ভিন্ন ভিন্ন ৯টি গল্প নিয়ে ৭ থেকে ১৭মিনিটের ৯টি পর্ব।
◾EPISODE NO: 01◾
পোষ্ট ডেস্টোপিয়ান গল্প। পৃথিবী ধ্বংস হয়েছে বহুদিন আগে। তিনটি রোবট পৃথিবীতে আসে খোজ করতে যে কোনো মানুষ জীবিত আছে কিনা। সন্ধান পায় একটি ভিডিও ক্লিপের। স্পেস-শীপে করে একজন মানুষ পৃথিবী থেকে mars এ পাড়ি জমিয়েছেন। যাক, একজন মানব সন্তান জীবিত। কিন্তু কে সে…? 😂
RATING : 3.5/5.
◾EPISODE NO. 02◾
কিছু নাবিকের গল্প। হঠাৎ তাদের জাহাজে আক্রমণ করে একটি বিশালাকার কাকড়া। মারতে শুরু করে সবাইকে। সে মাংসাশী। নাবিক’রা সেই জন্তুটির সাথে একটি সন্ধি করে তাদের জীবনের বিনিময়ে। তারপর…
-দারুন এপিসোড।
RATING : 3.5/5.
◾EPISODE NO. 03◾
এটি দু’জন নভোচারীর গল্প। স্পেসশীপ ধ্বংস হয়ে যায় আর একজন মারা যায়। তার লাশ নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে রওনা করে অন্যজন। শেষ ঠিকানায় – মৃত্যু।
-গল্পের ফিলোসফি দারুন।
RATING : 3/5.
◾EPISODE NO. 04◾
Zombie apocalypse story. দেড় ঘন্টার জম্বি ফিল্ম এখানে আপনি ৫মিনিটে দেখতে পাবেন। সাত মিনিটের এপিসোড কিন্তু গল্প শেষ ৫মিনিটে। দারুন লেগেছে।
RATING : 4/5
◾EPISODE NO.05◾
একদল সৈনিক একটি সাইবর্গ ভাল্লোকের পাল্লায় পড়ে। জীবন বাচাতে লড়াইয়ের গল্প…..
সংলাপ বেশ ফানি এটার। ভালো লেগেছে।
RATING : 3.5/5
◾EPISODE NO.06◾
মআনব প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষায় ভিন্ন প্রজাতির সাহায্য কামনায় দূর কোনো গ্রহে আগমন এক মানবের।
ভালো লাগেনি। সবচেয়ে দূর্বল এপিসোড মনে হল।
RATING : 1.5/5.
◾EPISODE NO. 07◾
এক কৃষকের গুদাম ঘরে হামলা চালায় একদল বুদ্ধি-সম্পন্ন ইদুঁর। গুদাম রক্ষায় কৃষক নিয়ে আসে রোবট। শুরু হয় তুমুল লড়াই – রোবট আর ইদুরের।
– পুরো গল্পটাই চমৎকার। শেষটাও দারুন।
RATING : 4/5.
◾EPISODE NO. 08◾
বিশেষ মিশনে যায় একদল সৈনিক। গুহার ভিতর প্রবেশ করে আর অবাক কান্ড…. সেখানে পড়ে আছে মানব কঙ্কাল। একদম ফ্রেস কঙ্কাল। শরীরে কোনো রক্ত মাংসের চিহ্নমাত্র নেই। শুধু হাড্ডি। কে করলো..?
– ভালো লেগেছে এটাও।
RATING : 3/5.
◾EPISODE NO. 09◾
প্রাচীনকালের গল্প। এক জঙ্গলের মাঝখানে একটি পুকুর আর সেই পুকুরেই বসবাস এক দেবীর। যার শরীর জুড়ে স্বর্ন-অলংকার।
সেগুলো ছিনিয়ে নিতে ও তার শিকার করতে পুকুর পাড়ে আসে একদল সৈন্য ও ডাকিনী। শুরু হয় লড়াই….
DMCA Notice:- All OUR Posts Image are Free and Available On INTERNET Posted By Its Rightful Owner or Somebody Else. I’m Not VIOLATING Any COPYRIGHT LAW by Sharing a Movie or Tv Show/Web Series Trailer ScreenShot or Scenes. It's simply Fair Usage of Work. While Writing Movie/Series Breakdown Review.
I am Simply Promoting and Marketing Those Copyrighted Owner Property. But If You think something on this post is VIOLATING the Copyright LAW, Please Notify US via This CONTACT us FORM. So That It Can Be Removed from our Website.
Disclosure: This post May contain affiliate links that support our Blog.
When you purchase something after clicking an affiliate link, we may receive a commission.
Also Note That We Are Not Responsible For Any Third-party Websites Link Contents. For more Read Our Terms and Conditions Thank You.
