ডক্টর স্ট্রেঞ্জ (2016) মুভি রিভিউ

Aggregor ben 10 alien origin bangla - ডক্টর স্ট্রেঞ্জ (2016) মুভি রিভিউ

ডাক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন্টু দ্যা মাল্টিভার্স অফ মেডনেস

মুভি নিয়ে সব সুপারহিরো ফ্যানদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে! এরই মাঝে একটার পর একটা মুভিতে ক্যামিও দেবার যে সকল লিক হওয়া নিউজ আসছে তাতে করে সবার মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক!

কারণ সব ফ্যানরাই চায় সারপ্রাইজ ক্যামিও দেখে এন্টারটেইন হতে এর মাঝে যদি এতো লিক ক্যামিও নিউজ দেওয়া হয় স্বাভাবিক ফ্যানরা বিরক্ত হবেই! স্পাইডারম্যান নো ওয়ে হোমে চার্লি কক্স, টোবি ম্যাগুয়ার, এন্ড্রু গার্ফিল্ডের মুভিতে থাকা নিয়ে যে লিক নিউজের টোটকাটা ফ্যানদের মাঝে কাজ করছে সেইম ব্যাপার ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২ য়েও কাজ করবে এমনটা ভুলও হতে পারে!

তবে I have faith on Feige তিনি একটা মুভিতে এতোগুলি কাস্ট এর ক্যামিও দিয়ে মুভিটা ruin করবেনা বলে আমার বিশ্বাস তার অবশ্যই কোন প্লান আছে! আভ্যাঞ্জারস ইনফিনিটি ওয়ার আর আভ্যাঞ্জারস এন্ডগেম তার প্রমাণ! আভ্যাঞ্জারস ইনফিনিটি ওয়ার এর আগে তো কিছু কিছু ফ্যানরা আগেই প্রেডিকশন দিয়েছিল যে এতোগুলা কাস্ট নিয়ে প্রত্যেককে স্ক্রিনটাইম কিভাবে পাবে,

 নিশ্চিত মারা খাবে মুভিটা” Well মার্ভেল স্টুডিওস তাদের করা অতীতের মুভি গুলি ভালো বা খারাপ যেটাই হোক সেটা থেকে শিক্ষা নেয় এবং ফ্যানদের চাওয়া পাওয়া পচ্ছন্দ মাথায় রেখে মুভি কন্টেন্ট বানানো চেষ্টা করে এর ফলফলা বানিজ্যিক ভাবে আভ্যাঞ্জারস ইনফিনিটি ওয়ার আর আভ্যাঞ্জারস এন্ডগেম ভালো ব্যবসা করেছে এবং ফ্যানদের পচ্ছন্দ নিয়ো মুভি!

 তাই আমার কাছে মনে হয়না যদি ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২ মুভিতে অতীতে দেখে আসা মার্ভেল স্টুডিওসের বাহিরে যে সকল মার্ভেল মুভি 20 Century Fox আন্ডারে করা হয়েছিল সেই সকল মুভির ক্যারেক্টরদের ক্যামিও মুভিতে বড় রকমের কোন ইফেক্ট ফেলবে!

 
এখন কথা হচ্ছে মুভিটা যদি ৩ ঘন্টার রানটাইম হয়ে থাকে তাহলে এতোগুলি ক্যারেক্টর এর ক্যামিও কিভাবে দেওয়া হবে এবং এর কতটুকু স্ক্রিনটাইম পাবে যখন প্রথমবারের মত ডক্টর স্ট্রেঞ্জ এর মুখামুখি হবে! 
উত্তরটা আমি পেয়েছি মার্ভেল এর এনিমেশন “ওয়াট ইফ” সিরিজ থেকে বিশেষ করে ফাইনাল এপিসোডে!
দেখুন ওয়াট ইফ সিরিজে যেটা হয়েছিল যে ফাইনাল এপিসোডে কোন কোন ক্যারেক্টর আলট্রন এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করবে তাদের প্রত্যেকের আলাদা ইউনিভার্সের স্টোরিলাইন আলাদা আলাদা এপিসোডে দেখানো আর সবচেয়ে মূখ্য কারণ ছিল আগত মার্ভেলের সকল মুভি প্রজেক্টে মাল্টিভার্স এর আগাম ধারণা দেওয়া!

