shaan movie review - শান মুভি রিভিউ

শান মুভি রিভিউ

শান ( স্পয়লার বিহীন রিভিউ)
কুত্তা আসে দলেবলে, বাঘ আসে একা!
বিশাল সমুদ্র জাহাজে নৌ-সেনারা মাইকিং করছেন, উপরে হেলিকপ্টারে টহল দিচ্ছেন। ছোট্ট নৌকায় মানুষ পাচার হচ্ছে। যা রুখতে এত্ত আয়োজন। বিশাল বড় এই সমুদ্রে ড্রোন শট দিয়ে পুরোটা দৃশ্যধারণ করা হল। শান ছবির মুগ্ধতার শুরু একদম প্রথম দৃশ্য থেকেই।
{tocify} $title={Table of Contents}
ঈদের দিনে আমার মতন সিনেমা-প্রেমীদের ঈদ আনন্দ হয় সিনেমাহলের পর্দায়। অনেক বছর পরে ঈদে আমাদের মানিকগঞ্জের নবীন সিনেমা হলে দুপুরে ছবি দেখলাম। নবাগত পরিচালক এম রাহিম পরিচালিত ” শান ” সিনেমা দেখার মূল কারণ যদিও সিয়াম আহমেদ ছিল তবে মুগ্ধ হয়ে বের হয়েছি এর নির্মাণে৷
মানবপাচার নিয়ে ছবির কাহিনী তা আগেভাগেই জানান দিয়েছিল তারা। বিদেশী কিছু মাফিয়ার সাথে সঙ্গ মিলিয়ে মানবপাচার করছে দেশের গুটিকয়েক মানুষ। এর তদন্তে নামা বারংবার পিছিয়ে পড়া পুলিশকে এবার নেতৃত্ব দেয় চৌকস অফিসার শান। তদন্তের সময় পরিচয় হয় সংগীতশিল্পী রিয়ার সাথে। মানবপাচারকারীদের একদম কাছাকাছি পৌঁছে যায় শান ও তার টিম। কিন্তু, এক নির্মম সত্যর মুখোমুখি হয় তারা। কি সেই সত্য? শান কি পারে মানবপাচার বন্ধ করতে?
আপাতদৃষ্টিতে সুন্দর, সাধারণ গল্প কিন্তু এর নির্মাণ একে অনন্য করেছে। ভালো লেগেছে গল্পের কনসেপ্ট যে বিষয় নিয়ে সেই বিষয় নিয়েই এগিয়েছে, পারিপার্শ্বিক সব বিষয় যুক্ত হয়েছে মাত্র। গল্পের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরে যায়নি বিধায় বাহবা পেতেই নির্মাতা। আমাদের দেশের অধিকাংশ সিনেমা যেখানে দ্বিতীয়ার্ধে এসে ঝুলে পড়ে সেখানে এই ছবি দ্বিতীয়ার্ধেই তার থ্রিল সবচেয়ে বেশি বজায় রেখেছে।
 প্রথমার্ধে ক্যারেক্টার বিল্ডআপ সুন্দর করে করতে গিয়ে কিছুটা খামতি লেগেছে তবে দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি উসুল করে দিয়েছে।এ ছবির কিছু বিষয় বেশ নতুন আমাদের দেশীয় সিনেমায়। যেমন, ক্লাইম্যাক্সের ফাইটিং সীন যা এরআগে দেশীয় কোনো সিনেমায় দেখিনি। কিছুকিছু দৃশ্যে তো গুজবাম্প দেবার মতন।
অভিনয়ের কথা বললে, সিয়াম সিয়াম এবং সিয়াম। সিয়ামের এন্ট্রিসীন টাই এত্তো সুন্দর যে শীস বাজিয়েছি হলে প্রথমবারের মতন। একজন পুলিশ অফিসার চরিত্রে সিয়ামের বডি ল্যাংগুয়েজে ও সেরকম হাবভাব বজায় ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সিয়ামের যেরকম পরিবর্তন লক্ষ করা যায় তখন মনে হয়েছে তার অভিনয় আরো বেশি পরিণত ও শান বাঁধানো। 
তাসকিন ঢাকা এট্যাকের পর আবারও মুগ্ধ করলো। মিশন এক্সট্রিম এ যে তাসকিন কে চেয়েছিলাম তারচেয়ে বেশি পেয়েছি এ ছবিতে। তীক্ষ্ণ নজরের তাসকিন তার অভিনয় দিয়ে দর্শককে গিলে নিয়েছেন বলা যায়। সিয়ামের সহকারী চরিত্রে যে অভিনেতা অভিনয় করেছেন সে দর্শককে হাসিয়েছেন বেশ। এরকম একটা চরিত্রের দরকার ছিল। হাসানো যেখানে সবচেয়ে কঠিন কাজ সে কাজটা অবলীলায় করে গিয়েছেন তিনি।
 এরপর, পূজার কথা বলতেই হয়। সংগীতশিল্পীর চরিত্রে তার অভিনয় মুগ্ধ করেছে তবে তার মা চরিত্রে অরুণা বিশ্বাস বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। যেরকম মা চরিত্রে ভালো লাগেনি চম্পা কেও। অতিরিক্ত মেকাপে তাদের অভিনয় ও অতিরিক্ত লেগেছে। বেশকিছু র মানুষ জন কাজ করেছেন ছবিতে, যাদের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না ছবিতে কাজ করার। একদম নবাগত বিধায় বলেই হয়ত তারা আরো ভালো কাজ করেছেন।
শান ছবির মিউজিক যতটা ভালো লাগবে ততটাই মন কাড়বে এর সিনেমাটোগ্রাফি। দৃশ্যগুলোর ফ্রেমিং যতটা দারুণ ততটাই এর দৃশ্যপট। সাইফুল শাহীন এবং আহমেদ হুমায়ুন তাদের নিজ নিজ কাজে আবারো মুন্সীয়ানা দেখালেন।
নবাগত পরিচালক এম রাহিম প্রথম কাজে উতরে গেছেন বলবো না, সে আরো প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিল বলা যায়। বিশাল বাজেটের ছবি নির্মাণ করতে গেলে আমাদের নির্মাতারা যেখানে হিমশিম খান,তালগোল পাকিয়ে ফেলেন সেখানে প্রথম কাজেই এত বিগ বাজেটে দূর্দান্ত ছবি উপহার দেয়া মানুষটার কাছে প্রত্যাশাই থাকে সামনের কাজগুলো নিয়ে। শান দেশীয় ছবি যা সফল হওয়া আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য জরুরি। হলে যান, শান দেখুন, এটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি ছবি শেষে হাততালি দিয়ে হলে থেকে বের হবেন।
ইদের ছবি ‘শান’ – এর রিভিউ (স্পয়লার ফ্রী)
অবশেষে মুক্তি পেয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ছবি নবীন নির্মাতা এম রাহিম – এর ‘শান’। সিয়াম আহমেদ, পূজা চেরী এবং তাসকিন রহমান অভিনীত ‘শান’ ছবিটি নির্মাণ শুরু থেকেই আলোচিত হয়ে আসছে।
 অনেকেই শুরু থেকেই ধারণা  করেছেন যে, ছবিটি আয়নাবাজী, ঢাকা এটাক, পোড়ামন ২, দেবী –এর পর আধুনিক ধারার বাংলা সিনেমার নতুন সংযোজন হতে যাচ্ছে। শানের স্টিল ফটো প্রকাশের পর থেকেই ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা তৈরী হয়েছিলো। ছবির পোস্টার, টিজার, ট্রেলার, গান সেই প্রত্যাশার পারদ বাড়িয়েছে।
‘শান’ দেখার পর প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি কতটুকু হয়েছে?
