যে বাস্তবতা আর ফিকশনের মধ্যে পার্থক্যের দেয়ালকে অদৃশ্যই লাগে কিছু জায়গায়।
ইথান হান্টের জন্য AI এর বিরুদ্ধে মিশন খুবই ক্লেভার আইডিয়া ছিল। আর মুভির এক্সিকিউশন, প্রতিটা ক্ষেত্রে, প্রায় নিখুঁত।
প্রতিবারের মতো টম ক্রুজ ১০০ ভাগের মধ্যে ২০০ ভাগ এফোর্ট দিয়ে ইথান হান্টকে পর্দায় নিয়ে এসেছেন আগের চেয়েও এক্সাইটিং ওয়েতে।
নিউকামার গ্রেস চরিত্রে হেইলি এটওয়েল ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য অতি উপযুক্ত এক সংযোজন।
রেবেকা ফার্গুসন আর ভেনেসা কার্বিও আগের মতোই শক্তিশালী প্রেজেন্স। ফ্যান ফেভারিট বেঞ্জির চরিত্রে সাইমন পেগ বরাবরের মতোই কমিক রিলিফ ।
আর ইমোশনাল পয়েন্টের মাঝামাঝি সুন্দর একটা জায়গায় আছে। বেঞ্জিকে নিয়ে প্লটটা সম্ভবত মুভিতে আমার সবচেয়ে পছন্দের স্টোরিলাইন।
একশনের সাথে একটু স্পাইয়িং, একটু ড্রামা, একটু রোম্যান্স, একটু থ্রিলার এসবের সমন্বয়ে সপ্তম মিশন ইম্পসিবল ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমার সবচেয়ে প্রিয় মিশন ইম্পসিবল মুভি হয়ে গেল।
টপ গান ম্যাভেরিক মুভি রিভিউ
আগামী বছর মিশন ইম্পসিবল ৭: ডেড রেকোনিং পার্ট টু তে যে কী করবে চিন্তা করেই গুজবাম্পস চলে আসে!
মিশন ইম্পসিবল মুভির বক্স অফিস রিপোর্ট
৪ সপ্তাহেও ৫০০ মিলিয়ন ক্রস করতে পারেনি Mission: Impossible – Dead Reckoning. এখন পর্যন্ত আয় করেছে ৪৯৩ মিলিয়ন। গত সপ্তাহে ছিলো ৪৪৮ মিলিয়ন।
বুঝাই যাচ্ছে আর বেশি দূর দৌড়াতে পারবে না মুভিটি। যদি টেনে ৬০০ মিলিয়নও আয় করে হিট হবে না মুভিটি। হিট হতেই ৭৮০ মিলিয়ন লাগবে।
অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ান মার্কেটে Elemental ও Guardian Of The Galaxy 3 এর পর বছরের ৩য় হলিউড ফিল্ম হিসেবে কোরিয়ান মার্কেটে $30 Million গ্রোস তুলতে চলেছে MISSION IMPOSSIBLE: DEAD RECKONING 1
এই মার্কেটে বছরের সবথেকে বড় ওপেনিং তুলেও লাইফটাইম আশানুরূপ আসবে না হয়তো নিউট্রাল অডিয়েন্সের ফিল্ম তেমন ভালো লাগেনি।