জন কন্সটানটিন অরিজিন

john constatine bangla origin - জন কন্সটানটিন অরিজিন
John Constantine Bangla Origin – জন কন্সটানটিন অরিজিন
 
ডিসি কমিক্সের বিপুল সংখ্যক ভক্তদের কাছে তিনিই সবচেয়ে কুল এন্টিহিরো। জন কন্সটানটিন চরিত্রটির জনক হলো এলান মূর । পেরানরমাল ডিটেক্টিভ John Constantine লিভারপুল থেকে আগত। তার আচরণ অনেক রুক্ষ ও অসামাজিক। কোনো উদ্দেশ্য পূরণ করতে যা যা দরকার তা অসম্ভব হলেও, তা সম্ভব করতে John Constantine এর বিকল্প নেই। একদম আমাদের অনন্ত জলিল ভাইয়ের মত। অসম্ভব কে সম্ভব করাই কন্সটান্টিন ভাইয়ের কাজ 🐸 । 
 

ডিসির Justice League Dark এনিমেশন মুভি তে আমরা Swamp Thing কে দেখেছি। এই Swamp Thing এর সাথে জনের কমিক্সে এক বহু দীর্ঘ পুরানো ইতিহাস রয়েছে। কমিকে ১৯৮৪ সালের জুন মাসে The Saga of the Swamp Things Volume #25 এ তার প্রথম আবির্ভাব ঘটে। এরপরে তাকে বড়পর্দায় এনিমেশন মুভি ও ডিসির এরোভার্সের লেজেন্ডস অফ টুমরো সহ একাধিক সিরিজে দেখায় গেছে।

জন কন্সটানটিন অরিজিন

জনের মা মেরি তাকে জন্ম দিয়েই মারা যায়। সে আর তার বড় বোন তার চাচা চাচীর কাছেই বড় হয় ও মানুষ হয় । তার বাবার থেকে জন ও তার বোন কে দূরে রাখা হয় । কেননা তার বাবা ছিল এক মাদকাসক্ত মাতাল। এছাড়াও তার বাবা এক প্রতিবেশী নারীর আন্ডারওয়ার 😂 চুরির দায়েও অভিযুক্ত ছিল। জনের জন্মের সময় তারা যমজ দুই ভাই মায়ের গর্ভে ছিল । এবং বলা হয়ে থাকে যে, জন গর্ভে থাকাকালীন সময় সে তার ছোট ভাইকে তাদের মায়ের পেটের ভিতরে মেরে ফেলে। অল্প বয়স থেকেই জন ছিল প্রচণ্ড মেধাবী ও সাহসী।

 

John Constantine Bangla Origin
Copyright: DC Comics
 

Katie নামে একজনের সাথে তরুণ বয়সে তার রিলেশন ছিল । কিন্তু পরে স্কুলের হেডমাস্টারের হুমকিতে সেই রিলেশনশিপ ভেংগে দেয় জন। পরে একটা সময় এসে জন সেই হেডমাস্টারকে অভিশাপ দেয় এবং অগ্নিদগ্ধ হয়ে সেই মাস্টার সাহেব মারা যায় । 1970 সালে জন লন্ডন থেকে সান ফ্রান্সিস্কোয় যায় । সেখানে জাতান্নার দেখা পায় যে কিনা এক বড় মাপের ফিমেল মেজিশিয়ান ছিল এবং তাদের মাঝে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে।

ছোটবেলা থেকেই অতি কস্টে বড় হওয়া জন জীবনের প্রতিটা যন্ত্রনাময় মুহুর্ত যে কিভাবে পার করেছে তা সত্যি ভাবার মত। ছোটবেলা থেকেই তার বাবা তার মায়ের মৃত্যুর জন্য জনকেই দায়ী করতো। তবে আজব বেপার হল জন কন্সটানটিন বাইসেক্সুয়াল। যদিও তাকে বড় পর্দায় এমন ভাবে দেখানো হয়নি। তবে জাস্টিস লিগ ডার্ক: এপোকলিপ্স ওয়্যার সিনেমায় সে কিং শার্ক কে নিজের এক্স হিসেবে সম্ভোধন করে। যদিও সে তখন ম্যাজিশিয়ান Zatanna এর সাথে সম্পর্ক ছিল। তার জীবনে একবার ছাড়া সব সময় মেয়ে বন্ধুই ছিল। মানে সে নরমাল কিন্তু মেয়ে যদি একদমই না থাকে তখন বিকল্প পথ বেছে নেওয়ার ক্ষমতা আছে তার। জীবনে অনেক কিছুই হারিয়েও সে বিন্দুমাত্র হতাশ হয়নি। নিজ গতিতে সামনে এগিয়ে চলেছে ।

