মুন নাইট রিভিউ – Moon Knight Review in Bangla – মুন নাইট অরিজিন

Steven Grant নামক এক মাসুম লোকের কাহিনী যে জাদুঘরে কাজ করে। জাদুঘরটি মুলত মিশরের জিনিসপত্র, কাহিনী নিয়েই যার কারণে মিশরের দেব-দেবীদের নিয়ে স্টিভের ভাল জ্ঞান আছে। স্টিভ তার শরীরের ভিন্ন আচরণ অনুভব করতে থাকে। সে ঘুম থেকে উঠলেই অজানা স্থানে নিজেকে আবিষ্কার করে।

Moon Knight Season 1 Disney Plus (2022) Review – Best of Marvel Series Till Now

যার ফলে সে রাতে জেগে থাকার চেষ্টা করে, আর ঘুমালেও পায়ের গোড়ালি বেধে রাখে। এভাবেই একদিন স্টিভ নিজেকে আশ্চর্যজনক জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করে, তার পকেটে Scarab নামক একটি জিনিস পায় যেটা নেয়ার জন্য Arthur Harrow এর চ্যালাপালা স্টিভের পিছনে লেগে পড়ে। এরই এক পর্যায় স্টিভের পরিচয় তারই অপর ব্যাক্তিত্ব Marc এর সাথে।

🎥 ১ম এপিসোড ছিল MCU-এর তৈরি ইউনিক জিনিসগুলোর মধ্যে সেরা কাজ। শুরুতেই দেখানো হয় Arthur Harrow-কে, যে প্রথমে পানি বা তরল কিছু পান করে, তারপর পানি পান করার গ্লাসটা একটা কাপড়ে রেখে ভাঙ্গে, তারপর গ্লাসের টুকরো গুলো তার দুই স্যান্ডেলে ঢালে, তারপর উক্ত স্যান্ডেল পড়ে হাটা😂যারা MCU-এর অথবা কমিক্সের মারাত্মক লেভেলের ভক্ত তাদের এই এপিসোড অনেক পছন্দ হয়েছে

কিন্তু যাদের পছন্দ হয়নি অথবা আমতা আমতা করছে তারা হইল হাইপের কারণে দেখতে বসছিল ভাবছে ধুমধাম একশন আছে, কিন্তু কিছুই না থাকাই তারা নিরাশ হয়ে বাজে বইলা চালায় দিছে😂আর এর জন্যই আইএমডিবিতে রেটিং কম হয়ে গেছে। কিন্তু এপিসোড অনেক ভাল ছিল। আর অস্কার ব্রো এর নিখুত অভিনয়ের জন্য আরো আকর্ষণীয় লাগছে। কিন্তু সবার ভাল লাগবে তাও না, দরকারও নাই। খারাপ লাগারও দরকার আছে নাইলে সমালোচনা কম হবে😉

🎥 ২য় এপিসোড নিয়ে এবার😍১ম এপিসোডে প্রচুর প্রশ্নের উত্থান হয়েছিল যেগুলোর অনেকাংশই ২য় এপিসোডে খোলাসা তো হয়েছেই সাথেসাথে ২য় এপিসোডেও নতুন করে অনেক প্রশ্নের উত্থান হয়েছে। আর যারা নিরাশ হয়েছিল ১মটা দেখে তাদের জন্য এই এপিসোড ছিল স্পেশাল। কারণ এর শেষার্ধে ছিল তুমুল লেভেলের একশন, আর স্যুটগুলা যা অস্থির দেখাইছে।

আবার এতে মার্ভেল আমাদের সাথে পরিচইয় করিয়ে দিয়েছে আরো একটি গুরত্বপূর্ণ নারী চরিত্র- লায়লার সাথে যেটায় অভিনয় করেছে May Calamawy, যার জন্ম বাহারাইনে ও মিশরীয় অভিনেত্রী। শেষের দিকে মিশরের ঝলক দেখানো হয় যা দিয়ে সিগনাল দেয়া হয় যে পরবর্তী সেগমেন্ট মিশর কেন্দ্রীক হবে। আর আরবিক মিউজিক যা সুন্দরভাবে মানাইছে আহা

🎥 ৩য় এপিসোড সম্পূর্ণ মিশরেই ছিল। পিরামিডের ভিতরের মুহূর্তগুলা হেব্বি ছিল। এতেও উড়াধুরা একশন আছে, একপর্যায়ে তো মুন নাইট কে ত্যাড়াব্যাকা বানায় দিছিল, যদিও সেগুলা কিছুইনা মুন নাইটের কাছে😂আর শেষে চরকির মতন আকাশ ঘুরানোর মুহূর্তটা এপিক ছিল, লাজবাব👏

🎥 ৪র্থ এপিসোডে স্টিভ ও লায়লা টুম্ব/সমাধির খোজ পেয়েছে সে জায়গায় পৌছাতে থাকে। ঐ জায়গা যাওয়ার পর লায়লাকে স্টিভ কিস করার পর মার্কের স্টিভকে ঘুষি মারার মোমেন্ট টা🤣এই এপিসোডে লায়লাকে অনেক হাইলাইট করা হয়েছে ফলে তার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা গেছে যার দরকার ছিল। কিছু জায়গায় হরর ভাইবস দেয়া হয়েছে যা ছিল দারুণ। ফিনিশিং উভয় কনফিউজিং ও অদ্ভুত ছিল।