সেক্ষেত্রে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২ মুভিতে যারা যারা যে সকল মার্ভেল সুপারহিরোরা ক্যামিও দিবেন তারা আমাদের পূর্ব পরিচিত! তাদেরকে অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম দিয়ে আমাদের সাথে পরিচয় করাবেনা এটা Sure থাকেন! তাহলে তারা ডক্টর স্ট্রেঞ্জ এর সাথে মুখোমুখি হবে কিভাবে? উত্তরটা একটু হাস্যকর হলেও উত্তরটা “ওয়াট ইফ” সিরিজে পেয়েছি!

 
দেখুন যখন ওয়াট ইফ সিরিজের লাস্ট এপিসোডে দ্যা ওয়াচার ডক্টর স্ট্রেঞ্জ এর কাছে হেল্প চায় তখন ডক্টর স্ট্রেঞ্জ বলে যে সে একা আলট্রনকে হারাতে পারবেনা, তখন দ্যা ওয়াচার ভিন্ন ভিন্ন ইউনিভার্স থেকে যোগ্য সুপারহিরোদের পিক করে! পিক করার সময় দ্যা ওয়াচার কিন্ত শুধু এতোটুকুই বলে যে “You have been choosen” এর বদলে যাদের কে সে পিক করছে তাদের কি মন্তব্য, তারা রাজী আছে নাকি না সে কোন সময়ই দেয়নি তাদের উত্তর শুনার সরাসরি তাদেরকে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ এর কাছে নিয়ে যায়!

সেখানে সবাই একত্র করার পর ডক্টর স্ট্রেঞ্জ তাদেরকে পিক করার আসল উদ্দেশ্য তুলে ধরে! So এখন কি মনে হচ্ছে আপনাদের কাছে স্ক্রিনটাইম ক্যামিও যারা দিবে তারা বেশি খাবে?আর যেহেতু ডক্টর স্ট্রেঞ্জ প্রথমবারের মত মাল্টিভার্স এর সুপারহিরোদের সাথে মিট করবে সেক্ষেত্রে সর্বোচ সবাই ৫ মিনিট থেকে ৩ মিনিট এর বেবোধানে স্ট্রেঞ্জ প্রত্যেক ক্যামিও সুপারহিরোদের কাছে তার পরিচয় পর্ব সেরে ফেলবে!

এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ডক্টর স্ট্রেঞ্জ যখন ব্রুস ব্যানারকে সাথে নিয়ে প্রথমবারের মত টনি স্টার্কের এর সাথে আভ্যাঞ্জারস ইনফিনিটি ওয়ারে পার্কে দেখা করে, সেই স্ক্রিনপ্লে দেখলেই বুঝতে পারবেন ডক্টর স্ট্রেঞ্জ কত কম সময়ের মাঝে টনি স্টার্কের কাছে নিজের পরিচিতি তুলে ধরেছিল!

অনেকের কাছে প্রশ্ন হতে পারে যে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ এইসব মাল্টিভার্স এ গিয়ে এই ক্যামিও সুপারহিরোদের কেন পিক করবে? উত্তর হচ্ছে বিভিন্ন সোর্স আর লিক নিউজ অনুযায়ী মুভিতে একটা ডার্ক ফোর্স আর্মিদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে ডক্টর স্ট্রেঞ্জকে যা ডক্টর স্ট্রেঞ্জ একা কামারতাজ বাহিনীদের নিয়ে করতে পারবেনা!
উপরের সকল কিছুই আমার শুধুই প্রেডিকশন!

 
মুভি আসতে আর মাত্র ৩ মাসের মত বাকি! মুভি মুক্তির পর দেখা যাবে আমার প্রেডিকশন ভুলও হতে পারে! তাই আশা করি সবাই পোষ্টি স্বাভাবিক ভাবেই নিবেন!
গ্রুপে আমার অনেক Close বড় ভাই-ছোট ভাইয়ারা আছে যারা এইসব ক্যামিও এর লিক হওয়া নিউজ নিয়ে তিক্ত ও বিরক্ত! তাদেরকে বলছি ভাই কেভিন ফাইগি আর স্যাম রাইমির উপর ভরসা রাখুন হতাশ হইয়েন না!মার্ভেল এতো বড় একটা মুভি করছে অবশ্যই ফ্যানদের ডিসাপোয়েন্ট করবেনা!

