রবার্ট ডাওনি জুনিয়র বাস্তব জীবনের সুপারহিরোর ইতিকথা

Robert Downey Jr photo tvhex blog post - রবার্ট ডাওনি জুনিয়র বাস্তব জীবনের সুপারহিরোর ইতিকথা

রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এর বায়োগ্রাফি বা জীবনী নিয়ে বায়োপিক পোস্ট Robert Downey Jr Bangla Biographyসাধারণত আমি কখনো কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর বায়োগ্রাফি লিখিনি কিংবা এর আগে কোন তারকাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করি নি। 

 তাই ভাবলাম টিন ম্যান আইমিন ধোপা ম্যান মানে আইরন ম্যান খ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডাওনি জুনিয়র এর জন্মদিন উপলক্ষে তার ক্যারিয়ার সম্পর্কে কিছু জানাই ।
{tocify} $title={Table of Contents} 

রবার্ট ডাউনি জুনিয়র বাস্তব জীবনের সুপারহিরোর ইতিকথা

RDJ শুধুই একটা নাম নয়। রবার্ট ডাউনি জুনিয়র জীবন যুদ্ধে বিজয় অর্জনকারী একজন, একটা ভালোবাসা, এগিয়ে চলা, একটা আশার নাম।

যার ছোট বেলা থেকে শুরু করে তরুন বয়সেও যে বিভিন্নভাবে সমস্যায় পড়েছে । তার সেই সকল সমস্যাকে পেড়িয়ে এসে আজকে আমাদের শার্লক হোমস কিংবা আইরন ম্যানের বিষয়ে জানব৷

I am Iron Man

Robert-Downey-Jr-Bangla-Biography
Copyright: Robert Downey JR Facebook Page

রবার্ট ডাউনি জুনিয়র বায়োগ্রাফি

ছোটবেলায় নিজের বাবা জোর করে তাকে মাদক সেবন করাতো। অন্যদিকে মাত্র ১২ বছর বয়সে তার বাবার গার্লফ্রেন্ডের কাছে নিজের ভার্জিনিটি হারিয়েছে। যার ফলে সে ছোটবেলায় অনিচ্ছায় মাদকাসক্তে জরিয়ে পরে যায়৷

যার ফলে সে তরুন বয়সে অনেক বার জেলে যেতে হয়েছে। এই মাদক সেবনের কারনেই তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে। কিন্তু তারপরেও নিজের প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, হলিউডের নামীদামী অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্টা করিয়েছে ।

Also from us:

“Robert Downey Jr” বাবার হাত ধরে খুব ছোটোবেলায় অভিনয় জগৎ এ আসে রবার্ট । তার বাবার সিনেমায় বিভিন্ন ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতো। তরুণ বয়সেই Saturday Night Live ( SNL ) এ অভিনয় করে সুনাম অর্জন করে। কিন্তু মাদক সেবনের কারনে সেখান থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

তারপর Less Than Zero নামক মুভিতে মাদকাসক্ত একটি ধনী ব্যাক্তি ভুমিকায় অভিনয় করে। এরপর বেশ কিছু মুভিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে, শুধু রুম ভাড়া আর হাত খরচা করার জন্য। ১৯৯১ সালে চার্লি চ্যাপলিনের জীবনী নিয়ে নির্মিত চ্যাপলিন সিনেমায় অভিনয় করে সে।

এই সিনেমায় রবার্ট ডাউনি জুনিয়র তার জীবনের সেরা অভিনয় করেছে। চ্যাপলিন চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদে ব্যাপক সুনাম ও বিভিন্ন পুরস্কার পায়। এরপরে Natural Born Killers, Short Cuts, Bowfinger, Kiss Kiss, Bang Bang, Good Night, and Good Luck, Richard III, A Scanner Darkly, Restoration, নামে সিনেমায় অভিনয় করলেও সে রকম খ্যাতি অর্জন করতে পারেনি। এর মাঝে তিন চার বার বার জেলও খেটেছে মাদক সেবন আর মারামারি করার জন্যে ।

