orphan movie review এক সাইকোপ্যাথ কিলারের গল্প

Movie Review  – ORPHAN – [2009] = PSYCHOLOGY.  
             “এক সাইকোপ্যাথ কিলারের গল্প”
    যারা ফিল্ম’টি দেখেছেন তারা মেয়েটিকে চিনেন। তার নাম “এস্থার”। বয়স ৯ বছর এবং সে একজন এতিম। ফিল্ম শেষে তার আসল রূপ সম্পর্কেও আপনাদের ধারনা হয়েছে নিশ্চয়ই। চলুন জানার 
চেষ্টা করি, সে কেন এমন…(?) সাইকোলজি কি বলে।  
                       _[Spoiler Alert]_
◾এস্থারের অতীত গল্প◾
    তার জন্ম রাশিয়ার এস্তোনিয়ায়। পরিবারে এস্থার ও তার বাবার বসবাস। মায়ের মৃত্যুর পর ৮ বছর বয়স থেকে এস্থার বাবা কতৃক শারীরিক ভাবে শোষিত হয়। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত চলে এটা। এক সময় সে এটাকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে মেনে নেয়। 
এক সময় তার বাবার নতুন গার্লফ্রেন্ড হয় আর উনি এস্থার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এস্থার রেগে যায় এবং তাদের দু’জনকে খুন করে। তারপর মেন্টাল-হাসপাতালে তার স্থান হয়। সেখান থেকে তার স্থান হয় একটি পরিবারে। দত্তক হিসেবে নেয় তারা এস্থারকে। পরিবারের কর্তা অর্থাৎ পালক পিতার প্রতি তার আবার নিষিদ্ধ কামনার জন্ম হয়।
 সে ব্যর্থ হয় তা পেতে। সে পুরো পরিবারকে খুন করে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এস্থার আমেরিকায় পাড়ি জমায়। আবারো একটি পরিবারে সে দত্তক হিসেবে প্রবেশ করে আর তার পরের গল্পই ফিল্মে দেখানো হয়। 
এখন এস্থার এমন কেন…(?) 
  ৬-১৮ বছর বয়সের এই সময়টি ” বেসিক মাইন্ডসেট “- স্থাপনের সময় (প্রাথমিক ধারনা)। এ সময় ভালো জিনিস ও মন্দ জিনিসের বেসিক তফাৎ শিখতে জানে মানুষ। ঠিক এই সময়টাতেই যদি ভুল বা মন্দ কোনো বিষয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে তার মাথায় ঢুকে যায়। তাহলে সেটাকেই সে নিয়মতান্ত্রিক ভেবে নিবে। 
তাই এস্থার এই অস্বাভাবিক চাহিদার প্রতি আকর্ষণবোধ করে। বাস্তবে এমন শুনা যায় এক কম বয়সী (ভারতীয়) সিরিয়াল কিলারের ক্ষেত্রে (অমরজিৎ সদা নাম তার) সে ৮ বছর বয়সে ৩টি খুন করে। কারন তার রক্ত দেখলে বা মৃত্যুর সময় মানুষের পীড়া দেখলে ভালো লাগতো। 
একে সাইকোলজির ভাষায় বলে “কন্ডাক্ট-ডিসওর্ডার”। 
   [এর ফলে মানুষ ভালো মন্দের ব্যবধান বুঝে না]
উল্লেখ্য, 
বেসিক মাইন্ডসেটের তথ্য সাব-কন্সিয়াস মাইন্ডে (অবচেতন মন) জমা থাকে। সহজে পরিবর্তনশীল নয়। 
ফিরে আসি এস্থারের গল্পেঃ- 
এস্থার এখন ৩৩ বছর বয়সী এক পূর্ণ বয়স্ক নারী। তার আসল নাম লীনা ক্ল্যামার ।  বয়স হলেও সে দেখতে বাচ্চাদের মত (বামন)। কারন তার একটি দূর্লভ হরমন জনিত রোগ রয়েছে৷ নাম “HYPOPITUITARISM”. 