🎥 ৫ম এপিসোড ছিল মারাত্মক লেভেলের স্পেশাল এপিসোড। মেকিং এর দিক থেকেও জোস, স্টোরি টেলিং এর দিকেও জোস + ইউনিক। মার্ক-স্টিভ এর অরিজিন, অতীত ইত্যাদি দেখানোর প্রেজেন্টেশন এত স্পেশাল ছিল যে বলে বুঝানো সম্ভব না। আর প্রচুর ইমোশন ছিল। অস্কারের ব্রো এর অভিনয় নিয়ে কি আর বলব! এমন লাগে যে সে নিজেকে নিজেই টক্কর দিছে, এপিসোড বাই এপিসোড এপিক অভিনয় দিয়েই যাচ্ছে। এটার ভিএফএক্স, সিজিআই তো পুরাই মাখন ছিল।

🎥 ৬ষ্ঠ এপিসোডও এপিক হইছে। প্রচুর একশন আছে, ফাটাফাটি হইছে একশন গুলা। ফাইট করার সময় স্টিভ আর মার্কে একইসাথের মুহূর্ত গুলা দুর্দান্ত ছিল। মুন নাইট আর লায়লার টিম আপ করে একশনের কোরিওগ্রাফি দুর্দান্ত ছিল। লায়লার স্যুট টা জোস হইছে। ফিনিশিং এ খেলে দিছে👌

ওভার অল আপাতত ২০২২ এর সেরা সিরিজ। Peacemaker এর পরে অস্থির কিছু দেখলাম। Oscar Isaac – Ethan Hawke দুই পাপি মিলে যা অভিনয় দেখালো, আহা পুরাই মনোমুগ্ধকর। লায়লা চরিত্রে অভিনয় করা May Calamawy এর অভিনয় অনেক ভালো ছিল। শেষ এপিসোডে জোস একশন করছে।

Series : Moon Knight S01 (2022)

Episodes : 06

Network: Disney Plus Hotstar Streaming Service

Duration : 42-55 Minutes

Genre : Action, Fantasy, Mystery, Horror, Sci-fi

Cast : Oscar Isaac, Ethan Hawke, May Calamawy, F. Murray Abraham, Michael Benjamin Hernandez, Antonia Salib, Diana BerMudez

IMDB Rating : 7.6/10 (83, 330 Votes*, অনেক কম🙃)

মার্ভেল সিরিজ মুন নাইটের ৪টি এপিসোড রিলিজ হয়েছে। ৪র্থ এপিসোডটি অত্যন্ত রহস্যময়। এপিসোডটি নিয়ে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন। ইভেন আমারও। অনেকেই বলছেন যে ২০২২ সালে এসে শাটার আইল্যান্ড দেখছি।

আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন না যে মুন নাইটের পার্সোনালিটি কিন্তু ৩টা। মার্ক স্পেক্টর=The Mercenary, স্টিভেন গ্রান্ট=The detective, জ্যাক লকলি=Taxi Driver.

 তো জেইক পার্সোনালিটিকে সরাসরি দেখানো হয়নি তবে ৩য় এপিসোডে হ্যারোর কাল্টের দুইজনকে মার্ক এবং স্টিভেন কেউই স্বীকার করেনা যে হত্যা করেছে। এটা আসলে তার ৩য় পার্সোনালিটি জেইক লকলির কাজ।

 যেই পার্সোনালিটিটি সম্পর্কে মার্ক,স্টিভেন কেউই অবগত নয়। রহস্য শুরু হয় আর্থার হ্যারোর মার্ককে গুলি করার পর থেকে। মার্ককে একটি এজাইলামে দেখা যায় যেখানে টিভিতে একটা এডভেঞ্চার মুভি হচ্ছে যার মূল চরিত্রের নাম “স্টিভেন গ্রান্ট“। এবং স্টিভেন গ্রান্ট মুভিটিতে একজন এডভেঞ্চারার। 

এবং আমরা এপিসোডের শুরু থেকে বেশিরভাগ সময় যাবতই কিন্তু স্টিভেন গ্রান্টের মিশরে এডভেঞ্চার দেখেছি। এখান থেকেই মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে যে আমরা সিরিজে যা দেখেছি সবই কি মার্ক স্পেক্টরের কল্পনা?

এরপর দেখা যায় ক্রাউলিকে। ক্রাউলি হলো লন্ডনের সেই মূর্তিটা যেটার সাথে স্টিভেন কথা বলতো। এছাড়াও সেখানে পেশেন্ট হিসেবে ডোনা(স্টিভেনের বস) এবং লায়লাকে নার্স হিসেবে দেখা যায়। 

তার মানে এমন নয় তো মার্ক বহুবছর যাবত এজাইলামে বন্দী। এবং আমরা যা দেখেছি সব তার কল্পনা? স্টিভেন গ্রান্ট রিয়েল না। মার্ক ওখানকার নার্স লায়লাকে Subconsciously ভালোবাসে দেখে তাকে নিয়ে এতো কল্পনা করেছে? ডোনা আর ক্রাউলি ও তার Schizophrenic কল্পনায় স্থান পেয়েছে? ক্রাউলি এজাইলামে তার ভালো বন্ধু হওয়ায় তার কল্পনায় সে তার স্টিভেন পার্সোনালিটির একমাত্র বন্ধু আর ডোনাকে অপছন্দ হওয়ায় তার বিরক্তকর বস? 

এবং এরপর দেখা যায় আর্থার হ্যারো মার্কের সাইক্রিয়াটিস্ট। যার মতে তার জীবন,মুন নাইট,খোংশু এগুলো সব মার্কের কল্পনা। সে বহুবছর যাবত তার রোগী। Pretty much Shutter Island.Isn’t it? I tell you it’s not inspired from Shutter island.এই পার্টটি আসলে Jeff Lemire এর ২০১৬ সালের লেখা মুন নাইট কমিক থেকে ইন্সপায়ার্ড। এই কমিক পড়লে জানতে পারবেন  Asylum টা মেইনলি মার্কের ব্রেইনের মধ্যে।এটার নাম The Retrograde  Sanitarium.

দুইটা থিওরি দেওয়া যায় এটা এবং এটার অবস্থান নিয়ে।

1.হতে পারে Marc মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে Harrow তাকে মেডিকেশন(/drugs) দিয়ে এই ইল্যুশন তৈরি করেছে,যেটা কমিকে Ammut/Ammit তার এভেটার Emmet কে দিয়ে করে থাকে(well it’s complicated; Khonshu fact)। যেখানে Harrow is in charge,কারণ মার্কের কন্সসিয়াসনেস ভঙ্গুর।

এটা রিয়েল প্লেস হওয়ার কোন চান্স নাই।এটার অন্যতম প্রধান কারন মার্ক আর স্টিভেন এর ইন্ডিভিজুয়ালি কমিউনিকেশন।

2.এটা afterlife এর মধ্যবর্তী পর্যায়।যদি কেউ Rick Riordan এর Kane Chronicles সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে এটা জেনে থাকবেন The Asylum is an old resting home for forgotten gods and goddesses.

এই জলহস্তীমুখী মুখী গডেস এর নাম Taweret; goddess of fertility and rejuvenation/Protector of Mothers and Children or goddess of caretaking or Pregnancy goddess যেটাই বলেন না কেন।কিছু কিছু মিথ অনুযায়ী সে Afterlife এ-ও মানুষকে হেল্প করে থাকে প্রেগন্যান্সির সময় ছাড়াও। এক্ষেত্রে হতে পারে সে এখানে পূর্ববর্তী এভেটারদের অথবা গডদেরকে আফটারলাইফে ও হেল্প করে।

যেহেতু মার্ক এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে,হতে পারে ও এমন একটা মুহুর্তে পৌঁছিয়ে গিয়েছে যেখানে এসে Taweret তাকে হেল্প করবে।

কিছু পয়েন্ট;

1.Marc/Steven এখন Retrograde Sanitarium এ Harrow’র captive.

2.Arthur Harrow সিরিজের এতক্ষণ অবধি ভিলেন হিসেবে পরিচিত হয়েছে।

3.Retrograde Sanitarium এ Arthur Hartow is in charge.

4.এখানে Taweret কে দেখানো হয়েছে যে কিনা harmless and caring.যে Harrow বা Ammit এর হয়ে কাজ করবে না।

তাহলে আসল ভিলেইন কে?

Jeff Lemire এর কমিকের মেইন ভিলেইন লাস্টে দেখা যায় Khonshu নিজেই। গেম চেঞ্জিং একটা সাগা হবে যদি Khonshu ভিলেইন হয় সিরিজেও। কমিকে খোংশু এভাবে মার্কের মাইন্ড আর soul ধ্বংস করে দিয়ে মার্কের শরীরে মালিক হতে চেয়েছিল। Arthur Harrow স্টিভেনকে বলেছিল খোংশুর অবতার হওয়া কত কষ্টের এবং সে কত নিষ্ঠুর।

 “There’s chaos in you, the voice in your head, Relentless, forever unsatisfied, no matter how hard you try to please, it devours you until there’s nothing left, but a hollow shell.” 

হ্যারোর এই ডায়ালগের মতে খোংশু কমিকের মতই চায় মার্কের মস্তিষ্ক একটা হোলো শেলে পরিণত হোক আর খোংশু সেটাকে সম্পূর্ণভাবে দখল করুক। এছাড়াও হ্যারো খোংশুকে বলেছে “Your torment forged me.” 

আপাতত খোংশুকেই মেইন ভিলেইন বানানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে বলা যায়না। এখনো এমিট আসেনি। মার্কের ব্যাকস্টোরী দেখানো বাকি। লাস্ট ২ এপিসোডে কি হতে চলেছে তা এখনই বোঝা প্রায় অসম্ভব। & by the way ঐ মিশরীয় কফিন যেটাকে মার্ক আর স্টিভেন খোলেনি তার মধ্যে আছে Jake Lockley 100% sure.

মুন নাইট ডাওনলোড লিংক রিভিউ

দেখে ফেললাম মার্ভেলের বহুল প্রতীক্ষিত সিরিজ ‘মুন নাইট’ এর প্রথম এপিসোড!

 অনেক রহস্যময় আর থ্রিলিং হতে চলেছে 💥

🎦Series: Moon Knight

☯️Genre: Action / Thriller

🔹Season 1 < Episode 1

📳Runtime: 45 Minutes.

🗣️Language: English [Hindi Dubbed Available]

❗হালকা স্পয়লার❗

🔰 মিউজিয়ামে চাকরি করা একজন সাদামাটা মানুষকে নিয়ে কাহিনী শুরু হয়, সরল হলেও তার চলাফেরা, ঘুমানো সবকিছু রহস্যময়! তার ঘুমের মধ্যে অদ্ভুদ সব স্বপ্ন আসে যেগুলোর রহস্য তারও অজানা, 

কিছুক্ষণ পর পর কেউ একজন তার সাথে কথা বলে কিন্তু তাকে দেখা যায়না। অন্যদিকে কাহিনীর আরেক অদ্ভুদ চরিত্র তার থেকে কিছু নেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু সে চাইলেও সেই জিনিসটা দিতে পারে না! এপিসোডের শেষের দিকে একটি লোমহর্ষক সিন রয়েছে।

🔰 প্রথম এপিসোড তো, তাই প্রায় সবকিছুই মিস্টিরিয়াস রাখা হয়েছে! তার হাতের ওই মূল্যবান জিনিসটা কি! কেনইবা কিছু মানুষ তার পিছে পড়েছে, তার ভয়ংকর স্বপ্নের কারণ কি!! প্রথম পর্বেই কাহিনী খুব সাবলীল ভাবেই সাজিয়েছে। তাই শুরুটা ভালোই লেগেছে।

🔰এমসিউ খুব ভালো ভাবেই আগ্রহ সৃষ্টি করিয়েছে দর্শকদের মনে, শুরুটা থ্রিল আর মিস্টিরিয়াস ভাবে শুরু করে। যারা দেখবেন বলে ভাবছিলেন নিঃসন্দেহে দেখে নিতে পারেন ভালো লাগবে।

🔰মুন নাইট সম্পর্কে একটি ফ্যাক্টঃ ‘মুন নাইট ‘ মার্ভেলের আরেক সুপারহিরো থরের( Thor) হ্যামার ( মিওনি) হাতে নিতে পারে

মার্ভেলের মুন নাইট সিজন ২ রিভিউ
মার্ভেলের মুন নাইট সিজন ২ রিভিউ ডিজনি প্লাসের মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের নতুন সিরিজ Moon Knight Season 2 release Date

 ‘মুন নাইট’ অরিজিন

#No_Spoiler 

🔸আজ পর্যন্ত কেউ থরের ব্রহ্মাস্ত্র মিয়োনিওরের সামনে দাঁড়ানোর সাহস করতে পারেনি শুধুমাত্র একজন ছাড়া যে কিনা থরের হ্যামার তার দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছিল এক ইশারায়। ভাবতে অবাক লাগছে না!! কে সেই ব্যক্তি যে থরের হ্যামার ওর দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছিল? হ্যাঁ, মার্ভেলের এমন একজন সুপারহিরো আছে যিনি কিনা চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়া থরের হ্যামারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই অপ্রতিরোধ্য সুপারহিরোর নাম “মুন নাইট“।

 অকুতোভয় এবং নিষ্ঠুরতার প্রতীক হিসেবে মার্ভেল আবার আসছে তার নতুন সুপারহিরো নিয়ে। ডেয়ারডেভিল আর পানিশারের মত মারদাঙ্গা সিরিজকে টেক্কা দিতে মার্ভেল আসছে ৬ এপিসোডের সিরিজ নিয়ে। মার্ভেল কমিক ফ্যানরা এই সুপারহিরো সম্মন্ধে ইতোমধ্যে অবগত থাকলে-ও যারা ফিল্ম দ্বারা মার্ভেলের ফ্যান, তাদের কাছে মুন-নাইট সারপ্রাইজিং ক্যারেকটার বৈকি। 

মুন নাইট অরিজিন কথন

মার্ভেলসের শতশত সুপারহিরোদের মধ্যে যাদের অরিজিন একটু বেশিই কমপ্লেক্স, তাদের মধ্যে মুন-নাইট অন্যতম। মুন-নাইট কমিক্সের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে এর উত্থান কথন। মুন-নাইটের আসল নাম মার্ক স্পেক্টর যার শৈশব কেটেছে এক রোগকে কেন্দ্র করে।

মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার রোগে আক্রান্ত মার্ক ছেলেবেলায় নিজের একাকীত্ব কাটাতে স্টিফ এবং জ্যাক নামক দুই ইমেজিনারি বন্ধু বানিয়ে নেয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মার্ক কিছুটা সুস্থ হতে থাকে। সেরে উঠার পর যখন মার্ক বক্সিংয়ে নাম লেখায়, তখন তার সামনে কেউ দাঁড়াতে পারত না। 

ক্ষীপ্তগতিতে বাতাসের বুক চিঁড়ে ধেয়ে আসা মার্কের পাঞ্চ এড়ানো মোটেই সহজ ছিল না। বক্সিংয়ের এমন স্কিল দেখে খুব সহজেই ইউ.এস মেরিনে চান্স পেয়ে যায় মার্ক। অল্পদিনের মধ্যে যোগ দেয় CIA (Central Intelligence Agency) তে। কাজে যোগ দেয়ার পর তার মনে হচ্ছিল CIA তে যোগ দেয়া তার লাইফের সবচেয়ে বেস্ট ডিসিশন। 

কিন্তু শীঘ্রই তার ভুল ভেঙে যায়, যখন জানতে পারে পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা সকল এজেন্সিদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে দুর্নীতির ছোঁয়া। মোটা অঙ্কের বেতনকে বিদায় জানিয়ে মার্ক মার্সেনারিতে যোগ দেয়। এজেন্সির মোটা অঙ্কের বেতন ছেড়ে মার্সেনারির স্বল্প বেতনে টেকা দায় হয়ে পড়ল। টাকার অভাবে মার্ক বুশম্যান নামক এক টেরোরিস্ট গ্যাংয়ে যোগ দেয় যা ছিল তার লাইফের সবচেয়ে বড় ভুল। 

অবশ্য মার্ক জানত না বুশম্যান ছিল দুর্ধর্ষ টেরোরিস্ট। মার্কের সাথে বুশম্যানের পরিচয় হয় একজন সাধারণ ব্যবসায়ী হিসেবে। বুশম্যান মার্ক’কে জানায় তারা ইজিপ্টের ছোট্ট একটা গ্রামের সোনার খনি কিনবে এবং তা বিক্রি করে সব টাকা দান করে দিবে। বুশম্যানের এমন মহানুভবতায় মার্ক মুগ্ধ হয় কিন্ত মার্ক জানেনা সামনে সে কী বিপদে পড়তে চলেছে। বুশম্যান মার্কের সাথে একজন আর্কিওলজিস্ট’কে নিয়ে আসে।

 আর্কিওলজিস্টের সাথে সঙ্গী হিসেবে ছিল তার মেয়ে মার্লিন। স্বর্ণ উত্তোলন শেষে নিজের আসল রুপ দেখায় বুশম্যান। আর্কিওলজিস্ট আর মার্কের সাহায্যে স্বর্ণ উত্তোলনের পর তাদের মেরে ফেলার ফন্দি আঁটে বুশম্যান। একসময় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে কাজ করা মার্ক সহজেই বুঝে যায় দিনশেষে তাদের কী পরিণতি হতে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, তিনজনের একসাথে পালানো অসম্ভব তাই মার্ক বুশম্যানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আর্কিওলজিস্ট আর তার মেয়ে মার্লিকে পালাতে সাহায্য করে।

 বাবা-মেয়ে পালানোর পর বুশম্যান তার সব রাগ ঝাড়ে মার্কের উপর। আধমরা মার্ক’কে বুশম্যান ছুড়ে ফেলে দেয় ইজিপ্টের ধু-ধু মরুভূমিতে। স্থানীয় কয়েকজন লোক যাওয়ার পথে মার্ক’কে খুঁজে পায়। আধমরা মার্ক’কে তারা তুলে নিয়ে আসে এক মন্দিরে। সেই মন্দিরে যে দেবতার অর্চনা করা হয় উনার নাম কোনসু যিনি ইজিপশিয়ান মুন গড নামে পরিচিত।

 এদিকে মন্দিরে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর মার্ক মারা যায়। মার্ক মারা যাবার পর ভক্তরা অকুলচিত্তে কোনসুর আরাধনা করতে লাগল। ভক্তদের ডাকে নিরুপায় হয়ে কোনসু মার্কের জীবন ফিরিয়ে দিল। সেই সাথে মার্ক’কে কিছু অলৌকিক শক্তিও দিয়ে দেন। কোনসুর উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। তিনি ভেবেছিলেন যে জীবন দিয়ে আরেকজনের জীবন বাঁচাতে পারে, সে কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করবে না। তাই কোনসু মার্ক’কে মুন-নাইটে পরিণত করেন। 

আসল খেলা তো শুরু হয় এখান থেকে। আর্কিওলজিস্টের মেয়ে মার্লিকে বিয়ে করে মার্ক আমেরিকায় চলে আসে। নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে বিত্তশালী হয়ে যায় মার্ক। সেইসাথে নিজের মুন-নাইটের শক্তির ব্যবহারও করতে থাকে। শহরের কুখ্যাত অপরাধীদের ধরে ধরে শায়েস্তা করতে লাগল মার্ক AKA মুন-নাইট। এইভাবে ৩ চরিত্রে চলতে থাকে মার্কের জীবন।

 ১| বিত্তশালী মার্ক ২| ট্যাক্সি ড্রাইভার জ্যাক যেকিনা অপরাধীদের খোঁজে সারা শহর চষে বেড়ায় ৩| ফাইনাল ক্যারেকটার হলো মুন-নাইট। এইভাবে ৩ চরিত্রে বসবাস করতে করতে ধীরেধীরে তার পুরোনো রোগ মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিস-অর্ডার আবার দেখা দিতে থাকে। কিন্তু এবার আর ৩ জন নয়। মার্ক, জ্যাক, মি.হোয়াইট, স্টিভ এবং মুন-নাইট। এই ৫ টা পার্সোনালিটি নিয়ে বাস করতে হয় মার্ক’কে। 

🔹এবার একটু ডিবেটে যাবার পালাঃ 

ট্রেলার দেখে যারা মুন-নাইট’কে ব্যাটম্যানের কপি বলেছিলেন তাদের কাছে আসছি। তবে তার আগে মুন-নাইটের স্কিল, পাওয়ার, এবিলিটি সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক। বক্সিংয়ে মার্ক কীরকম পটু ছিল তা আমরা আগেই জেনেছি। কোনসু দেবতার প্রদত্ত পাওয়ারে মুন-নাইট পেয়ে যায় হাই স্ট্রেন্থ, সুপার স্পিড যা এত-ই দ্রুতগতির যে কেউ তাকে কপি করতে পারবে না। 

অবিশ্বাস্য ফাইটিং স্কিল যা দেখে মুন-নাইট’কে ডেয়ারডেভিল এবং ব্ল্যাক উইডোর কম্বো মনে হবে। শ্যুটিং একিউরিসি হক আইয়ের সমপর্যায়ে। এছাড়া গোয়েন্দাগিরি, হ্যান্ড- টু -হ্যান্ড কম্বেট, মার্শাল আর্ট এইসব ছোটখাটো এবিলিটি তো আছেই। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়বে মুন-নাইটের নৃশংতা। টার্গেট’কে নৃশংভাবে খুন করার কয়েক হাজার কায়দা জানা থাকবে মুন-নাইটের। 

আর হ্যাঁ, প্রথমে বলেছিলাম থরের হ্যামার মুন-নাইট তার দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছিল। থরের হ্যামার কন্ট্রোল করতে পারার একমাত্র  কারণ হলো মিওলি যেসব ধাতু দিয়ে বানানো হয় তারমধ্যে অন্যতম উপাদান হলো মুনরা। আর মুন রিলেটেড যেকোনো কিছুকে কন্ট্রোল করার এবিলিটি আছে মুন-নাইটের। 

এবার আসা যাক DC ফ্যানদের কাছে। বিত্তশালী, টেকনিক ফ্রিক এইসব ছাড়া মুন-নাইটের সাথে ব্যাটম্যানের আর কোনো সামঞ্জস্যতা নেই। আমরা জানি DC & Marvels এর অগণিত সুপারহিরো আছে। এই সুপারহিরোদের সংখ্যা এতই বেশি যে, কোনো ইউনিক সুপারহিরো তৈরি করা অসম্ভব এবং ক্যারেকটারে মিল থাকা কমন একটা ব্যাপার।

তবে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন প্রত্যেক সুপারহিরোর নিজস্ব মোরাল আছে। এই ব্যাপারে মুন-নাইট আর ব্যাটম্যানের মোরাল পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। ব্যাটম্যানও অপরাধীদের শায়েস্তা করে কিন্তু কাউকে প্রাণে মারে না। 

এদিকে মুন-নাইটের বেলায় হয় ঠিক উল্টো। মুন-নাইটের হাতে ধরা পড়া মানে-ই নিশ্চিত মৃত্যু। এর কারণ হলো মুন-নাইটের পাওয়ার এসেছে চাঁদের দেবতা হতে আর তাই মুন-নাইট চাইলে চাঁদকে কন্ট্রোল করতে পারে।

 পূর্ণিমার রাতে মুন-নাইটের পাওয়ার এতই বেড়ে যায় যে, চাইলে মুহূর্তের মধ্যে যেকাউকে ছাই বানিয়ে দিতে পারে। ব্যাটম্যানের কী এমন এবিলিটি আছে? সুপারম্যানের হাতে ব্যাটম্যান কীভাবে নাকানিচোবানি খেয়েছে তা আমরা সবাই জানি। তাই মুন-নাইটের সাথে ব্যাটম্যানের কম্পেয়ার করা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয়া বৈ কিছু নয়। 

আশা করি DC ফ্যানদের কপি কপি গলা ফাটানো আওয়াজ এবার কিছুটা কমবে। তো যারা মুন-নাইটের অরিজিন জানতেন না, এটা পড়ার পর মুন-নাইট ক্যারেকটারের সাথে বেশ দ্রুত রিলেট করতে পারবেন।

মুন নাইট আপডেট

মুন নাইটকে ক্যাটাগরাইজ করা হয়েছে মিনি সিরিজ হিসেবে। মিনি সিরিজের সাধারণত কোনো সিজন হয় না, এবং এপিসোড সংখ্যাও থাকে সীমিতি। এ কারণেই একে মিনি সিরিজ বলা হয়। আপনারা হয়তো অনেকেই মুন নাইট দেখার পর দ্বিতীয় সিজনের অপেক্ষা করছেন। “টেকনিকালি” এটার আর কোনো সিজন আসার সম্ভাবনা নেই।

তবে কিছু কথা রয়ে যায়…

এমসিইউ’র খুবই গুরুত্ব চরিত্রের ক্যামিও থাকার কথা ছিলো মুন নাইট সিরিজটিতে। পরিচালক নিশ্চিত করেছেন, ফাইনাল কাট-এ সেটা বাদ দেয়া হয়েছে। ক্যামিওর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্ভেল বস কেভিন ফাইগি নিজেই।

আইজিএন কিংবা দ্য ডিরেক্ট এর মতো প্ল্যাটফর্মের রিপোর্ট অনুযায়ী, মুন নাইট সিরিজটি কারেন্ট এমসিইউ টাইমলাইন মেইনটেইন করছে না। অর্থাৎ, মার্ভেল ফেইজ ফোর-এর কন্টেন্ট হওয়া সত্ত্বেও যেখানে মার্ভেল-এর প্রতিটা ডিজনি প্লাস কন্টেন্ট এমসিইউ ক্যানন হিসেবে পারফর্ম করছে, সেখানে মুন নাইট একদম সোলো ট্রাভেলার। এর সাথে মার্ভেলের বাকি মুভি/সিরিজের কোনো সম্পর্ক নেই আসলে। আপনারা টুকিটাকি যেসব ইস্টার এগ খুঁজে পেয়েছেন, সেসব আমাদের টিজ করার জন্যেই।