শান আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত সম্পূর্ণরুপে একটি একশন ছবি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একশন ছবি খুব একটা পছন্দ করিনা।
 তবে ‘শান’ – এর একশন বাস্তবসম্মত এবং নির্মাণের দিক থেকে উন্নত হওয়ায় আমি ছবিটি উপভোগ করেছি। ছবির প্রথমার্ধ কিছুটা ঢিমেতালে চললেও দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটাই টান টান উত্তেজনা ও একশনে পরিপূর্ণ। একজন একশন লাভার না হয়েও আমি ছবির দ্বিতিয়ার্ধে এক মূহুর্তের জন্য বোর হয়নি। আমার ধারণা যারা একশন দেখতে ভালোবাসেন তাদের জন্য শান একটি বিশেষ প্রাপ্তি কেননা এ ধরণের স্মার্ট একশন ছবি বাংলাদেশে খুব কম নির্মিত হয়েছে।
শান মুভি রিভিউ
শানের গল্প মানব পাচারের উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে। একটি দুষ্কৃতিকারী চক্র বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক রফতানীর নামে গরীব শ্রমিকদের নিয়ে নৌকায় করে সাগর পারি দেয় এবং সেখানে গোপন আস্তানায় তাদের বন্দি করে চোখ, কিডনি, লিভার, ফুসফুসসহ নানা অঙ্গ-প্রতঙ্গ নিয়ে বিদেশে বিক্রি করে।
পুলিশ বাহিনী চক্রটির মূল হোতাকে খুঁজতে গিয়ে জানতে পারে ডেভিড নামের একজন এর মূল হোতা।
ঘটনাক্রমে এক সময় ডেভিডকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব পরে তরুণ সহকারী পুলিশ কমিশনার শানের উপর।
শুরু হয় একশন ও এডভেঞ্চারে ভরপুর এক পুলিশি অভিযান। যে অভিযানে মানবপাচারকারী দুর্ধর্ষ ডেভিডের মুখোমুখি হয় তরুণ পুলিশ অফিসার শান।
ছবিতে শান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ প্রজন্মের ব্যস্ততম চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ। নিন্দুকেরা সিয়ামের এক্সপ্রেশন নিয়ে নানা কথা বলে থাকেন। 
তার উচ্চতা, চেহারার গঠন কিংবা বডি ফিটনেস নিয়েও সমালোচনা করেন। আমি নিজেও অনেকবার এসব বিষয়ে কথা বলেছি। তবে সত্যিকথা বলতে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকার পরও সিয়াম যে এ সময়ের বাংলা সিনেমার সবচেয়ে ডেডিকেটেড অভিনেতা তা যে কেউ তার কাজগুলো দেখলে স্বীকার করবে।
অর্থাৎ, সিয়াম তার চরিত্রটি পর্দায় সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।
শানে তার ডেডিকেশন যেমন চোখে পড়ে তেমনি চোখে পড়ে তার ইম্প্রুভমেন্ট।
নিঃসন্দেহে এখন পর্যন্ত সিয়ামের সেরা অভিনয় ছিলো এ ছবিতে। সে হয়তো মাইন্ডব্লোয়িং অভিনয় দেখাতে পারেনি তবে আগের ছবিগুলো থেকে এ ছবিতে তার ইম্প্রুভমেন্ট স্পষ্ট চোখে পড়েছে। তেমন কোন ভুলত্রুটি ছাড়াই বেশ কনভিন্সিং একটা পারফরমেন্স উপহার দিয়েছেন তিনি।
শান ছবিটাই ছিলো পুরোপুরি তার কাঁধে এবং তিনি তার দায়িত্ব সর্বোচ্চ ডেডিকেশনের সাথে পূরণ করার চেষ্টা করেছেন।
সিয়ামের আরেকটা বিষয়ের প্রশংসা আমি সব সময় করি আর সেটা হচ্ছে ছবি সিলেকশন এবং চরিত্র নির্বাচনে তার রুচি ও বুদ্ধিমত্তা। আরো একবার সিয়াম প্রমাণ করেছেন অন্তত এই বিষয়ে সে এই সময়ের বাংলা সিনেমার সেরা তারকা।
শানের মতো একটি চরিত্র যে কোন সুপারস্টারের কাছেও লোভনীয় কিছু। সেখানে সিয়াম এতো অল্প সময়ে সিনেমায় এসে এমন চমৎকার সব চরিত্র নিচ্ছেন বা পাচ্ছেন যা সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতো বিষয়।
ছবিতে পূজা চেরী এবং তাসকিন রহমান অভিনয় করেছেন অন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। সত্যিকথা বলতে সিয়ামের চরিত্রটিতে যতটা যত্ন চোখে পড়েছে পূজা এবং তাসকিনের চরিত্রে সেই পরিমাণ যত্ন চোখে পড়েনি। এই দুই চরিত্রের মাধ্যমে গল্পে টুইস্ট এন্ড টার্ন আসে তাই স্পয়লার হওয়ার ভয়ে এই দুই চরিত্র নিয়ে ডিটেইলস্‌ আলোচনা করছি না। 
