রাধে শ্যাম মুভি রিভিউ প্রভাসের এপিক ডিজাস্টার

radhe shayam review in bangla - রাধে শ্যাম মুভি রিভিউ প্রভাসের এপিক ডিজাস্টার
➠ Radhe Shyam (2022)
➠ Gener : Romance | Drama
(No Spoiler)
সিনেমার গল্পটা হলো একজন পামিস্ট যার নাম আদিত্য, খুবই ফেমাস পামিস্ট, ওকে ‘দ্য আইন্সটাইন অব পামিস্ট’ বলা হয়। সে মানুষের হাত দেখে ভবিষ্যত বলে দিতে পারে। তো, আদিত্যর হাতে কোন লাভ রেখা নেই।
 যার কারণে সে ভালোবাসায় পড়তে চায় না। সে ফ্লার্টেশনশিপ করে। একদিন ডক্টর প্রেরণার সাথে ঘটনাচক্রে দেখা হয়। প্রেরণার সাথেও আদিত্য ফ্লার্টেশনশিপ করে। বাট প্রেরণা একসময় আদিত্যর প্রেমে পড়ে যায়।
 এখন পরবর্তীতে  তাদের ভালোবাসার পরিণতি কি হয় তা নিয়েই গল্প এগিয়ে যায়।

রাধে শ্যাম মুভি রিভিউ

 

সিনেমার মূল যে থিমটা ‘লাভ ভার্সেস ডেস্টিনি’ এটা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। কিন্তু এই থিমটা থেকে প্রাপ্য আউটপুটটা বের করতে পারেনি মেকাররা। কাহিনি এবং স্ক্রিনপ্লে মোটামুটি মানের হয়েছে কিন্তু পেসিং নিয়ে আমি কনফিউসড!
 শুরুটা রকেটের গতিতে, এক ক্যারেক্টর ইন্ট্রোডিউস করে আবার আরেক ক্যারেক্টরে চলে যাওয়া, সব চোখের পলকে হয়ে গেলো। এরপর মনে হয় রকেটের তেল ফুরিয়ে গেলো! সিনেমা ধীরে ধীরে স্লো হতে লাগলো, আবার মাঝে একটু ফাস্ট হয় দেন আবার স্লো। ২য় ভাগে তো বিরক্তি এসে গিয়েছিল যে কি দেখছি বাবা! 
পূজা আর প্রভাস সবথেকে হাইলাইটেড ক্যারেক্টর, বাকি একটা ক্যারেক্টরেরও কোনো গুরুত্ব নেই, সবগুলোকে ওয়েস্ট করা হয়েছে। এতো বাঘা বাঘা অভিনেতাদের নিয়ে এভাবে ওয়েস্ট করার কোনো মানে হয়! 
আচ্ছা সেসব বাদ দিলাম কিন্তু প্রভাস আর পূজার কেমিষ্ট্রি? এটাও ফেল। দুজনের ক্যারেক্টরে এমনিতেই ডেপথ নাই আর কেমিষ্ট্রি থাকবে কিভাবে! কোনো ফিল হয় না ওদের জন্য, ইমোশনালি কানেক্ট করাও যায় না।
 টেকনিক্যালি এই সিনেমাকে অনেকে স্ট্রোং বলবে বাট আমি খুব একটা বলবো না। হ্যা ভিজুয়্যালি এই সিনেমাটা স্টানিং, ক্যামেরার কাজ, কালার গ্রেডিং কিছু ক্ষেত্রে ছিল লক্ষণীয় এবং চোখ জুড়ানো।
 কিন্তু এতো টাকা খরচের পরও বেশ কিছু জায়গায় ভিএফেক্স লাগে কার্টুনিশ যেগুলা খুব সহজেই চোখে পড়ে। আর মেকাররা বলেছিলো এন্ডিং বলে টাইটানিককেও ছাড়িয়ে গিয়েছে! কচু হয়েছে।
 জাহাজের সিনটা ভালো হয়েছে বাট টাইটানিক লেভেলের হয়নি। আচ্ছা এসব তো গেলো কিন্তু প্যান ইন্ডিয়ান সুপারস্টার প্রভাসের কি অবস্থা? একদমই ভালো না। প্রথমত এখানে প্রভাসের যে লুক সেটাই অরিজিনাল মনে হয়নি। একেক জায়গায় একেক রকম চেহারা! চেহারা আর শরীরেও যে ভিএফেক্স ইউজ করা হয়েছে সেটা বুঝাই যাচ্ছে। 
আর অভিনয়? ও মাই গড! একদম বাজে অভিনয়, বেশিরভাগ জায়গায় এক্সপ্রেশন আর ডায়লগ ডেলিভারি দেখে মনে হয়েছে মদ খেয়ে টাল হয়ে আছে। সিরিয়াসলি বলছি ভাই এটা। আমি আরো ভয়ে হিন্দি ডাব দেখিনি কারণ ওখানে অবস্থা আরো খারাপ।
রাধে শ্যাম মুভি রিভিউ
(Image credit: UV Creation/ T-Series)
 সেই তুলনায় তেলুগুতে মোটামুটি ভালো কিন্তু এগুলা সমস্যা চোখে পড়বেই। পূজার ক্ষেত্রে নো কমপ্লেইন। নিজের কাজ সিনসিয়ারলি ভাবে করেছে। দেখতেও খুব সুন্দর লেগেছে। আর মিউজিক এবং গান আপ টু দ্য মার্ক, নো কমপ্লেইন এখানেও। 
এখন ব্রো কথা হলো সবসময় এই প্যান ইন্ডিয়া নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। সব সিনেমাই কি প্যান ইন্ডিয়া হয় নাকি! দুহাত ভরে টাকা খরচ করে প্যান ইন্ডিয়া ট্যাগ লাগায় দিয়ে সব জায়গায় রিলিজ করে দিলাম আর ভাবলাম টাকা চলে আসবে এমনটা হয়না। 
প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা বানানোর জন্য সেরকম মাল মশলা ইউজ করতে হয় এবং ভালো রাইটার, ডিরেক্টর নিতে হয়। কোথাকার সুজিত (সাহো) আর রাধা কৃষ্ণ কুমারদের তুলে এনে ৪০০-৫০০ কোটি বাজেট দিয়ে প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা বানাচ্ছে বাহ! 
এরা কি রাজামৌলি আর সঙ্কর নাকি যে বানায়ে দিবে সুন্দর করে! তাই বলি, ভেবে চিন্তে এবং ভালো ভাবে প্লানিং করে কাজ করতে হবে। আর প্রভাসকেও নিজের ফিটনেস আর স্ক্রিপ্ট চুজিং এ নজর দিতে হবে। তো, রাধে শ্যাম একদম বিলো এভারেজ ক্যাটাগরির সিনেমা। 
আমি কাউকে রেকমেন্ড করছি না। নিতান্তই প্রভাসের ডাই হার্ড ফ্যান হলে দেখতে পারেন।

Leave a Comment

Total Views: 423

Scroll to Top