মুন নাইট এমন একটি ক্লিফ হ্যাঙ্গারে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে দ্বিতীয় সিজন কন্টিনিউ না করাটা খুবই দুঃখজনক এবং ওয়েস্টেজ। পরবর্তীতে কী হবে সেটা আসলে এখনো অজানা, তবে সিরিজের পরিচালক মোহাম্মদ দিয়াব নিজেও চান সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন আসুক।

যেহেতু সিরিজটির একটি ফ্যান ফলোয়িং তৈরি হয়েছে, খুব সম্ভবত মার্ভেল এই সাকসেসকে চ্যানেলাইজ করার সুযোগ হাতছাড়া করবে না। এমনও হতে পারে, সিরিজটি পরবর্তীতে এক্সপ্যান্ড করলো। নতুন সিজন আসলো, কিংবা এমসিইউ-এর সাথে কানেক্টেড হয়ে স্টোরিলাইন কন্টিনিউ হলো। কিন্তু এগুলো শ্রেফ সম্ভাবনার কথা। কনফার্ম না কোনোকিছুই।

পুনশ্চ: অস্কার আইজাক শুধুমাত্র এই সিরিজের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন ।

“I don’t wear white to hide myself. I wear it so they’ll see me coming. So they’ll know who it is. ‘Cause when they see the white, it doesn’t matter how good a target I am. Their hands shake so bad, they couldn’t hit the moon.”

— Moon Knight

 

Marc Spector শিকাগো, আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেন।

Spector ইউএস মেরিন হয়ে ফোর্স রিকনে কর্মরত হওয়ার আগে একজন হেভিওয়েট বক্সার ছিলেন , এরপরে মেরিন ছেড়ে সিআইএর জন্য ভাড়াটে সৈনিক হয়ে কাজ করতে থাকেন। CIA তে কাজ করার সময় ফ্রেঞ্চ পাইলট Jean-Paul DuChamp এর সাথে তার বন্ধুত্ব হয় , যাকে সে “Frenchie” বলে ডাকতো।ভাড়াটে সৈনিক হিসেবে তারা দুজন একসাথে বিভিন্ন মিসনে অংশ নেয়।

তেমনি এক মিসনে আফ্রিকান ভাড়াটে সৈনিক Raoul Bushman এর সাথে তারা মিসর যায়, যেখানে যেতে যেতে পথে এক পর্যায়ে তারা এক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিস্কার কারী এক দলের মুখোমুখি হয় যার নেতৃত্বে ছিলেন Dr. Peter Alraune  এবং তার মেয়ে Marlene Alraune ও ঐ দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলো তা। সেই দল প্রাচীন একটি গুহা খনন করে গুহাটিতে একটি প্রাচীন মন্দির আবিষ্কার করে যেখানে নিদর্শনগুলিতে মিশরীয় চাঁদের দেবতা Khonshu এর একটি মূর্তি ছিল । সেই গুহা  লুট করার জন্য  Bushman, Dr. Alraune কে হত্যা করে এবং তার মেয়ে Marlene কেও হত্যা করতে উদ্ধত হয়।

কিন্তু Spector  তা সমর্থন করেনা ডক্টর এর হত্যার প্রতিবাদে এবং Marlene কে বাঁচাতে সে Bushman এর সাথে লড়াইয়ে নামে। লড়াইয়ে সে Bushman এর কাছে পরাজিত হয়, Bushman তাদের মরুভূমির  রাতের শূন্যের ও নিচের তাপমাত্রায় ফেলে রেখে চলে যায় তাদের মৃত্যর জন্য।

মিশরীয়রা যারা প্রাচীন দেবতাদের পূজা করে তারা Spector কে খুঁজে পায় এবং তাকে মন্দিরে নিয়ে যায় এবং দেবতা Khonshu এর  মূর্তির সামনে রাখে। মূর্তির সামনে অসহায় হয়ে সে পড়ে থাকে,এক পর্যায়ে তার  হৃদস্পন্দন থেমে যায়। Khonsh তার স্বপ্নে হাজির হয়, তাকে জীবনের দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেন যদি সে পৃথিবীতে দেবতা Khonshu এর অবতার ধারন করে। Spector জেগে উঠে এবং নিজেকে Khonshu এর মূর্তিটির রূপালী কাফনে নিজেকে জড়িয়ে নিয়ে আবার Bushman এর মুখোমুখি হয়।

এবার সে Bushman কে পরাস্ত করে Bushman পালিয়ে যায় আর সে Marlene, Frenchie এবং Khonshu এর মূর্তি নিয়ে আমেরিকা ফিরে আসে। অবশেষে জীবনে লক্ষ্য খুঁজে পেয়ে সে একজন ক্রাইমফাইটার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং দেবতা Khonshu এর রুপালী কাফনের উপর ভিত্তি করে একটি রুপালী চাদর(Like superman’s cloack) সহ পোশাক তৈরি করেন এবং “Moon knight” aka “The Fist of Khonshu” হয়ে ওঠেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পরে Spector ভাড়াটে সৈনিক হিসাবে জমা হওয়া অর্থ বিনিয়োগ করে এবং তার দেবতাভাগ্য এর জোরে অনেক সম্পদ অর্জন করে এবং নিজেকে তা অতীত থেকে দূরে রাখতে কোটিপতি ব্যাবসায়ী Steven Grant পরিচয় গ্রহন করে। এরপর সে একটি বিশাল এস্টেট কেনে যা তার গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে। রাস্তাঘাট ও অপরাধমূলক ঘটনার সংস্পর্শে থাকার জন্য সে ট্যাক্সিক্যাব চালক Jake Lockley পরিচয়ও গ্রহন করে এবং একটি নেটওয়ার্ক তৈরী করে যারা তার জন্য খবর নিয়ে আসে।