এর ফলে মানুষের মানষিক বিকাশ ঘটলেও তার শারীরিক বিকাশ ঘটে না। তাই সে দেখতে বাচ্চাদের মত হয়। (আমার এলাকাও এক আপু আছেন ৩৫+ বয়স হবে উনার কিন্তু এখনো উচ্চতা ও চেহারা ৭/৮বছরের বাচ্চাদের মত)। 
◾তার সাইকোলজি◾
👇
এস্থার বা লীনা ক্ল্যামার মূলত একজন সোসিওপ্যাথ / এন্টি সোস্যাইল পারসনালিটি ডিস-অর্ডারের রোগী। 
◾লক্ষন◾
পাঁচ’টি প্রধান লক্ষন। 
[1] Manipulation :- নিজের ইচ্ছে মত অন্যকে ব্যবহার করা বা কারো ব্যক্তি ইচ্ছে’কে পরিবর্তন করা। এস্থার এখানে তার বোন ম্যাক্স’কে সিস্টার আবিগেইল হত্যার ব্যাপারে কাউকে না বলতে ভয় দেখায়। বলে যে, ম্যাক্সও জেলে যেতে হবে। এতে করে ম্যাক্সের চিন্তাধার‍্য পরিবর্তন আসে। সে চুপ হয়ে যায়। আবার, জন’কে সিম্পেথ্যি দেখিয়ে ম্যানিপুলেট করা চেষ্টা করে এস্থার। 
[2] Domination :- কর্তৃত্ব স্থাপন। এ ধরনের মানুষ নিজেকে গেস্ট ভাবার চেয়ে হোস্ট রূপে দেখতেই পছন্দ করে। তাই এতিম এস্থার বাড়ির নতুন সদস্য হয়ে ঢুকলেও শেষ পর্যন্ত সকলের বিশ্বাস,  ব্যক্তিত্ব ও মস্তিষ্কে নিজের ডমিনেশন সৃষ্টি করে।  
[3] Aggression :- আক্রমনাত্বক ভাব। এরা মূলত গোপন রাগ ধরে রাখতে পারে না। কিছুটা শর্ট-ট্যাম্পার।
 স্কুলের বাচ্চা’টিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া, সবার সামনে চিৎকার দেয়া বা জন’এর কাছে রিজেক্টেড হয়ে হিংস্র হয়ে উঠা এস্থারের এই দিক’টি উন্মোচিত করে। 
[4] Impulsiveness :- তারা জানেন যা করছেন তা অন্যায়। অনুতপ্ত হোন। আবেগ-প্রবন হয়ে হয়ে পড়েন কিন্তু নিজেকে সেটা করা থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হোন। এস্থারের ক্ষেত্রে এটা মিসিং। কারন এই কাজ সে প্রথমবার করছে না। 
মূলত সোসিওপ্যাথ আর সাইকোপ্যাথের সুক্ষ্ম ব্যবধান এটাই। সকল সোসিওপ্যাথ’ই সাইকোপ্যাথ নয়। তবে, সোসিওপ্যাথ থেকেই মানুষ সাইকোপ্যাথে পরিনত হয়। এস্থার মূলত সাইকোপ্যাথে পরিনত হয়েছে। তাই তার ভিতর কোনো অনুতাপ নেই তার কৃত-কর্মের জন্য। 
[5] Desperation :- তারা মূলত যা চায়, তা পাওয়ার জন্য সব কিছু করতে পারে। আবার যা চাচ্ছে তা না পেলে সে’টার অস্তিত্ব মিটিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না। ফিল্মে, এটাই এস্থারের মূল ক্যারাক্টার আর্ক। 
এছাড়া তাদের আরবক’টি বিশেষ গুন রয়েছে। তারা মূলত “Good liar”- মানে “চমৎকার মিথ্যেবাদী”। এটা কিভাবে সম্ভব?  তারা মূলত মিথ্যে বলে না। তারা যা বলে তা তারা কল্পনায় গ্রহন করা সত্য। তাই তারা মিথ্যে বললেও তাদের শারীরিক ভাষায় তা সত্য বলে মনে হয়। এস্থারের ক্ষেত্রে, তার নাম, পরিচয়, তার বাচ্চা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করা বা বলা কথা সবই তার কল্পনায় সৃষ্টি করা ” সত্য” যা প্রকৃত অর্থে মিথ্যে। 
এবার আসি এই মানসিক রোগের চিকিৎসা কি…(?) 
◾চিকিৎসা পদ্ধতি◾
এস্থারের সমস্যাগুলো (সংক্ষেপে)। 
Conduct D. – Borderline D. – Anti-Social P. D.
 [1] Conduct Disorder (CD) (শিশু):- (ভূল শিক্ষা)
👇
Family & Social Value সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দান। 
[2] borderline Disorder (প্রাপ্ত বয়স্ক):- (আবেগ,রাগ) 
👇
১৮-২৫ বছর বয়স মধ্যকার সময়ে এটার সৃষ্টি হয়। Aggression & Impulsive Behaviour বেড়ে। 
সামান্য ব্যাপারে অতিরিক্ত রিয়্যাক্ট করা এটার লক্ষন৷ 
সমাধান__👇
 [Emotion & Anger Management  Therapy ]
      [এই থেরাপি’ই এখন Will smith নিচ্ছেন]
[3] Anti-social Personality Disorder ( ASPD)
১ এবং ২👆 যখন সময়মতো ট্রিটমেন্ট না হয় তখন এন্টি-সোসাইল ডিস-ওর্ডারে তা রূপান্তর হয়। এর জন্য লম্বা সময় বিভিন্ন থেরাপি সেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়৷ আর এটার মেডিটেশন হল_(বয়সঃ ২৪ থেকে ৪৫ বছর)
👇
[3.1] অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্টস:- 
এটি আপনার মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।  [সারট্রালাইন এবং ফ্লুওক্সেটিন]
[3.2] অ্যান্টি-সাইকোটিকস:-
 এর কাজ  হিংসাত্মক আচরণ বা আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করা। [ রিস্পেরিডোন এবং কুইটিয়াপাইন]
[3.3] মুড স্টেবিলাইজার:-
 এ পদ্ধতি মেজাজ বা আচরণে গুরুতর পরিবর্তনগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
              [লিথিয়াম এবং কার্বামাজেপাইন]
#পরামর্শঃ-
  “আমার সাথেই কেন এমন হয়!”,
 ” আমার জীবন’টা কেন এমন”।  
মূলত এই ধরনের ভাবনা থেকে মানসিক অশান্তি বা ডিপ্রেশন তৈরি হয়। তাই পরামর্শ হল, দেখুন পৃথিবী’টা বৈচিত্রময় আর আপনার সাথে যা ঘটেছে তা সেই বৈচিত্রের’ই একটি অংশ মাত্র। নিজেকে পানির মত গড়ে তুলুন। যে পাত্রে রাখা হয়, সেই পাত্রের রূপ নেয়ার মানসিকতা রাখুন। পৃথিবীর সত্য মেনে নিতে শিখুন। 
“পৃথিবী আমাদের নিয়মে নয়, পৃথিবীর নিয়মে আমরা” 
মনে রাখবেন, “যে সয়, সে রয়”- বাকীরা হারিয়ে যায়। 
সিদ্ধান্ত আপনার, হারিয়ে যাবেন নাকি লড়াই করবেন। 
মানসিক অসুস্থতা কিছুই না, আমাদের দূর্বল মনের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। জয় করুন স্মৃতিদের, এগিয়ে চলুন। 
নতুন রূপে, নতুন শুরুর দিকে। 
পৃথিবী সুন্দর, যদি দেখার চোখ সুন্দর হয়। 
সময় দেয়া জন্য- [ধন্যবাদ]। ভালো থাকবেন। ❤️
[যা শেয়ার করেছি তা ৭০% মাত্র]- পুরো’টা সম্ভব নয়। 
📌 If there is any “FILM CHARACTER” you want me to study. Let me know in comment section.
ক্রেডিটঃ ~[ সাইফ ভাইয়া]~ 
[Note :- I’m not a psychologist or a Therapist. 
I love to study ” Human Psychology” and love to share. C’z knowing about Mental health and it’s every Aspects is helpful to have a good life]

DMCA Notice:- All OUR Posts Image are Free and Available On INTERNET Posted By Its Rightful Owner or Somebody Else. I’m Not VIOLATING Any COPYRIGHT LAW by Sharing a Movie or Tv Show/Web Series Trailer ScreenShot or Scenes. It's simply Fair Usage of Work. While Writing Movie/Series Breakdown Review.
I am Simply Promoting and Marketing Those Copyrighted Owner Property. But If You think something on this post is VIOLATING the Copyright LAW, Please Notify US via This CONTACT us FORM. So That It Can Be Removed from our Website.

Disclosure: This post May contain affiliate links that support our Blog. When you purchase something after clicking an affiliate link, we may receive a commission. Also Note That We Are Not Responsible For Any Third-party Websites Link Contents. For more Read Our Terms and Conditions Thank You.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top