 

বন্ধুবান্ধব অনেক কেই তার ভুল পদক্ষেপ কিংবা খারাপ ভাগ্যে হারিয়েছে সে। আবার কোনো রাক্ষস বা দানবকে বন্দী করতে । নিজের পরিচিতদের বলি দেওয়ার রেকর্ড ও আছে তার, তবে তা একান্তই বাধ্য হয়ে। তবে আরো ভয়াবহ খবর হল আজ অবধি যারা এই চরিত্রকে নিয়ে কাজ করেছে তাদের মধ্যে অনেকেই নাকি সরাসরি জনকে দেখেছে!😰।

Related: ডিসি সিনেমায় মাদার বক্সের ভবিষ্যৎ

চরিত্রটির স্রষ্টা কিংবদন্তী কমিক বুক রাইটার এলান মুর, দুইবার বাস্তবে নাকি গায়েব হয়ে যেতে দেখেছে জনকে। অন্যদিকে হেল ব্রেজার এর কন্ট্রিউবিউটর Jamie Delano ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সে নাকি জনকে তার পাশ দিয়ে যেতে দেখেছে। জন কন্সটাটিন জাস্টিস লীগ ডার্কের লীডার হলেও একবার, এক লড়াইয়ে তার প্রেমিকা জাতানা কে ধোকা, দিয়ে টীমের নেতৃত ছেড়ে দিয়ে সে বাইরে চলে আসে। তখন সে এসে বিশ্রাম নেয় তার পরে আবার লড়াইয়ে যায় । একবার তার শারীরিক অবস্থা ভীষন খারাপ ছিল, তার ভেতরেই যেনো কোন এক দানব বেরিয়ে আসতে চাইছিল এমন অবস্থা হয়ে গেছিল।

 

শক্তিশালী যে কোন শত্রুকে হারাতে জন যে কাওকে সেক্রিফাইস করতে সর্বদা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে। জন সুপারন্যাচারাল ম্যাজিক ইউজ করতে পারে । শুধু তাই নয় সে যে কোনো ক্ষেত্রে তা অনুভব ও করতে পারে। জন বড় বড় বিং বা সত্তাদের ও বোকা বানিয়েছে বহুবার। ডক্টর ফেট, ট্রিগনসহ অনেকেই তার লড়াইয়ের প্রিপারেশনের কাছে হার মেনেছে। তার দেওয়া curse অনেক দানবের ওপরই এফেক্ট করে। এক দানবকে হারাতে সে চাইলেই, আরেক দানব কে হাজির করতে পারে । যার ফলে অন্য জাদুকর থেকে সে এক্ষেত্রে অনেকটাই আলাদা। সে এক রিয়েল্ম থেকে আরেক রিয়েল্মে যাতায়াত করে খুব সহজেই। এছাড়াও নেক্রোমানসি ও ইলুশন তৈরিতেও সে এক্কেবারে ওস্তাদ।

 

তার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার ধুর্ত বুদ্ধি। শত্রুকে কিভাবে হারানো যায় তার উপায় সে প্রিপারেশন টাইম না পেলেও, বের করে ফেলে আর প্রিপারেশন টাইম পেলে তো কথাই নেই। সে এমন সব কাজ কমিক্সে করেছে যা অনেক রাঘব বোয়ালরাও করার সাহস পর্যন্ত করেনি। অনেক ক্ষেত্রেই তাকে হ্যান্ড টু হ্যান্ড ফাইটেও দক্ষ একজন যোদ্ধা হিসেবে দেখা গিয়েছে। কন্সটানটিন তার ম্যাজিকাল নলেজ দিয়ে টেলিপ্যাথি, নিজের আত্না ও দেহকে রক্ষা করা সহ কেও যাতে তার মাইন্ড কন্ট্রোল করতে না পারে সেদিকে সর্বদা সতর্ক থাকে। তার এমন সব রহস্যপূর্ণ জ্ঞান রয়েছে যা আর কারো নেই।

 

তার রক্ত দানবীয় রক্ত দিয়ে কলংকিত, ডেমন Nergal এর রক্ত তার দেহে প্রবেশ করেছে। সে কারনেই তার রক্ত তাই হিলিং করার সক্ষমতাও দেখিয়েছে। The King of the Vampires দের বিপক্ষে তার এই ক্ষমতা বড় ডিফেন্স হিসেবে অবদান রেখেছে। জন চাইলে যেকোনো মানুষ এর স্মৃতি মুছে ফেলতে পারে। সে একটি পেন্ডুলাম কে নিজের ম্যাপ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে । যেটার সাহায্যে সে যেকোন জায়গায় জাদুর প্রভাব রয়েছে তার লোকেশন খুঁজে বের করতে পারে ।

 

জন এমন সব পাওয়ারফুল স্পেল ইউজ করার ক্ষমতা রাখে যা দেব দেবীদের ও বন্দী করে ফেলতে পারে। হিন্দু মিথলজীর দেবী কালিকে রাগান্বিত অবস্থায় হারিয়ে ছিল জন। একবার এক জাদুকরী প্রতীক দিয়ে সে ইলির আত্নাকে এমন করে ফেলে, যার দরুন সর্গ ও নরক তার আত্নাকে আর খুঁজে পায়না। শয়তানের হাত থেকে পালাতে জন নিজেও এই সিজিল ব্যবহার করেছিল। এই সিজিল বা জাদুকরী প্রতীক ব্যবহার করে সে রাক্ষস, ডেমনদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। জনের জাদুশক্তির চেয়ে বড় শক্তি হল তার প্লান, টেকনিক।

The house of mystery হল তার যানবাহন । যা তাকে ইউনিভার্স এর যে কোনো স্থানে নিয়ে যেতে পারে। এমনকি যে কোনো ডিমেনশনেও আসা যাওয়া করা যায় এর সাহায্যে। চেইন স্মোকার এর সাহায্যে এই ডিটেক্টিভ টাইম ট্রাভেল ও করেছে। সম্মোহন ক্ষমতা রয়েছে তার। জন শক্তিশালী উক্সাস ওরফে ডার্কসাইড কে বোকা বানিয়েছে । পুরো জাস্টিস লীগকে একাই হারিয়েছে। প্রিপারেশন টাইম নিয়ে ইঞ্জাস্টিসে Spectre এর মত শক্তিশালী বিং এর সাথে লড়াই করেছে সে ।

 

John Constantine Movie And Series

তার সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন Constatine মুভি কিংবা টিভি সিরিজ। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ডিসির Justice League Dark নামক মাস্টারপিস এনিমেশন মুভিতে তাকে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে HBO MaX Streaming Service এ ২০২২ এর দিকে লাইভ একশন সিরিজ আসতে পারে Justice League Dark এর। তখন বড় পর্দায় তাকে আবারো উপভোগ করতে পারবেন জন Constatines এর ভক্তরা।

 

জন কন্সটানটিন মুভি ও সিরিজ রিভিউ

আমরা শার্লক হোমস কে চিনি, সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, টনি স্টার্ক, ক্যাপটেন আমেরিকা কে চিনি, মার্ভেলের সায়েন্স ফিকশন এর ভিড়ে আমরা পেয়েছি ডক্টর স্টেন্জের মতো ম্যাজিশিয়ান। আচ্ছা আপু,ভাইয়ারা জন কন্সটান্টিন এর নাম শুনেছেন তো? নামটা উচ্চারণ করা কঠিন। তাহলে আমি ওর একটা ডায়লগ বলি, “Whoever came to my my life was dead”. ধূসর রঙের স্যুট, ফরমাল শার্ট, প্যান্ট, স্টাইলিস টাই, মুখেতে সিগারেট খাওয়া, মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, চেহারায় একটা গম্ভীর ভাব।

 

এই লোকটি ডার্ক আর্ট, ডেমনোলজিতে পারদর্শী। হ্যা! শয়তান, কালো জাদু নিয়েই তার কারবার। একবার তার নিজের একটি ভুলের কারণে এক মেয়েকে নরকে পতিত হতে হয়েছিল । যা তাকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়ায়। বাইবেল, পুরান এবং বিভিন্ন পৌরনিক ডেমনদের বিরুদ্ধে লড়াই করা DC চরিত্র জন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনটি মুভি এবং একটি সিরিজ এর সাথে পরিচিত হতে হবে আপনাকে!