তনে ২০০৮ সালে মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স এর প্রথম সিনেমা আইরন ম্যান চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি বিশ্বব্যাপি খ্যাতি অর্জন করে ফেলে সে। তারপর থেকে আর তাকে পিছনে তাকাতে হয়নি।

Tropic Thunder, Sherlock Holmes, এবং এর সিক্যুয়েল Sherlock Holmes: A Game of Shadows সিনেমা বাদেও মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স এর ৭টি সিনেমায় Iron Man – আইরন ম্যান বা টনি স্ট্রার্ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

গত চার দশক ধরে অভিনয় জগৎতের সাথে যুক্ত থাকলেও গত ১০ বছর Marvel Cinematic Universe এর সাথে যুক্ত থেকে নিজেকে হলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্টা করেছে।

গত ২০১৯ এর এপ্রিল মাসে Avengers: Endgame নামে সিনেমা মুক্তি পায়। যা মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স এর ২২ তম মুভি। আর Avengers – আভেঞ্জার্স ফ্রাঞ্চাইজের ৪থ সিনেমা । এই মুভির মাধ্যমে দীর্ঘ ১০/১১ বছরের আইরন ম্যান বা টনি স্টার্কের যাত্রা শেষ করে সে ।

গত বছর ডোলাইট নামক এক সিনেমায় অভিনয় করলেও সেটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ফ্লপ হয় । এই বছর নেটফ্লিক্সে তার প্রোডাকশন কোম্পানি থেকে ডিসি কমিক্সের সুইট টুথ নামক সিরিজ প্রচারিত হয়৷ এছাড়াও বর্তমানে তিনি কিছু সিনেমায় কাজ করছে যেগুলো ২০২১ সালে এবং ২০২২ এর দিকে মুক্তি পাবে।

রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এর অভিনীত সিনেমা লিস্ট:

রবার্ট Mel Gibson এর সাথে Air America নামক সিনেমায় অভিনয় করে । যেটা ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় । অন্যদিকে Soapdish সিনেমায় Sally Field এর সাথে অভিনয় করে যেটা (1991) সালে মুক্তি পায় । এরপরে বছর Chaplin চরিত্রে অভিনয় করে Charlie Chaplin মুভিতে যেটা (1992) সালে মুক্তি পায়৷ চ্যাপলিন সিনেমায় চার্লি চ্যাপলিনের চরিত্রে অভিনয় এর জন্য সে একাডেমি এওয়ার্ড এ বেস্ট এক্টর রোলে নমিনেশন পায় এবং BAFTA Award এ বেস্ট এক্টর ইন লিডিং রোল এওয়ার্ড জিতে নেয়৷

Heart and Souls সিনেমায় Alfre Woodard এবং Kyra Sedgwick এর সাথে অভিনয় করে (1993) এই সিনেমা মুক্তি পায়৷ Short Cuts সিনেমায় Julianne Moore এর সাথে কো-স্টার থাকে যা (1993) সালে মুক্তি পায় । Only You তে Marisa Tomeiএর সাথে স্কিন শেয়ার করে যেটা ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় । অন্যদিকে Richard III সিনেমায় Ian McKellen এর সাথে কো-স্টারিং করে, এই সিনেমা (1995) সালে মুক্তি পায় । এবং ১৯৯৮ সালে U.S. Marshals নামের সিনেমাটিতে Tommy Lee Jones এর সাথে স্কিন শেয়ার করে ।

বড় পর্দার পাশাপাশি টেলিভিশনের পর্দায় ও নিয়মিত ছিল রবার্ট । ২০০০ সালে প্রচারিত হওয়া Ally McBeal সিরিজ রেগুলার ছিল সে । এই সিরিজের জন্য সে সাপোর্টিং এক্টর ক্যাটেগরিতে গোল্ডেন গ্লোব এওয়ার্ড জিতে নেয় । এর পরে ২০০৩ সালে Robin Wright এবং Gothika সাথে Halle Berry যোগে সিংগিং ডিটেকটিভ সিনেমায় অভিনয় করে । ২০০৫ সালে কিস কিস ব্যাং ব্যাং সিনেমায় Val Kilmer এর সাথে অভিনয় করে ।

এর পরে তাকে এনিমেশন মুভি ও সিরিজে দেখা যায়। যার মধ্যে ফ্যামিলি গায় সিরিজ অন্যতম । এনিমেটেড সাইন্সফিকশন মুভি A Scanner Darkly ভয়েস রোল দেয়৷ ২০০৭ সালে যোডিয়াক (Zodiac) সিনেমায় Paul Avery চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে৷

তবে দীর্ঘ ২০+ বছরের ক্যারিয়ারে সে পার্মানেন্ট জনপ্রিয়তা পায়নি ২০০৮ সালে আইরন ম্যান মুভির মুক্তির আগে৷। রবার্ট ডাওনি টনি স্টার্ক ওরফে আইরন ম্যান চরিত্রে অভিনয় করে ২০০৮ সালে মার্ভেল স্টুডিও এর প্রথম সিনেমা ‘Iron Man’ মুক্তির পরে সেই সিনেমা ও সে নিজেই প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়৷ এর পরে তাকে টনি স্টার্ক চরিত্রে Iron Man 2 (2010) এ ফিরে আসে৷ এছাড়াও সে ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া The Avengers সিনেমা ।

২০১৩ সালে Iron Man 3 ও Avengers: Age of Ultron সিনেমায় ২০১৫ সালে তাকে আইরন ম্যান চরিত্রে দেখা যায় । মার্ভেল স্টুডিও এর অন্য সিনেমাগুলিতেও তাকে টনি স্টার্ক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে যার মধ্যে Captain America: Civil War যেটা ২০১৬ সালে । সনি স্টুডিও মার্ভেল স্টুডিওর যৌথ প্রযোজনার Spider-Man: Homecoming সিনেমা (2017) মুক্তি পায় । এবং তার টনি স্টার্ক চরিত্রে শেষবারের মতন তাকে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া Avengers: Infinity War এবং Avengers: Endgame (2019) সালের সিনেমায় দেখা গেছে ।

আইরন ম্যানের পাশাপাশি সে ট্রপিক থান্ডার ( Tropic Thunder ) সিনেমায় অভিনয় করে । Tropic Thunder সিনেমায় তার রোলের জন্য সে Academy Award এবং BAFTA তে Best Supporting Actor ক্যাটেগরিতে নমিনেশন পায়। ২০০৯ সালে সোলোইস্ট নামের একটা সিনেমায় অভিনয় করে।

তবে ২০০৯ সালে শার্লক হোমস সিনেমায় শার্লক হোমস চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়৷ শার্লক হোমস চরিত্রের জন্যে সে বেস্ট এক্টরের গোল্ডেন গ্লোব এওয়ার্ড জিতে নেয় । ২০১১ তে এর সিক্যুয়েল Sherlock Holmes: A Game of Shadows মুক্তি পায় । এরপরে ২০২০ এ Dolittle সিনেমায় অভিনয় করে ।

More from Us:

৪ এপ্রিল ১৯৬৫ সালে ম্যানহাটন, নিউ ইয়র্কে জন্ম নেয়া ছোট ছেলেটা আজ বিশ্বের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা । আজকে রবার্ট ডাওনি জুনিয়র এর ৫৬ তম জন্মদিন জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল।

মাত্র ৬ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে ড্রাগ নেওয়া শেখা,কম বয়সে নিজের চোখের সামনে বাবা মায়ের বিচ্ছেদ দেখা, ক্রমাগত ড্রাগ এডিক্টেড হয়ে যাওয়ার ফলে কয়েকদফা কারাভোগ করা কিংবা ছন্নছাড়া লাইফস্টাইলের কারণে প্রথম স্ত্রীর ছেড়ে চলে যাওয়া..
কিংবা আয়রম্যান হিসেবে ফিরে আসা, কিংবা চার্লি চ্যাপলিন, শার্লক হোমস হয়ে পর্দা কাপানো, কিংবা ট্রপিক থান্ডার, লেস দ্যান জিরো ফিল্মে নিজের জাত চেনানো। কিংবা নিজের লাইফকে রিয়েল লাইফ টনি স্টার্ক হিসেবে লালন করা
১৯৬৫ সালের ৪ এপ্রিল বলতে গেলে সোনার চামচ মুখে নিয়েই তার জন্ম। কারণ বাবা ছিলেন প্রোডিউসার আর মা অভিনেত্রী । বাবার খাতিরে মাত্র ৫ বছর বয়সে চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে অভিষেক । ১৯৮৭ সালে “Less Than Zero” ফিল্মে একজন ড্রাগ এডিক্টেড হিসেবে অভিনয় করে পাবলিক + ক্রিটিকস সহ সবার নজরে আসেন ৷ বড় বড় হলিউড নির্মাতা থেকে ফিল্মের প্রস্তাব আসতে থাকে । কিন্তু এটা কেউ জানতো না যে ফিল্মে ড্রাগ এডিক্টেড চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে তিনি সেটে সত্যি সত্যিই ড্রাগ নিতেন। তারপর আরও অনেক ফিল্মে অভিনয় করলে শুধুমাত্র পেট চালানোর জন্য পয়সা আসলেও সত্যিকার অর্থে নিজের সবচেয়ে খারাপ সময়ের দিকে এগোচ্ছিলেন । 
তার ড্রাগ নেওয়া ক্রমাগত বাড়ছিলো। ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ সালে কয়েকদফায় এবং সর্বশেষ ২০০১-২০০৩ দু বছরের কারাভোগ । জেলে থেকা অবস্থায় ছোটবড় নানা কাজ করেছিলেন এমনকি জেলখানায় ভিতর আক্রমণের স্বিকার হতে হয়েছিলো।
এরপর তিনি যে কাজটি করে সেটি হলো ছিলো রীতিমতো বিষ্ময়কর । তার বাড়িতে থাকা সকল ড্রাগ তিনি সমুদ্রে ফলে দেন । তার Iron man 3 এর লাস্ট সিন সেখান থেকেই ইন্সপায়ার হয়ে শুট করা । এরপর থেকে যেন নিজের লাইফস্টাইল একদম চেঞ্জ করে ফেলেন । শুরু করেন রেগুলার গভীর ধ্যান ও মার্শাল আর্ট চর্চা। ২০০৫ এ সুজানের সাথ বিয়ের বন্ধেনে আবদ্ধ হন । বর্তমানে তার প্রথম স্ত্রীর ঘরে ২৮ বছর বয়সী ছেলে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে ১০ বছরের ছেলে আর ৭ বছর বয়সী কন্যাসন্তান রয়েছে ।
উপরের কোনকিছু থেকেই একটা নাম বাদ দিতে পারবেন না । “রবার্ট ডাউনি জুনিয়র”। হ্যা, তিনি বিশ্বের অন্যতম বড় ক্রেজি ফ্যানবেসের মালিক এবং অন্যতম বড় মুভিস্টার । কিংবা নিজের লাইফটাও কোন মুভির থেকে কম কীসে??
মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের তুরুপের তাস। যাকে ঘিরে একটা গোটা ইউনিভার্স তৈরির বাজি ধরা হয়েছিলো । যাকে নিয়ে একটা সুপারহিরো ইউনিভার্সের স্বপ্ন বোনা হয়েছিলো , আর যিনি না থাকলে আমরা হয়তো আজকের সফল MCU কে দেখতে পেতাম না 
২০০৮ সালে তাকে নিয়ে শুরু করা Iron Man 1 এর জন্য পেয়েছিলেন হাফ মিলিয়ন ইউএস ডলার । সেই সফলতার জের ধরে ২০১৭-১৮ এর ইনফিনিটি ওয়ার আর এন্ডগেমে ৭৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম হাইয়েস্ট পেইড মুভিস্টার । সফলতার এর চেয়ে বড় সংজ্ঞা আর কি হতে পারে?? যেখানে ক্রিস ইভান্স আর ক্রিস হেমসওয়ার্থ দুজনের পারিশ্রমিক ছিলো ২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার করে । 
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র সম্পর্কে স্ট্যান লি একবার বলেছিলেন ” This Man is Born To Play Ironman “
অপরদিকে আবার শার্লক হোমসের যুগে তাকে ডাকা হতো লৌহমানব নামে  । সৌভাগ্যবশত ডাউনি এই দুই চরিত্রেই তার সুক্ষ অভিনয়ের ছাপ রেখে গেছেন । সত্যিই এই মানুষটা রিয়েল লাইফের আয়রনম্যান। টনি স্টার্কের মতো রিয়েল লাইফেও তিনি অন্তত প্রখত সেন্স অব হিউমারের অধিকারি৷ আয়রন ম্যান চরিত্রে তিনি যেন নিজেকেই বারবার হারিয়ে খুজে পেয়েছিলেন । 
মজার কথা হচ্ছে এভেঞ্জার্স এন্ডগেমের সমাপ্তি সবার প্রথমে একমাত্র ডাউনিকেই জানানো হয়েছিলো । এন্ডিংটা শুনে সেইদিন সারারাত কেদেছিলেন ৷ নাহ অবশ্য সেটা নিজের জন্য না!! 
এরকম লিজেন্ডারি ক্যারেক্টরের মৃত্যু তিনি কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি , যে কিনা প্রথম থেকে একটা ইউনিভার্সকে টেনে গেছেন শেষে এসে কিনা তাকেই জীবন দিতে হবে!!টনি স্টার্ককে একদম নিজের জীবনের মতো করে ভালোবেসেছিন 
এন্ডগেম সম্পর্কে প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলেন , “এই ফিল্মের এন্ডিং কেউ ভূলবেনা “।তার কথা সত্যি ছিল , মাস্টারপিস ইনফিনিটি ওয়ারের পর এন্ডগেমের এন্ডিং কেউ ভূলিনি আমরা  
চ্যাপলিন , ট্রপিক থান্ডার ফিন্মগুলোর জন্য একাডেমিক এওয়ার্ডে নমিনেশন । শার্লক হোমসে দূর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য জিতেছিলেন গোল্ডেন গ্লোব এওয়ার্ড। তাছাড়া আয়য়নম্যান (২০০৮) ফিল্মের জন্য অস্কার নমিনেশন হলেও ছুয়ে দেখা হয়নি সেটা । সেইবছর দ্যা ডার্ক নাইট ফিল্মে আগুনঝরা পারফরম্যান্সের জন্য জিতেছিলেন প্রয়াত হিথ লেজার। ক্রিটিকসদের মতে হিথ লেজার না পেলে সেইবছরের অস্কার উঠতো ডাউনির হাতে । ২ বার গোল্ডেন গ্লোব জয়ী, ১ বার বেস্ট এক্টর ইন সাপোর্টিং রোল এওয়ার্ড , ২ বার অস্কার নমিনেশন । জীবনে অসংখ্য এওয়ার্ডস জিতলেও সোনার হরিণ অস্কার ছুয়ে দেখার আফসোস হয়তো থেকেই যাবে 
তার সর্বশেষ ফিল্ম (Dolittle) ছিল ব্যবসায়িকভাবে অসফল । আপকামিং ক্রিস্টোফার নোলানের Oppenheimer ফিল্মে ক্যামিও রোলে দেখা মিলবে তার । তাছাড়া পেন্ডিংয়ে আছে শার্লক হোমসের তৃতীয় কিস্তি। প্রিয় বন্ধু জনি ডেপকে ৩য় পার্টে আনতে চেয়েছিলেন, যদিও নানা কারণে পরবর্তীতে সেটা হয়ে পারেনি । এছাড়াও আপকামিং আরও কিছু আনটাইটেল্ড প্রজেক্ট ঝুলে রয়েছে ডাউনির ঝুলিতে
 
ব্যক্তিগতভাবে , যেই মানুষটা না থাকলে আমার বোধ হয় মার্ভেল ফ্যান হয়ে ওঠা উঠতোনা । ৫৭ তম জন্মদিনে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা । এন্ডগেমে তার ৩০০০ মিনিট পূর্ণ হওয়ার সেই আইকনিক ডায়লগ হিসেবে বলতে চাই Love You 3000 ❤️
শুভ জন্মদিন লিজেন্ড , শুভ জন্মদিন প্রিয় রবার্ট ডাউনি জুনিয়র

Leave a Comment

Total Views: 422

Scroll to Top