DOCTOR STRANGE : MULTIVERSE OF MADNESS

আজ একটু MOM এর টিজার + কমিক লাইন + YT এর রেফারেন্স অনুযায়ী স্টোরি কিছুটা এরকম হতে পারে।

 
1ST মুভি এর মেন ভিলেন ওয়ান্ডা। কমিক এর মধ্যেও সে একবার সে সফলভাবে রিয়ালিটি চেঞ্জ করেছে। আর এই বার সে চেঞ্জ করতে যাবে আর স্ট্রেঞ্জ তাকে আটকাবে।
 
স্টোরি শুরু হবে NWH দিয়ে সে মাল্টিভার্স নিয়ে যা কিছু করেছে টা সে ঠিক করতে চায়। তাই যারা মাল্টিভার্স নিয়ে জানে তাদের কাছে যাচ্ছে। সবার প্রথম এ সে যাবে ওয়ান্ডা এর কাছে। যেহেতু সে MV ( MULTIVARSE ) এর সম্পর্কে জানে। কিন্তু ওয়ান্ডা তো এক পাগলামি নিয়েই ব্যাস্ত তার সন্তান ফিরে আনতে। স্ট্রেঞ্জ এর সাথে রিসার্চ করার পর ওয়ান্ডা কিভাবে তার সন্তানদের আনা যায় সেটা জানতে পারবে। আর স্টিভেন বুঝতে পারবে এটা ভয়ংকর ফল আনবে। আর এভাবেই মুভি এর ক্লাইম্যাক্স শুরু হবে। 
এর পর স্ট্রেঞ্জ আমেরিকান ক্যাভাজ এর কাছে যাবে। তাকে নিয়ে সুপ্রিম স্ট্রেঞ্জ এর কাছে যাবে। WHAT IF…? এর থেকে ভিন্ন একটা জিনিষ হবে যে MCU এর স্ট্রেঞ্জ সুপ্রিম স্ট্রং কে আবসর্ভ করবে। এটার প্রমাণ দিবো একটু পরে। তারপর তাকে প্রফেসার ( X-MAN ) তাকে গেরেফতার করবে ওয়ান্ডাকে এত ভয়ংকর করার জন্য। তারপর সে প্রফেসার কে কনভেন্স করবে হেল্প এর জন্য। তারপর সুপ্রিম স্ট্রং এর সেন্টরিয়াম এ তারা ওয়ান্ডা এর জন্য অপেক্ষা করবে। আসলে অপেক্ষা না কোনো একটা কিছু কে প্রোটেক্ট করবে। ওই খানে ওয়ং এর উপর টর্চার হবে। এর পর কাহিনী আগাবে। 
এইবার কিছু প্রমাণ দেই। টিজার এ যেই সন্টোরিয়াম টা দেখানো হয় সেটার সিড়ির রেলিং এ দুইটা মূর্তি আছে কিন্তু MCU তে এটা নাই। দুই নাম্বার হলো WHAT IF…? এ সুপ্রিম স্ট্রেঞ্জ এর একটা ইভিল ভাইব আছে কিন্তু টিজার এ যখন সে ড্রাগন আনে তখন তার মধ্যে ইভিল ভাইব নাই। অর্থাৎ MCU এর স্ট্রেঞ্জ ই সুপ্রিম স্ট্রেঞ্জ কে অবসর্ব করে।

আজব কবিরাজ (২০১৬)

ORIGINAL TITLE: DOCTOR STRANGE (2016)
Type:Movie

Industry:USA

Official Language: English
Genre: Superhero, Action, Adventure, Fantasy
Based on: Doctor Strange
By
Stan Lee , Steve Ditko
Director: Scott Derrickson
Cast: Benedict Cumberbatch, Chiwetel Ejiofor, Rachel McAdams, Benedict Wong, Tilda Swinton, Mads Mikkelsen and others.
Initial release: October 13, 2016 (Hong Kong),
November 4, 2016 (United States)
Duration: 115min (1hr. 55min.)
Budget: $165-236.60 million
Box office: $677.70 million
Ratings:

IMDB:

7.5/10 (682K+ votes) – (PG-13)

Rotten Tomatoes: Tomatometer: 89%| Audience Score: 86%
Personal:7.5/10

⚠ ⚠  [S P O I L E R A L E R T] ⚠ 

ডক্টর স্ট্রেঞ্জ মুভি রিভিউ
  • সিনেমার নামটা যেমন আজব, কাহিনীটা তেমনই আজব, আবার ক্যারেক্টারগুলোর কার্যক্রম, আচার আচরনও তেমনটাই আজব। এটি মারভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ১৪ তম ইন্সটলমেন্ট।
মারভেলের এই কবিরাজের কাহিনী ডিসি’র ভাগ্য (ডক্টর ফেট) থেকে অনুপ্রাণিত। ডিসি বাণিজ্যিক ধারায় ফেটকে ব্যর্থ করলেও মারভেল তাদের তান্ত্রিককে ইন্টোডিউস করানোর ক্ষেত্রে ভালোই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে।
  • Synopsis:  এক অহংকারী, একগুয়ে নিউরোসার্জন নিজেকে অন্য সবার চেয়ে বড় মনে করেন। তিনি নিজেকে একজন সবজান্তা সমীপেষু হিসেবে ভাবেন। কোনো এক সন্ধ্যায় এক কনফারেন্সে যাওয়ার জন্য গাড়িতে করে সেখানে রওনা দেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিজের দুই হাতের বারোটা বাজিয়ে ফেলেন। যেহেতু তিনি একজন নিউরোসার্জন, তাই হাতের ব্যবহার তো লাগবেই। তিনি তাঁর হাত ঠিক করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে থাকেন; কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়না। ঘটনাক্রমে তিনি নেপালের কাঠমুন্ডুর কামার-তাজ নামক এক জায়গার সন্ধান পান। ব্যস, কাহিনী এখান থেকেই শুরু।
কি হবে এরপর? ডাক্তার সাহেব কি পারবেন তাঁর দু’হাত আবার ঠিক করতে? না-কি উল্টো আবার কোন ঝামেলায় জড়াবেন?
এসবের উত্তর খুঁজতে দেখে ফেলুন ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের এই সুপারহিরো মুভিটি। ও হ্যাঁ, ২টা পোস্ট ক্রেডিট সিন আছে কিন্তু! যারা মারভেলের সিনেমা দেখতে খুব একটা অভ্যস্ত নন তাদের জন্য এটা মনে করিয়ে দিলাম।
  • Personal Opinion: কথায় বলেঃ “অহংকার পতনের মূল।“ কিন্তু এখানে উত্থান-পতন ২টা একসাথেই দেখতে পাবেন।
সিনেমায় ভিএফএক্স, কালার গ্রেডিংসহ অন্যান্য জিনিস ভালোই ছিলো।
পুরো সিনেমায় স্ট্রেঞ্জ কাকু বাদে বাকিদের অভিনয় যথেষ্ট সিরিয়াস ছিলো; স্ট্রেঞ্জের কিছু কিছু কথাবার্তায় হিউমার ছিলো যেগুলো শুনলে মজা পাবেন। 
ম্যাডস মিকেলসেন, কাইসেলিয়াস চরিত্রে এতোই অসাধারণ ছিলেন যে আমি প্রায় ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। বাকি সবার অভিনয়ই ভালো ছিলো।
একটা সিনেমা তখনই ভালো হবে যখন এর ভিলেন চরিত্রগুলো পার্ফেক্ট হয়। সেদিক দিয়ে এই মুভিটা সফল।
সিনেমাটা যখন প্রথম রিলিজ হয় তখন প্রথম আলো পত্রিকা এটার খুব প্রশংসা করেছিলো। পরে মুভি দেখে বুঝলাম যে কথাগুলো ভুল বলেননি রিপোর্টার।
সিনেমার দু’টো জিনিস আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। একটা হলো মিরর ডাইমেনশন, আরেকটা যখন শরীর থেকে আত্মাকে আলাদা করা হয়। এছাড়াও পুরো সুপারহিরো লাইভ অ্যাকশন জগতে এটাই একমাত্র সলো মুভি যেটার সিক্যুয়েল আসতে এতো সময় লেগেছে। 
সকল পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সুদীর্ঘ ৬ বছর পর আগামী মে মাসের ৬ তারিখে মুক্তি পাবে এটার ২য় সিক্যুয়েল।
স্টিফেনের জন্য আমার সত্যিই খুব মায়া লাগছে। লোকটার ভাগ্যটাই আসলে খারাপ। বেচারা গিয়েছিলো নিজের হাত ঠিক করতে; অথচ এখন দুনিয়া বাঁচানো লাগতেছে। নিজের ডাক্তারি ক্যারিয়ারও শেষ। এর উপর ভবিষ্যৎ অ্যাভেঞ্জার্সের লিডার থাকবে সে। কাহিনী এখানেই শেষ নয় মেম্বারদের মধ্যে মানসিক রোগী ওয়ান্ডা, আধা-পাগল জেসিকা জোনস, কানা ডেয়ারডেভিল আর বাচ্চা শিশু আয়রন ফিস্টের মতো পাবলিকদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
  • শেষ কথাঃ সিনেমাটা যারা দেখেননি, কিংবা দেখলেও রিওয়াচ দেবেন বলে ভাবছেন তাদেরকে আমি সাজেস্ট করবো এটার আইম্যাক্স ভার্শনটা দেখার জন্য। থিয়েটারের মতো ফিল না পেলেও নরমালটা থেকে কিছুটা ভালো ফিল পাবেন। ৪০% এর মতো সিন ফুল স্ক্রিনে পাবেন।
আবারো একটা কথা বলে আমার রিভিউ এখানেই শেষ করছিঃ অবশ্যই মুভিটির পোস্ট ক্রেডিট সিন ২টা দেখবেন।
অরিজিনাল মুভিটি টরেন্টসহ দেশি-বিদেশি জনপ্রিয় মুভি সাইটগুলোতে পেয়ে যাবেন।

আ সং অফ আইস এন্ড ফায়ার – A Song of ice and fire

যাদের কাছে এটা অনেকটা স্পয়লার টাইপ এর মত মনে হয় অথবা যদি মুভি প্লট সম্পর্কে না জানতে চান তাহলে স্কিপ করতে পারেন 🙂

এটা জাস্ট একটা থিউরি

সিরিয়াসলি না নিযে মজা নিতে পারেন।

Inspired by (SUPER INDIA) youtube channel.

সাথে নিজের কিছু থিউরি।
ফার্স্ট এ হাফ আমেরিকা শেভেজ আর ইলুমিনাতি এর কাহিনি দিয়ে শুরু হবে।

আমেরিকা শাভেজ একজন মিউট্যান্ট হতে পারে অথবা যাই হোক সাথে সে একজন নেক্সাস বিইং। তার ক্যাপাবিলিটি সম্পর্কে পুরো মাল্টিভার্স এর সবাই জানে। যেহেতু সে একজন মিউট্যান্ট হতে পারে সেহেতু তার সাথে প্রফেসর এবং ইলুমিনাতির সাথে। ইলুমিনাতি এখানে পুরো মাল্টিভার্স এর দেখাশুনা করে সুতরাং তাকে ইলুমিনাতির কাছে থাকা মেক সেন্স করে।

কিন্তু আমরা জানি যে ইলুমিনাতি আকাইম্মা একটা দল হতে পারে।

সুতরাং সে কোনো রকম এখান থেকে পালাইয়া বের হবে

তারপর তার পিছে পরে যাবে পুরো মাল্টিভার্সের বিভিন্ন ক্রিচার। তারপর তাকে কোনো একটা ক্রিচার ধরে ফেলবে যেখানে ট্রেলার এ শেভেজ এর হাত পা বাধা থাকবে এখানে চলে আসবে ডিফেন্ডার স্ট্রেন্জ।
তার নাম ই ডিফেন্ডার স্ট্রেন্জ সো সে তো কিছু একটা ডিফেন্ড করবে যেমন মার্টিভার্স কে ডিফেন্ড করতে পারে।

সুতরাং সে অবশ্যই শেভেজ কে ডিফেন্ড করার জন্য আসবে। যেটা টিভি স্পট এ দেখতে পাই।

সো ডিফেন্ডার স্ট্রেন্জ ক্রিচার টার সাধে ফাইট করতে গিয়ে খুবই খারাপ অবস্থা হবে টিভি স্পট এ দেখতে পাই যে তার এক চোখ এ রক্ত অথবা তার চোখ নাই এবং সে নিথর দেহ এর মত নিচে পরে যাচ্ছে। সো ডিফেন্ডার স্ট্রেন্জ এখানে মারা যাবে।
স্টার শেপ পোর্টাল দিয়ে শেভেজ আমাদের পৃথিবীতে এসে পৌছে যাবে, যেখানে আমাদের স্ট্রেজ এর সাথে দেখা হয়ে যাবে। স্ট্রেন্জ তাকে দেখবে এবং সে মনে মনে ভাববে তার ক্ষমতা কতটুকু, এবং সে ভুল হাতে পরলে কি হতে পারে সো শেভেজ যে ইলুমিনাতির কাছে থেকে ভেগেছে

