এসে গেল নেটফ্লিক্সের তরফ থেকে আরো একটি বিলো-অ্যাভারেজ স্পাই থ্রিলার মুভি ‘হার্ট অব স্টোন‘।
No Spoiler
- Movie: Heart of Stone (2023)
- Director: Tom Harper
- Genre: Spy, Action, Thriller.
- Cast: Gal Gadot, Alia Bhatt, Jamie Dornan etc.
- IMDb Rating: 5.2/10
- Rotten Tomatoes: 31%
- Personal Rating: 2/5
‘চার্টার‘ নামের এক সিক্রেট এজেন্সি যার সাথে কোনো গভর্নমেন্ট বা কারো কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই
অর্থাৎ এটি একটি স্বতন্ত্র এজেন্সি। ‘চার্টার’ এর প্রধান চালিকাশক্তি হলো ‘হার্ট’ নামক একটি ডিভাইস
যার দ্বারা দুনিয়ার সকল কিছু কন্ট্রোল করা যায় ।
হার্ট অব স্টোন
হোক সেটা কারো পার্সোনাল ডাটা বা উড়ন্ত কোনো অ্যারোপ্লেন। ইভেন এর সাহায্যে কোনো বিল্ডিংয়ের সাধারণ একটি এলিভেটরও ক্র্যাশ করানো যায়। এই ডিভাইসের পিছনে লেগে আছে মুভির অ্যান্টাগনিস্ট, যা নিয়ে মুভির স্টোরি চলতে থাকে।
হার্ট অব স্টোন
নেটফ্লিক্সের স্পাই-থ্রিলার/অ্যাকশন মুভি থেকে বেশি কিছু আশা করা যায়না আজকাল। যেমন: বিগত দুই-বছরে রিলিজ হওয়া ‘রেড নোটিস’ এবং ‘দ্যা গ্রে ম্যান‘ এর কথা বলতে পারেন।
তবুও রেড নোটিস-এ রায়ান রেনল্ডস আর ডোয়াইন জনসনের সলিড কেমিস্ট্রি এবং দ্যা গ্রে ম্যান-এ ক্রিস ইভান্স, রায়ান গসলিং, অ্যানা দি আর্মাস এর অসাধারণ পারফরম্যান্স ।
এর সাথে বেশ কিছু চোখ জুড়ানো অ্যাকশন সিকোয়েন্সের কারণে মুভি দুটি বেশ এনজয় করার মতো ছিল। কিন্তু ‘হার্ট অব স্টোন’ এ তেমনি কোনো এলিমেন্ট ছিলনা যা মুভিটিকে এনজয় করতে হেল্প করে!
অ্যাকশন বা স্পাই-থ্রিলার মুভির খুবই ইম্পর্ট্যান্ট একটা এলিমেন্ট হলো ভালো অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি এবং সিকোয়েন্স। কিন্তু পুরো মুভিতে নেই একটা ভালো অ্যাকশন সিকোয়েন্স । তাছাড়া হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট ছিল একদমই বাজে। মুভিতে ইউজ করা গ্যাজেটগুলো অনেক ক্যুল লাগতে পারে ।
সবাই তো আর টম ক্রুজ নয় যে নিজেই স্টান্ট করবে। যেমন মিশন ইমপসিবল সিনেমায় সে নিজেই পাহাড় থেকে প্যারাস্যুট দিয়ে লাফ দেয়।
কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখলে এসব গ্যাজেট রিয়েলিটি থেকে কয়েকশ’ মাইল দূরে। হ্যাঁ মুভিতে সবকিছুই রিয়ালিস্টিক হয়না তবুও আমরা জেমস বন্ড বা মিশন ইম্পসিবল মুভিতে যে গ্যাজেট/টেকনোলজি দেখে থাকি তা অনেকটাই ক্লোজ টু রিয়েলিটি হয়ে থাকে এবং তার কিছু কিছু বাস্তবেও এক্সিস্ট করে।
যেমন ধরেন মুভির মেইন প্লট যে ডিভাইসকে কেন্দ্র করে সেটি হলো ‘হার্ট’। তার এমন ক্যাপাবিলিটি আছে যে রেন্ডম কোনো বিল্ডিংয়ের এলিভেটর ক্র্যাশ করাতে পারে কিংবা আবদ্ধ ঘরে যেখানে কোনো সিসিটিভি আছে কিনা সন্দেহ, সেখানকার লাইভ ফুটেজ দেখতে পারে।
মুভিতে তেমন ভালো কোনো টুইস্ট বা থ্রিলিং মোমেন্ট ছিলনা। যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে দেখে থাকেন তাহলে শুরু থেকেই পুরো স্টোরি গেস করতে পারবেন।
তবে মুভিটির ব্যাপারে আমার একটা জিনিস ভালো লেগেছে সেটি হলো মুভি তার ট্র্যাক থেকে ছিটকে পড়েনি। অর্থাৎ মূল গল্পের মাঝে বাড়তি কোনো গল্প যোগ না করে এন্ড পর্যন্ত তার ট্র্যাকেই থাকে মুভি। আর মুভির স্ক্রীনপ্লে বেশ ভালো ছিল।
Heart of Stone (2023) Movie Review
সবার পারফরম্যান্স ভালো ছিল বিশেষ করে আলিয়া ভাট কম স্ক্রীনটাইম সত্ত্বেও বেশ ভালই পারফর্ম করেছেন।
মুভির ভিলেন তেমন একটা স্ট্রং ফিল হয়নি তার যে ব্যাকস্টোরি রাখা হয়েছে সেটা নিয়েও আরো ভালোভাবে তাকে প্রেজেন্ট করা যেত।
তাছাড়া সিজিআই-ও অনেক জায়গায় খুব একটা ভালো লাগেনি বিশেষ করে একদম শুরুর যে সিকোয়েন্সটা রয়েছে তার সিজিআই খানিকটা চোখে লেগেছে। তবে ক্লাইম্যাক্সের লোকেশনটা জোস ছিল।
ওভারঅল এটি ফ্যামিলির সাথে বসে টাইমপাস করার মতো একটা মুভি কোনো অ্যাডাল্ট সিন বা গালিগালাজ নেই।
হার্ট অফ স্টোন কোন চ্যানেলে দেখাবে?
নেটফ্লিক্সে হার্ট অফ স্টোন দেখতে এবং স্ট্রিম করতে পারেন।
এর রানটাইম-ও খুব একটা বেশি নয় ইন্ট্রো আউট্রো সব মিলিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা।