টপ গান ম্যাভেরিক মুভি রিভিউ

প্রায় 30 বছর পর 

টম ক্রুজ অভিনীত টপ গান 

এর সিক্যুয়েল আসতে চলেছে। 
তাই চলুন টপ গান ম্যাভেরিক এর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। 
TOP GUN: MAVERICK সিনেমার বক্স অফিস ভার্ডিক্ট ক্লাসিফিকেশন :-
টপ গান ম্যাভেরিক মুভি রিভিউ
(Picture Credit: Paramount Pictures)
🔰 বাজেট + মার্কেটিং খরচ = $212 Million+
_____________________________________
• $170 Million এর কম গ্রোস এলে → DISASTER 
• $255 Million এর কম গ্রোস এলে → FLOP
• $255 Million এর বেশি গ্রোস এলে → AVERAGE
• $340 Million+ গ্রোস এলে → ABOVE AVERAGE
• $382 Million+ গ্রোস এলে → SEMI HIT
• $425 Million+ গ্রোস এলে → HIT
• $638 Million+ গ্রোস এলে → SUPER HIT
• $850 Million+ গ্রোস এলে → BLOCKBUSTER
• $2 Billion+ গ্রোস এলে → ALL TIME BLOCKBUSTER
_____________________________________
আপনাদের ভার্ডিক্ট প্রেডিকশন কি? আমাদের ওয়েবসাইট এর কমেন্টে তা জানাতে পারেন!
প্রথম পিকচারের ফিল্ম টপ গানের প্রথম কিস্তি যা ১৯৮৬ সালে রিলিজ হয়। লিড রোলে টম ক্রুজের বিপরীতে ছিলেন কেলি ম্যাকগিল। পরের পিকচারের সময় টপ গান ২ রিলিজ হয়ে যায় কিন্তু এবারে লিড রোলে কেলি ম্যাকগিল থাকা অসম্ভব ছিলো। পিক দেখে তা নিশ্চয়ই অনুধাবন কর‍তে পেরেছেন, সেই সাথে চমকেছেন নিশ্চয়ই!
আজ টপ গান (১৯৮৬) নিয়েই বলি। এ ফিল্ম নিয়ে আরেকটা দারুণ তথ্য দেই। টপ গানের বাজেট ছিলো ১৫ মিলিয়ন ডলার। আয় কতো জানেন?…
৩৫৭ মিলিয়ন ডলার! বাজেটের সাথে আয়ের এতো বড় বেমিল চমকানোর মতোই অবশ্য।
Top Gun (1986)
Imdb: 6.9/10
Rotten tomatoes: 55% fresh tomatoes!
টপ গান টম ক্রুজ, টিম রবিন্স, কেলি ম্যাকগিল প্রমুখ অভিনীত এ ফিল্ম একশন, ড্রামা জনরার। টনি স্কট পরিচালিত এ ফিল্ম অল টাইম ব্লকবাস্টার।
হালকা স্পয়লার…
কাহিনী সংক্ষেপ: ম্যাভরিক এক প্রতিভাবান ফাইটার পাইলট। প্রতিভার সাথে খামখেয়ালিপনা তার সাথে মিশে আছে। ইউএস নেভি থেকে তাকে পাঠানো হয় টপ গানে, যেখানে ব্রিলিয়ান্ট পাইলটরা যায় আর টাফ টাস্কের মাধ্যমে ব্যাজ অর্জন করে। টম ক্রুজের লাইফে এটি অনেক বড় অধ্যায়। তার খামখেয়ালিপনা যেখানে তার বড় শত্রু। প্রেম, সার্ভাইভ সবকিছুর শুরু এখান থেকে। যেখানে শুরু সফলতার পথচলা…
নিন্দুকেরা বলে টম ক্রুজ দৌড়ালেই মুভি হিট। আমিও বলি টম ক্রুজ দৌড়ালে সিনেমাও দৌড়ায়। তবে টম ক্রুজের স্টারডাম কিন্তু তখনো সেই লেভেলে যায়নি। যার জন্য একটা দারুণ গল্পের দরকার পড়তো একটা সিনেমাকে সফল করতে। টম গানে তার সবটুকুই ছিলো।
রেটিং দেখে একে মধ্যমমানের সিনেমা ভাবতে যাবেন না। এটি কাল্ট ক্লাসিক সিনেমা। ভিন্টেজ মুভিগুলোর স্বাদ না পেলে অবশ্য এতেও মজা পাবেন না। তবে এক্টিং বলুন, উপস্থাপনা বলুন সব ক্ষেত্রেই অসাধারণ সফলতার নজির সৃষ্টি করে টপ গান। পরিচালক অবশ্য সেই পুরষ্কার ও পেয়েছেন নানা অর্জনের মাধ্যমে।
শুধু টম ক্রুজের কথা বলা বেমানান হবে কারণ যেখানে টিম রবিন্সের মতো অভিনেতাও আছেন। শশাঙ্ক রিডেম্পশন, মিস্টিক রিভার অভিনেতা আসলেই দারুণ ছিলেন পুরো সময়জুড়ে। কেমি ম্যাকগিল সাপোর্টিং এ দারুণ ছিলেন।
20২২ এ এসে টপ গানের সিক্যুয়েল বের হয়। যদিও ভালো প্রিন্ট পাইনি বলে এখনো দেখিনি। তবে পিকচার‍টা আসলেই টম ক্রুজের সাথে ব্যবধান বুঝিয়ে দেয়। লোকটার বয়স যে ৫৯ হলো!
বিজ্ঞাপনের একটা বাক্য ছিলো,
“সময় চলে যাক, বয়স থেমে থাক। কে না চায়?”
আর আমার মনে হয় এর জন্য টম ক্রুজের ছবি ব্যবহার করা উচিত। ফল আউটে তাও একটু বয়সের ছাপ আসছে। কিন্তু এর আগ অবধি টম ক্রুজ যে ৫০+ তা অনুমান করাটাও দুঃসাধ্য ছিলো। এখনো দারুণ সব স্টান্ট করেন। এতো এনার্জিটিক! ভক্তকূলের যেনো একটাই কথা,
“ধীরে ধীরে যাও না সময়…”

Leave a Comment

Total Views: 598

Scroll to Top