সেটা পুরো মাল্টিভারসাল এনটিটির জানা হয়ে যাবে।

সাথে সাথে গার্গান্টোস নিউইয়র্ক এ হামলা করবে শাভেজ এর উপর এবং স্ট্রেন্জ এবং ওং মিলে তাকে ডিফেন্ড করবে। তখন স্ট্রেন্জ বলবে তোমার

ফিরে যাওয়া উচিত, সো আমাদের স্ট্রেন্জ এর শুরু হবে মাল্টিভারসাল জার্নি যেখানে এক রিয়ালিটি থেকে অন্য রিয়ালিটি তো জাম্প মারবে যেটা ট্রেলার এ ও দেখি।
সো শাভেজ কে গার্গান্টোস আক্রমন এর দৃশ্য হয়তো টিভি তে প্রচার হবে তা ওয়ান্ডা দেখে ফেলবে। তখন ওয়ান্ডা চিন্তা করবে যদি সে একবার শাভেজ কে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে পারে তবে সে তার বাচ্চা কে ফিরে আনতে পারে। বলে রাখি শাভেজ এমন এনটিটি যে কিনা নেক্সাস অফ অল রিয়ালিটি তে পৌছাতে পারে।

সো ইলুমিনাতির সর্সেরার সুপ্রিম হতে পারে মর্ডো। যেটা ট্রেলার এ দেখি যে ওই রিয়ালিটিতে স্ট্রেন্জ এর মূর্তি সো স্ট্রেন্জ ওই রিয়ালিটি তে বোচে নেই হতো কোনো একটা বড় ইভেন্ট ও নিজেকে স্যাক্রিফাইস করেছে। যার কারনে হয়তো বড় বড় টিম এর লিডার রা মিলে ইলুমিনাতি সংঘটন বানায়। যাদের কাজ মাল্টিভার্সের থ্রেট গুলো রুখে দেওয়া।

ওই রিয়ালিটি তে আমাদের স্ট্রেন্জ স্ট্যাচু তে ভিজিট করে।

এবং হাই টেক দিয়ে কোনো না কোনো ভাবে সে আমেরিকা শাভেজ এবং আমাদের স্ট্রেন্জ কে গ্রেফতার করবে যেখানে মর্ডো বলে your Desecration of all reality will not go unpunished.

যেহেতু স্ট্রেন্জ আমাদের ইউনিভার্সে, মাল্টিভার্স নিয়ে অনেক খেলা খেলছে। সো আমেরিকা শাভেজ কে আমারা একটি কাচের বক্স এ বন্দি অবস্থায় দেখতে পাই। পাশে ডেডপুল ও থাকতে পারে কারন যেহেতু ইলুমিনাতি একটা মাল্টিভারসাল টিম সো ডেডপুল ২ মুভি তে আমরা দেখেছিলাম সে টাইম ট্রাভেল করে কেমন ফাইজলামি করেছিলো।

যাই হোক এবার শাভেজ কে উদ্ধার করার জন্য ওয়ান্ডা চলে আসবে এবং খুব সম্ভবত সে সবাই কে হারাবে। এবং সে হয়ে যাবে মার্টিভারসাল থ্রেট। যেটা হতে পারে সে ডার্কহোল্ড দ্বারা করাপ্ট হয়ে গেছে আবার হতে পারে তার বাচ্চার জন্য সে ডেসপারেট হয়ে আছে।

মনে আছে ডিফেন্ডার স্ট্রেন্জ এর কথা? তাকে রিভাইব করা হবে হোক তাকে ডার্ক ম্যাজিক দ্বারা রিভাইব করা হোক অথবা এমন মাল্টিভারসাল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য খোদ মাল্টিভার্স তাকে রিভাইব করবে, অথবা অন্য কেও তাকে রিভাইব করবে যে পুরো কাহিনীর পেছনে থাকবে। 35 যাই হোক ডিফেন্ডার স্ট্রেন্জ হয়ে যাবে ব্ল্যাক প্রিস্ট স্ট্রেন্জ। অথবা যম্বি স্ট্রেন্জ Whatever.