মুন নাইট হিসাবে স্পেক্টরের প্রথম প্রধান কাজটি আসে যখন The Committee তাকে Jack Russel নামে একজন Warewolf কে ধরে নেওয়ার জন্য নিয়োগ করেছিল। The committee তাকে Moon Knight নাম টি এবং তাকে নতুন কস্টিউম ও অস্ত্র প্রদান করে। সে সেই কাজে সফল ও হয়  তবে সে জানতে পেরে যায় যে The committee, Russel এর বোনকেও Warewolf এ পরিণত করে এবং তাদের উভয়কেই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল। যা জানার পর Moon knight, The committee এর পক্ষ থেকে সরে গিয়ে Russel কে সাহায্য করে এবং দুজনে মিলে The committee বন্ধ করে দেয়।

Powers & Abilities:

  • Power Absorption: কিছু কিছু পাওয়ার সে এবসর্ব করে নিজের ভিতর নিয়ে নিতে পারে। যেমনঃ Iron Fist, Ghost Rider এমনকি Sorcerer Supreme এর কিছু পাওয়ার ও এবসর্ব করে ফেলে।
  • Necromancy: Undead Mummies এর একটি পুরো দলকে সে নিজে কন্ট্রোল করে।
  • Lunakinesis & Geokinesis: মহাবিশ্বের বিভিন্ন চাঁদ ও চাঁদ থেকে তৈরী বিভিন্ন জিনিস সে নিয়ন্ত্রন করতে পারে, যা তাকে যোগ্য না হয়েও মজলনিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেয়। বেশিরভাগ কক্ষপথের জ্যোতির্বিজ্ঞানের দেহগুলি খনিজ, শিলা এবং মৃত টেরিফিরমা দ্বারা সম্পূর্ণ গঠিত,  নিছক ইচ্ছার দ্বারা বিভিন্ন মাটির উপাদানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে।
  • Lunar Strength: রাতের বেলা চাঁদের আলোতে তার শক্তি বাড়ে। অমাবস্যার রাতে তার শক্তি বেড়ে যায়। অমাবস্যা হতে পূর্নিমা পর্যন্ত তার শক্তি বাড়তে থাকে। পূর্নিমার রাতে তার শক্তি সর্বোচ্চ হয়।
  • Moon Empowerment: সুপারমুন এর সময় সে সবচেয়ে বেশী শক্তি অর্জন করে।
  • Self Sustenance: বায়ুমন্ডল ছাড়াও সে বেঁচে থাকতে পারে।
  • Phase Transformation: কাঁচের মধ্য দিয়ে যাওয়া আসা করতে পারে।
  • Immortality
  • Expert pilot
  • Expert Detective & Interrogation Expert
  • Weapons master & Master marksman
  • Master martial artist
  • Pain & Telepathic resistance

Team Affiliation:

Intelligence 2     
Strength  3    
Speed 2     
Durability  3    
Energy Projection1      
Fighting Skills   4   
  • Cult of Khonshu
  • Secret Avengers
  • Midnight Sons
  • Avengers West Coast
  • Marvel Knights
  • Defenders
  • Heroes For Hire

Trivia:

  • Moon Knight কে Batman থেকে Inspired হিসেবে ধরা হয়ে থাকে
  • তার সবচেয়ে বড় Weakness হলো তার মেন্টাল হেলথ। তার Dissociative Identity Disorder রয়েছে বলে ধরা হয়। এর মূলকারন তার জীবনজুড়ে বিভিন্ন ব্যাক্তিত্যের বিকাশ। তার চারটি ব্যাক্তিত্ব রয়েছে। 
  1. Marc Spector (Real Self)
  2. Steven Grant (as Businessman)
  3. Jack Lockley (as Cab Driver)
  4. Moon Knight (as The Superhero)
  • যা দেবতা Khonshu এর চারটি রূপের সাথে তুলনা করা হয়।
  1. Pathfinder
  2. Embracer
  3. Defender
  4. The watcher of overnight travelers 
  • Disney+ এ শীঘ্রই Moon Knight এর সিরিজ আসছে!
  • Oscar Issac এই Moon Knight চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে জানা গেছে তবে মজার ব্যাপার হলো তিনি এর আগেও Marvel এর X-Men : Apocalypse এর En Sabah Nur / Apocalypse এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

About Moon Knight:

  • Real Name: Mark Spector
  • Gender: Male
  • Height: 6’2″
  • Weight: 225 lbs.
  • Hair: Brown
  • Eyes: Blue
  • First Appearance: Werewolf by Night #32 (August, 1975)
  • Creators: Doug Moench, Don Perlin
  1. ৭২ ডেমনের বিস্তারিত বর্ণনার ৪থ পর্ব – Samigina – সামিজিনা

Leave a Comment

Total Views: 437

Scroll to Top