গ্রিন ল্যান্টার্ন ও ব্লাক ল্যান্ট্রান এর শত্রু রেড ল্যান্টার্ন । তাই আজকে এদের নিয়েই লিখে ফেললাম সুপার ভিলেন অরিজিন পোস্ট ।
রেড ল্যান্টার্ন অরিজিন
রেড ল্যান্টার্নদের শপথ — With blood and rage of crimson red, Ripped from a corpse so freshly dead, Together with our hellish hate, We’ll burn you all that is your fate!
![]() |
image credit: DC COMIC/ DC Entertainment |
Red Lantern Origin Bangla
#Red_Lantern_Corps
রেড ল্যান্টারন কোরের প্রথম আগমন পাওয়া যায় ‘সিনেস্ট্র কোর ওয়ার’ এ। গার্ডিয়ানদের প্রথম চেষ্টা ছিল একটি মহাজাগতিক আন্তঃকেন্দ্র পুলিশ বাহিনী তৈরি করা । যা বিশ্বজুড়ে সমস্ত শত্রুদের মোকাবেলা করতে পারে। গ্রীন ল্যান্টারন কোর তৈরির আগে গ্রীন এনারজি দিয়ে গার্ডিয়ানরা এক রোবোট টিম বানায়। যাদের কে আমরা ম্যানহানটার নামে চিনি ।
কিন্তু গার্ডিয়ান ক্রোনার চিন্তাধারা ছিল অন্য গার্ডিয়ান থেকে আলাদা । গার্ডিয়ানরা ম্যানহান্টার কে তৈরি করেছিল শত্রুকে শুধু বধ করতে । কিন্তু ক্রোনা ইচ্ছা ছিল শুধু শত্রুকে বধ করা নয়, তাদের একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। তাই সে ম্যানহানটারদের প্রোগ্রামিং কোড পরিবর্তন করে দেয়।
তার এই অসুস্থ মানসিকতার শিকার হয় সেক্টর ৬৬৬। রোবটদল সেখানে সবাইকে মেরে ফেলে, শুধু মাত্র পাঁচজন বেঁচে যায়। এই পাঁচজন তাদের পরিবার ও বাকি সকলের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিজ্ঞা করে এবং ইযমল্ট নামক এক গ্রহে অবস্থান করে । তাদেরই এক সদস্য এট্রোসিটাস তার ক্রমাগত রাগ ও জিদের ফলে গঠন করে ফেলে প্রথম রেড পাওয়ার ব্যাটারি ।
Yellow Lantern Corps Origin Bangla
![]() |
image credit: DC COMICS/ DC Entertainment |
পরবর্তীতে সে সেন্ট্রাল রেড পাওয়ার ব্যাটারি গঠন করে । যার মাধ্যমে ল্যান্টার্নরা নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতা পেত । সেই সাথে সে নিজের ও বাকি চার সদস্যদের রেড ব্লাড ব্যবহার করে, রেড ব্লাড রিচুয়ালের মাধ্যমে। পরবর্তীকালে সে পুরো একটা ল্যান্টারন কোর তৈরি করে । যার মাধ্যমে তারা নিজেদের মতো করে একটি পরিপুর্ণ বাহিনী তৈরি করে, গার্ডিয়ানদের উপর প্রতিশোধ নেবার জন্য ।
প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছায় এই বাহিনী তৈরি হলেও কিন্তু এরা আস্তে আস্তে মহাজাগতিক গুন্ডা বাহিনীতে পরিণত হয়ে যায় । একবার গ্রীন ল্যান্টার্ন আবিন সুর তার স্পেসশীপে এক এট্রোসিটাসকে কে বন্দী করে ব্ল্যাক হ্যান্ড কে খুঁজতে যাচ্ছিল । যাতে করে ব্ল্যাক নাইট শুরু হওয়ার আগেই থামানো যায়। কিন্তু পথিমধ্যে সে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে সুরের এর উপর হামলা করে ও তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ইয়োলো ল্যান্টারন অরিজিন
পরবর্তীতে গাই গার্ডনার তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে । কিন্তু সে ডেক্স স্টারের সাহায্যে বেঁচে যায়। পরবর্তীতে যখন রেড কোর গার্ডিয়ানদের ওপর হামলা করে । সেসময় সিনেস্ট্রও গার্ডিয়ানদের কারাগার থেকে পালাতে যাওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু এট্রোসিটাস সেসময় হামলা না করে উল্টো সিনেস্ট্র কে তুলে নিয়ে যায় ইযমল্টে। সেসময় আমন সুরকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত লাইরাকে বের করে দেয় গ্রীন ল্যান্টারন কোর থেকে । তাকেও যাত্রাপথে বন্দী করে রেড কোরের সদস্যরা। সেই সময়ে এই খবর পেয়ে হাল সহায়তা নেয় সদ্য ব্লু ল্যান্টারন সৃষ্টিকারি সেন্ট ওয়াকার আর ব্রাদার ওর্থের।
কিন্তু সিনেস্ট্র ও এট্রোসিটাস নিজ নিজ দল নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্ল্যাক ল্যান্টারন কোরের সদস্যরা এট্রোসিটাসকে আক্রমন করে । মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে সক্ষম হয় শুধুমাত্র তার রিং এর রেজের কারনে। পরবর্তীতে লারফলীজ (এজেন্ট অরেঞ্জ) নামক অরেঞ্জ ল্যান্টারনের সাহায্যে তারা আপাতভাবে ব্ল্যাককোরদের হারায়।

এরপর হাল, সিনেস্ট্র, ক্যারল ফেরিস (ভায়োলেট ল্যান্টারন / স্টার সাফায়ার মেম্বার), ইন্ডিগো-১, সেন্ট ওয়াকার সবাই লারফলীজ ও এট্রোসিটাসের কাছে সাহায্য চায় । যাতে সবাই মিলে ইমোশনাল স্পেকট্রামের সাহায্যে সাদা বিম তৈরি করতে পারে । যা ব্ল্যাক ল্যান্টারনদের কোরকে ধ্বংস করতে পারবে।
এদের শপথ – With blood and rage of crimson red, Ripped from a corpse so freshly dead, Together with our hellish hate, We’ll burn you all that is your fate!
হোয়াইট ল্যান্টনের অরিজিন
এছাড়াও আমাদের white lantern corps bangla origin – হোয়াইট ল্যান্টার্ন অরিজিন পড়তে পাড়েন
White Lantern Corps Bangla Origin
অরিজিন লিখেছেন ‘আশিকুর রহমান পারভেজ’ । তাকে সহযোগিতা করেছেন সামিউল রাহাত ভাইয়া ।
#Red_Lantern_Corps_Origin_Bangla