যার কাজ ই ছিলো পুরো মাল্টিভার্সের ভারমাম্য বজায় রাখার জন্য। তার কোনো কনসিয়াস নেস থাকবে না শুধু পারপাস থাকবে মার্টিভার্স কে বাচানো।

কারন সে তো মরেই গেছে আগে 🙂 এবং তার মেইন টার্গেট হবে ওয়ান্ডা কারন সে ইতিমধ্যে মাল্টিভার্সাল থ্রেট হয়ে গেছে।

সে যেহেতু মৃত সেহেতু সে আনলিমিটেড ডার্ক ম্যাজিক নিজের দিকে ড্র করবে। আশের পাশে অনেক Soul উরতে দেখা যায়। সে অনেক বেশি পাওয়ারফুল হবে। 41 এবং ওদের মধ্যে ধুমধারাকা একশন হবে।

সবাই বলতে পারেন সবই যদি ডিফেন্ডার স্ট্রেন্জ করে তাহলে আমাদের স্ট্রেন্জ কি করবে?

আপনারা যদি একটা জিনিস খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন যে Phase 4 এর প্রত্যেকটা মুভি তে এক এর বেশি ভিলেন আছে।

যেমন : Eternal : ইকারিস, আরিশেম wanda vision : সোর্ড, আগাথা , LOKI : ক্যাং, টিভি এ shag chi : মান্দরিন, বিশাল ড্রাগন no way home : ৫ জন ভিলেন

সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে যে ডক্টর স্ট্রেন্জ এ এক এর বেশি ভিলেন থাকবে। এবং আমাদের স্ট্রেন্জ এটার পিছননে কে রয়েছে তার খোজে চলে যাবে এবং খুজে পাবে।

হতে পারে তার সাথে আর স্ট্রেজ এর সাথে ফাইট হবে একদম সবচেয়ে সেরা ফাইট তবে এই থিউরির কিছু সমস্যা রযেছে যেমন : No 1 : নো ক্লিয়ারেন্স অফ রিয়াল ভিলেন। No 2: ট্রেলারে দেকেছিলাম ওয়ান্ডার ভ্যারিয়েন্ট 57 কিন্তু থিউরিতে কোথাও এটা উল্লেখ করি নি। No 3 : সিনিস্টার স্ট্রেন্জ এই থিউরির বাইরে। 59 হতেও পারে এসব এর পিছনে সিনিস্টার স্ট্রেন্জ রয়েছে। 60 এবং 2nd হাফ এ কান্ড গুলা অনেক বড় হয়ে দাড়াবে যেমন : ডিফেন্ডার স্ট্রেন্জ থেকে ব্ল্যাক প্রিস্ট এ পরিনত হওয়া, ওয়ান্ডা মাল্টিভারসাল থ্রেট এ পরিনত হওয়া আরো অনেক বড় বড় কিছু ঘটনা। তখন আমাদের স্ট্রেন্জ সিনিস্টার স্ট্রেন্জ কে খুজে বের করবে 63 যে সব মূল হোতা

যেখানে সিনিস্টার স্ট্রেন্জ একটা evil হাসি দিয়ে তার বিখ্যাত ডায়লগ বলবে 65 Things just got out of hand 😈

My theory on Multiverse of Madness.

মুভি শুরু হবে ডক্টর স্ট্রেঞ্জের নাইটমেয়ার দিয়ে। তারপর ক্রিস্টিনের বিয়ে। সেখানে প্রথম আমেরিকা শাভেজের আগমন ঘটবে। যাকে কোনো মাল্টিভার্সাল ভিলেইন(গরগান্টোস হতে পারে) দৌড়াইতে দৌড়াইতে নিয়ে আসবে আমাদের এখানে। তারপর আমাদের স্ট্রেঞ্জ তাকে তাদের হাত থেকে বাঁচাবে। এরপর স্ট্রেঞ্জ যাবে ওয়ান্ডার কাছে হ্যাল্পের জন্যে।