 

প্রথম মুভি:

 

#Constantine (2005): এই মুভিতে কন্সটানটিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন উইক ও ম্যাট্রিক্স খ্যাত অভিনেতা কিয়ানু রিভস। তার বিপরীতে ‘এনিমি এট দ্যা গেটস’ সিনেমার অভিনেত্রী রাচেল ভাইস ও আছেন এই মুভিতে। অন্যদিকে IMDb:7.2 রেটিং ।

কন্সটাটিন মুভির সংক্ষিপ্ত রিভিউ:

একটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক তরুণী হঠাৎ আত্মহত্যা করে। পুলিশ রিপোর্ট ও ক্যাথলিক চার্চ মেয়েটাকে আত্মহত্যাকারী হিসেবেই আখ্যায়িত করে। কিন্তু মেয়েটির বোন মোটেও এটা মানতে পারছে না। উনি নিজেও একজন ডিটেকটিভ। তার ঈশ্বর ভক্ত বোন কখনোই এই কাজ করতে পারে না ! আর তার বোন মৃত্যুর আগে বেশ অস্বাভাবিক আচরণ করেছিল।

 

সে প্রতি রাতে আতংকিত হয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠত। যে কারনে তার বোন ছুটে গেল বিখ্যাত এক্সরসিস্ট জন কন্সটানটিন এর কাছে। কন্সটানটিন আর ঐ মেয়ে ডিটেকটিভ নেমে পরল তদন্তে। কিন্তু তারা যা আবিষ্কার করল তা আপনাকে শিহরিত করবে । “Mamon the son of devil” নামে বাইবেল এ বর্ণিত এক ডেমন নরক থেকে নেমে আসছে পৃথিবীতে। আর বাকিটা জানতে মুভিটা দেখে ফেলুন।

 

দ্বিতীয় সিরিজ:

 

#Constantine (2014-15):

 

IMDb:7.8 রেটিং

 

১৩ এপিসোডের এই সিরিজটিতে কন্সটানটিন এর ভূমিকায় ছিলেন ছিলেন ম্যাট রায়ান। মূলত তিনিই কন্সটানটিন চরিত্র দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন। এই সিরিজ এই কন্সটানটিনকে একদম গল্পের মতো একিওরেট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে । এখানে কন্সটানটিন একজন ডিটেকটিভ যিনি বিভিন্ন রহস্য জনক মৃত্যুর পেছনের কারণ খুঁজেন।

কন্সটাটিন সিরিজের সংক্ষিপ্ত রিভিউ:

 

জাড নামে এক তরুণী জন এর সহযোগী যার অনেক অনুধাবন শক্তি , আধ্যাত্মিক ক্ষমতা তাকে সাহায্য করে। পাশাপাশি তার এক অদ্ভুত বন্ধু ,যার কখনো মৃত্যু হয় না! এই সিরিজের প্রতিটি এপিসোডেই আছে রোমাঞ্চকর সব হরর কাহিনী। জাপানের রূপকথার গাল কাটা সেই ভয়ংকর নারী থেকে শুরু করে পৌরনিক অনেক ডেভিলদের সাথে লড়াই এর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেতে আপনাকে এখনি এই সিরিজটি দেখা শুরু করতে হবে !

 

এনিমেশন মুভি

 

Constantine: City of Demons (2018) IMDb:7.5 রেটিং ।

 

কন্সটানটিন: সিটি অফ ডেমনস ২০১৮ মুভি রিভিউ

#Animation_film জীবনটা বড্ড একা আর একঘেয়ে হয়ে উঠেছে জন কন্সটানটিন এর জন্য। এমন এক সময় প্রিয় বন্ধু জাস এর ডাক এল। তার মেয়ে মৃত্যু শয্যায়। কিন্তু তার আত্মাকে বন্দী করে রেখেছে এক ডেমন। এই সমস্যা সমাধান করতে হলে তাকে খেলতে হবে “Enemy of my Enemy” গেইম। অর্থাৎ, অন্য আরেক ডেমনকে ব্যবহার করতে হবে। অসাধারণ এই মুভিটিতে কন্সটানটিন এর কন্ঠ দান করেছেন ম্যাট রায়ান। ফ্রি থাকলে এখনি এই তিনটি মুভি ও সিরিজ দেখে নিতে পারেন।

 

Also Read: রেড ল্যান্টার্ন বাংলা অরিজিন .

John Constantine Bangla Origin

Leave a Comment

Total Views: 344

Scroll to Top