1 thought on “লাভ ডেথ & রোবটস্ সিরিজ রিভিউ LOVE DEATH and ROBOTS Review”
Ashikur Rahman
SPOILER ALERT Jibaroএকটা নির্বাক আর ব্যর্থ ভালোবাসার গল্প। লোভ ও হতাশার গল্প। গল্পটা যতটা না শব্দের, তার চেয়ে বেশি অনুভূতির।কী হচ্ছে, কী করবে বুঝতে না পারা সৈনিকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক দৈব নারীসত্ত্বা৷ সহযোদ্ধাদের হারিয়ে হতবিহবল সৈনিক তখন সামনে অবস্থান করা স্বর্ণ ও মহামূল্যবান রত্নখচিত নারীসত্ত্বাটিকে দেখে শোক ও লোভের মিশ্র অনুভূতিতে জর্জরিত। আর অন্যদিকে এতদিন ধরে একখানা ব্যক্তিগত ভালোবাসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মৃতপ্রায় জান্তব নারীটি সামনের পুরুষটিকে দেখে মুগ্ধ-"কে এই পুরুষ? আমার ঘাতক আর্তচিৎকারে এখনো বটবৃক্ষের ন্যায় দণ্ডায়মান? তবে সে কি আমার আর্তচিৎকারের পেছনে লুকিয়ে থাকা করুণ ভালোবাসার প্রার্থনা বুঝতে পারলো? তবে সে-ই কি আমার অন্তিম পরিণয়? আমার প্রিয়তম?"কিংকর্তব্যবিমূঢ় সৈনিক ধীরে ধীরে এগোতে থাকে নারীমূর্তির দিকে, কারণ- সে যে তার শিকার! এদিকে নারীমূর্তি এগোতে থাকে কামনার চরিতার্থে, সে তো তার প্রিয়তমেষু! হয়তো এইবার কেউ তাকে এই চিরন্তন অভিশাপ থেকে মুক্তি দেবে, স্বস্তি দেবে, দেবে শান্তি। অথচ কী নিষ্ঠুর নিয়তি! প্রিয়তমকে চুমু খেলে রক্ত উঠে আসে মুখে, তার জীবনীশক্তি কেড়ে নেয়া হচ্ছে যেন! কেন এমনটাই হয় তার সাথে? এই অভিশাপ কি কখনোই শেষ হওয়ার নয়? এদিকে সৈনিক ভাবে, " এ তো আমাকে মেরে ফেলবে!", যে ভাবনা আগুনে ঘি ঢালার মতো করে তার লোভকে জ্বালিয়ে তোলে আরো দ্বিগুণ। তারা যেন কখনোই এক হবার ছিল না, তাদের ভালোবাসার আখ্যান যেন এক অসমাপ্ত ও নিরন্তর প্রাকৃতিক ঠাট্টা। অথবা ব্যাপারটা যেন দুই প্রেমের সম্মিলন, কেবলমাত্র একে অপরকে ধ্বংসের জন্যেই। এই একপাক্ষিক অসম্পূর্ণ প্রেম গাছে ফুল ফোটায় না, পাখিদের গলায় গান তোলে না, সূরের মূর্ছনায় মোহিত করে না। ছন্দময় নাচে কিচ্ছুক্ষণের জন্য মুগ্ধ সৈনিকও তাই তাড়াতাড়ি ফিরে আসে তার পাশবিক চৈতন্যে৷ ছিঁড়ে, খুবলে নিতে থাকে নারীসত্ত্বার সকল বাহ্যিক বিভব৷ নারীসত্ত্বাটিও তার ঘোর কেটে গেলে মেতে ওঠে একে অপরকে ধ্বংস করার এক রক্তাক্ত প্রতিযোগিতায়।আলবার্তো মিয়েলগো এবং তার দলের এক বছর সাত মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই জিবারো। এর আগেও দি উইটনেস এপিসোড, স্পাইডারম্যান আর উইন্ডশিল্ড ওয়াইপারে তার অনবদ্য অ্যানিমেশন স্টাইল দেখেছি। আলাদা করে যা নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে আলাদা করে বললে বলতে হবে অসম্ভব রকমের ডিটেইল্ড ক্যারেক্টার ডিজাইন ও এক্সপ্রেশনের ব্যাপারে। শুধুমাত্র নারীমূর্তির ক্যারেক্টার ডিজাইনেই যে পরিমাণ কাজ করতে হয়েছে তা প্রশংসনীয়। এছাড়া অ্যানিমেশন ও ভিএফএক্স টিমের অসাধারণ সমন্বয়ে সম্ভব হয়েছে একটি সংলাপহীন পরিপূর্ণ গল্প সফলভাবে উপস্থাপন। প্লট খুব জেনেরিক। এমনকি ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট এবং মোরালের দিক দিয়ে প্লটটাকে আমার দুর্বলই মনে হয়েছে। সেই একই ঈশপীয় শিক্ষা অথবা পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটা ক্লিশে এন্ডিং। তবে এসবই উতরে গেছে গল্পের উপস্থাপনার কারণে।আমার কাছে মিয়েলগোর বেস্ট কাজ "দি উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার" হলেও, এই কাজটা তার সবচেয়ে ভালো কাজগুলোর একটি হয়ে থাকবে।Love, Death and Robot
SPOILER ALERT Jibaroএকটা নির্বাক আর ব্যর্থ ভালোবাসার গল্প। লোভ ও হতাশার গল্প। গল্পটা যতটা না শব্দের, তার চেয়ে বেশি অনুভূতির।কী হচ্ছে, কী করবে বুঝতে না পারা সৈনিকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক দৈব নারীসত্ত্বা৷ সহযোদ্ধাদের হারিয়ে হতবিহবল সৈনিক তখন সামনে অবস্থান করা স্বর্ণ ও মহামূল্যবান রত্নখচিত নারীসত্ত্বাটিকে দেখে শোক ও লোভের মিশ্র অনুভূতিতে জর্জরিত। আর অন্যদিকে এতদিন ধরে একখানা ব্যক্তিগত ভালোবাসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মৃতপ্রায় জান্তব নারীটি সামনের পুরুষটিকে দেখে মুগ্ধ-"কে এই পুরুষ? আমার ঘাতক আর্তচিৎকারে এখনো বটবৃক্ষের ন্যায় দণ্ডায়মান? তবে সে কি আমার আর্তচিৎকারের পেছনে লুকিয়ে থাকা করুণ ভালোবাসার প্রার্থনা বুঝতে পারলো? তবে সে-ই কি আমার অন্তিম পরিণয়? আমার প্রিয়তম?"কিংকর্তব্যবিমূঢ় সৈনিক ধীরে ধীরে এগোতে থাকে নারীমূর্তির দিকে, কারণ- সে যে তার শিকার! এদিকে নারীমূর্তি এগোতে থাকে কামনার চরিতার্থে, সে তো তার প্রিয়তমেষু! হয়তো এইবার কেউ তাকে এই চিরন্তন অভিশাপ থেকে মুক্তি দেবে, স্বস্তি দেবে, দেবে শান্তি। অথচ কী নিষ্ঠুর নিয়তি! প্রিয়তমকে চুমু খেলে রক্ত উঠে আসে মুখে, তার জীবনীশক্তি কেড়ে নেয়া হচ্ছে যেন! কেন এমনটাই হয় তার সাথে? এই অভিশাপ কি কখনোই শেষ হওয়ার নয়? এদিকে সৈনিক ভাবে, " এ তো আমাকে মেরে ফেলবে!", যে ভাবনা আগুনে ঘি ঢালার মতো করে তার লোভকে জ্বালিয়ে তোলে আরো দ্বিগুণ। তারা যেন কখনোই এক হবার ছিল না, তাদের ভালোবাসার আখ্যান যেন এক অসমাপ্ত ও নিরন্তর প্রাকৃতিক ঠাট্টা। অথবা ব্যাপারটা যেন দুই প্রেমের সম্মিলন, কেবলমাত্র একে অপরকে ধ্বংসের জন্যেই। এই একপাক্ষিক অসম্পূর্ণ প্রেম গাছে ফুল ফোটায় না, পাখিদের গলায় গান তোলে না, সূরের মূর্ছনায় মোহিত করে না। ছন্দময় নাচে কিচ্ছুক্ষণের জন্য মুগ্ধ সৈনিকও তাই তাড়াতাড়ি ফিরে আসে তার পাশবিক চৈতন্যে৷ ছিঁড়ে, খুবলে নিতে থাকে নারীসত্ত্বার সকল বাহ্যিক বিভব৷ নারীসত্ত্বাটিও তার ঘোর কেটে গেলে মেতে ওঠে একে অপরকে ধ্বংস করার এক রক্তাক্ত প্রতিযোগিতায়।আলবার্তো মিয়েলগো এবং তার দলের এক বছর সাত মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই জিবারো। এর আগেও দি উইটনেস এপিসোড, স্পাইডারম্যান আর উইন্ডশিল্ড ওয়াইপারে তার অনবদ্য অ্যানিমেশন স্টাইল দেখেছি। আলাদা করে যা নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে আলাদা করে বললে বলতে হবে অসম্ভব রকমের ডিটেইল্ড ক্যারেক্টার ডিজাইন ও এক্সপ্রেশনের ব্যাপারে। শুধুমাত্র নারীমূর্তির ক্যারেক্টার ডিজাইনেই যে পরিমাণ কাজ করতে হয়েছে তা প্রশংসনীয়। এছাড়া অ্যানিমেশন ও ভিএফএক্স টিমের অসাধারণ সমন্বয়ে সম্ভব হয়েছে একটি সংলাপহীন পরিপূর্ণ গল্প সফলভাবে উপস্থাপন। প্লট খুব জেনেরিক। এমনকি ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট এবং মোরালের দিক দিয়ে প্লটটাকে আমার দুর্বলই মনে হয়েছে। সেই একই ঈশপীয় শিক্ষা অথবা পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটা ক্লিশে এন্ডিং। তবে এসবই উতরে গেছে গল্পের উপস্থাপনার কারণে।আমার কাছে মিয়েলগোর বেস্ট কাজ "দি উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার" হলেও, এই কাজটা তার সবচেয়ে ভালো কাজগুলোর একটি হয়ে থাকবে।Love, Death and Robot