কিন্তু হবে হিতে বিপরীত। তাই শাভেজ তাকে নিয়ে অন্য ইউনিভার্সে যাবে, কোনো শক্তিশালি সর্সারার সুপ্রিমের সাহায্যের জন্যে, যেখানকার সর্সারার সুপ্রীম মর্ডো। সে স্ট্রেঞ্জকে হ্যাল্প করতে অপরাগতা প্রকাশ করবে এবং তাকে ইলুমিনাতির কাছে সোপর্দ করবে। শাভেজকে বন্দি করবে সেলে।

ট্রেইলারের এক পর্যায়ে দেখা যায় Illuminati compound এ আমেরিকা শাভেজ কোনো একটা বক্সের ভেতর বন্দি, তার পাশে ক্রিস্টিন পালমারের ভ্যারিয়ান্ট Clea এবং ক্লিয়ার ওপর পাশে আরেকটা বক্স। ট্রেইলার ওই বক্সটা যদিও খালি দেখা গেছে। এই দুই বক্স আমরা আবারও দেখতে পাই যখন ওয়ান্ডার চোখের ভেতর ক্যামেরা জুম করা হয়।

আমার থিওরি হচ্ছে ওই বক্সের একটাতে ডেডপুল থাকবে। ইলুমিনাতি আমেরিকা শাভেজ এবং ডেডপুলকে বন্দি করে রাখবে। আমেরিকার শাভেজের অপরাধতো আমরা জানিই। সে একজন নেক্সাস বিং, এক ইউনিভার্স থেকে অন্য ইউনিভার্সে পোর্টালের মাধ্যমে যেতে পারে।

 কিন্তু ডেডপুলের দোষ কি? ডেডপুলের ক্রাইমও মাল্টিভার্স ওপেন। ডেডপুল ২ এর ক্রেডিট সিনে দেখতে পাওয়া যায়, ডেডপুল, ক্যাবলের টাইম মেশিন দিয়ে টাইমলাইনের মারাত্মক একটা ব্যাঘাত ঘটায়। তার সেই ১৯/২০ করার কারণে মাল্টিপল টাইমলাইন ব্রিচ হয়। এজন্যে ইলুমিনাতি ডেডপুলকে ক্যাপচার করে রাখে।

ঠিক যেভাবে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ এবং শাভেজকে বন্দি করে আনে। এই ইলুমিনাতি কম্পাউন্ডেই ডক্টর স্ট্রেঞ্জের সাথে Cleaর দেখা হবে। ডক্টর স্ট্রেঞ্জ এবং শাভেজকে মুক্ত করবে ওয়ান্ডা। ওয়ান্ডা মূলত আসবে আমেরিকা শাভেজের জন্যে, যাতে শাভেজের পাওয়ার ইউজ করে মাল্টিভার্স ট্র‍্যাভেল করতে পারে। তাদেরকে মুক্ত করতে গিয়ে ওয়ান্ডার সাথে ইলুমিনাতির ফাইট হবে।

এখানেই আমরা ক্লাসিক Xavier vs Wanda ফাইট পেতে পারি। তো ওয়ান্ডার সাহায্যে শাভেজ, ডেডপুল এবং স্ট্রেঞ্জ মুক্ত হওয়ার পর, ওয়ান্ডা চাইবে শাভেজকে ইউজ করে মাল্টিভার্স থেকে তার বাচ্চাদের নিয়ে আসতে। এখানে হয়ত ওয়ান্ডার সাথে এই তিনজনের একটা ফাইট থাকবে।

flash last temptation of barry allen Review

কোনো একটা পর্যায়ে ওয়ান্ডাকে বিট করে শাভেজ, ক্লিয়া আর স্ট্রেঞ্জ আবারও তাদের যাত্রা শুরু করবে সবকিছু ফিক্স করার জন্যে। এই সবই হবে মুভির শুরুর দিকে অথবা প্রথম হাফে। দ্বিতীয় হাফ হবে পুরাটা Madness। টাইমলাইন মেল্টিং, Watcher vs Ultron ফাইটের মতো মাল্টিভার্স জার্নি, zombie Strange। আরো বাকি কারেক্টারদের ক্যামিও etc.

আমি সব ধরনের ভূলত্রুটির জন্যে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। এটা শুধুই আমার মাথায় ঘুরপাক খাওয়া একটা ছোট্ট থিওরি। কারো কাছে ইললজিক্যাল মনে হলে হতেও পারে। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Total Views: 524

Scroll to Top