তবে এইটুকু বলবো যে, সিয়ামের চরিত্রটিকে নির্মাতা যতটা যত্নে সিনেমায় উপস্থাপন করেছেন সেই একই রকম যত্ন ঐ দুই চরিত্রও যদি পেতো তাহলে ছবিটি আরো অনেক বেশী উপভোগ্য হতে পারতো।
একটি চরিত্র দৈর্ঘে বড় হতে পারে আবার আরেকটি চরিত্র ছোট হতে পারে। তবে অবশ্যই সকল চরিত্রকে সমান যত্নে পর্দায় উপস্থাপন করা উচিত। এই যায়গাটায় নবীন নির্মাতা এম রাহিম কিছুটা ব্যর্থ হয়েছেন।
 তবে তিনি নবীন নির্মাতা হয়েও যেভাবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেছেন এবং যেভাবে ছবিটি যতটা সম্ভব স্মার্ট এবং একইসঙ্গে বাস্তবসম্মতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন তাতে তার প্রশংসা করতেই হবে। বাংলা সিনেমার অনেক পরিপক্ক নির্মাতার চেয়ে কম ভালো ছিলোনা তার নির্মাণ। ভবিষ্যতে হয়তো তিনি আরো পরিপক্ক হয়ে নিজেকে এ প্রজন্মের সেরা নির্মাতাদের কাতারে নিতে সক্ষম হবেন। প্রথম ছবিতে এইটুকু সম্ভাবনা অন্তত তৈরী করতে পেরেছেন তিনি।
ছবির গল্প লিখেছেন তরুণ লেখক নাজিম উদ দৌলা। বাংলা বানিজ্যিক ছবি হিসেবে তার গল্প স্মার্ট। তবে গল্পটি যতটা উপভোগ্য চিত্রনাট্য দাবী করে চিত্রনাট্যকার ততোটা উপভোগ্য চিত্রনাট্য তৈরী করতে পারেননি। বিশেষ করে প্রথমার্ধে চিত্রনাট্যকারের দুর্বলতা চোখে পড়েছে।
ছবিতে গান আছে তিনটি এবং তিনটি গানই শুনতে এবং দেখতে ভালো লেগেছে। বিশেষ করে গানের চিত্রায়নে লোকেশন, সেট ডিজাইন, কস্টিউম, লাইটিং- এর ব্যবহার বেশ সুন্দর।
ছবির টেকনোলজিক্যাল দিক যেমন সিনেমাটোগ্রাফী, এডিটিং, কালার, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সবই আধুনিক লেগেছে অর্থাৎ সাধারণ বাংলা ছবি থেকে উন্নত। তবে আবার খুব আহামরি কিছুও চোখে পড়েনি তাই এই দিক গুলোর অতি প্রশংসা করছি না। তবে বাংলাদেশের সিনেমা হিসেবে ভালোতো বটেই।
সবমিলিয়ে ‘শান’ ভরপুর একশনের বানিজ্যিক ছবি।
 যেহেতু ছবির একশন ডিরেক্টর বলিউডের অভিজ্ঞ একজন তাই এ ছবির একশন অন্য সাধারণ বাংলা ছবি থেকে অনেক বেশী উন্নত। সত্যিকথা বলতে এতোটা বাস্তবসম্মত একশন ছবি বাংলাদেশে খুব কম নির্মিত হয়েছে। যারা একশন ভালোবাসেন তাদের এ ছবি অবশ্যই ভালো লাগবে। সেই সাথে সিয়াম আহমেদকে পর্দায় যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা বেশ নায়কোচিত যা সিয়ামের ভক্ত এবং বিশেষ করে মাস অডিয়েন্সের বিশেষ ভালো লাগবে।
শানের কিছু দুর্বলতাও আছে। তবে সে সব পরে একদিন না হয় স্পয়লার এলার্টসহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। আপাতত শানের শক্তিশালী দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা জরুরী। শান অবশ্যই বাংলা বানিজ্যিক একশন সিনেমা হিসেবে বিশেষ ভালো একটি সিনেমা। বিগ বাজেটে ও আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত ইদের ছবি ‘শান’- এর ব্যবসা সফল হওয়া আমাদের বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিশেষ জরুরী।
একটি আয়নাবাজি, একটি ঢাকা এটাক কিংবা একটি পোড়ামন ২ যেমন আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুটা হলেও একটা পজেটিভ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে ঠিক তেমনি শান বক্স অফিসে সফল হলেও আমাদের নতুন ধারার ছবি আরো এক ধাপ সামনে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
তাই একজন সিনেমাপ্রেমী হিসেবে চাই ইদের ছবি শানের মাধ্যমে শানদার হোক বাংলা ছবির বক্স অফিস।
– ধন্যবাদ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *